মুক্তগদ্য

শক্তিরূপেণঃ শান্তিরূপেণঃ স্বস্তিরূপেণঃ

চৈ তা লী না থ


বৈশাখের কান্না,
ধুলোবালি শুকনো ঝঞ্ঝা...
পাহাড় ফাটা শুষ্কতার বিপুল চড়চড়ানি,
রুদ্র মূর্তির বীভৎসতা...
অথবা...,
খাঁ খাঁ নগ্নতার হাহাকার, এমন সব যাতনার বিড়ম্বনা তো সেই বুঝবে যার হৃদয় শুকিয়ে এসেছে!

হঠাৎ পড়ন্ত বিকেলজুড়ে ঘন হয় কালো মেঘ, কালবৈশাখী তান্ডবে তছনছ সব...! 

তবে নাকি বিশ্বের সবকিছু কোমলতা আর মাধুর্য-সুষমা দিয়ে গড়া নারীর বুকে বেদনাও আঘাত দিতে পারে না!? তার মধ্যেই নাকি রয়েছে সবকিছু সহ্য করার অমানুষিক শক্তি!?! এতো কষ্টেও সে মরে না!!? 
আসলে মরণ এ দুঃখীদের প্রতি বাম!
তারা ডাকে..."মরণ রে তুহুঁ মম শ্যাম সমান"... কিন্তু শ্যাম ততক্ষণে অন্ধকার পথ পেরিয়ে 'মরণ ভীতু'দের কাছে পৌঁছে 'মৃত্যু বাঁশির' বেলা শেষের তান শোনান। তাঁর রথের চাকার ধ্বনি এইসব হতভাগীদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না!
কালের চাকার ঘরঘর ধ্বনিতে ভেসে আসে কর্তব্যপরায়ণতা। নারী নয় সে... সে কন্যা, স্ত্রী, মাতা... পরিত্রাতা...।

এ সত্য যে চিরন্তন সত্য...
নারীর কল্যাণী মূর্তি পাষাণ হলে বিশ্ব কল্যাণহারা তেলহীন প্রদীপের মতো হবে। এক মুহূর্তে থেমে যাবে প্রাণের স্পন্দন! ওই নিরীহ দুলালীদের পাষাণ দেউলের খিড়কিতে বরং অপ্রত্যাশিত প্রিয়মুখের ডাকনামের আহ্বান পৌঁছে যাক। জলভরা অভিমানী চোখ, পাতলা অধর, গম্ভীরা চিরকিশোরী মনের পাষাণ অর্গল খুলে যাক!
তাদের ব্যাকুল ছায়ানটের চপলতা ছন্দ-মাতন হিন্দোলে মুক্তি পাক। তাদের মনের অগ্নিসিন্ধুর তরঙ্গ গতিতে যে আগুনের প্রতাপ ফোয়ারা ছোটে, তাতে মিলনের আনন্দরাগ ভেসে আসুক। গহন-পারের বাঁশির গুঞ্জরণ বরং তাদের ব্যাকুল করুক। 

ওরা যে পতঙ্গ, ওরাই আগুন! তাইতো ওরা বারবার ঝাঁপ দেয়, পুড়ে মরে আবার ধমনীতে ধমনীতে ভীমস্রোতা বেগ নিয়ে বেঁচে ওঠে, ফিরে আসে নৈমিত্তিকতায়।







মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল সংখ্যা || ৪ ফাল্গুন ১৪৩০ || ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || বাসন্তী সংখ্যা || ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ১০ মে ২০২৪