পত্রসাহিত্য



দিদাকে টুলুনপাখির চিঠি

ড রো থী দা শ বি শ্বা স

শ্রীচরণেষু দিদা, 

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে তুমি চলে গেছো আকাশে ঐ ধ্রুবতারার দেশে। এই ছবিটি দেখে আজ তোমার কথা বারংবার মনে হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেনীতে পরীক্ষা দিয়েই তোমার বিয়ে হয়ে যায়। তোমার স্বর্ণাক্ষরে লেখা ডায়েরীটা আজও আমার কাছে এক অমূল্য সম্পদ যাতে লেখা আছে দেশাত্মবোধক কবিতা ও গান। স্বাদেশিকতার আবহে বেড়ে উঠেছো যে তুমি। চার কন্যার জননী, মনের কোণে একটি পুত্রসন্তানের আকাঙ্ক্ষা ছিলো খুব। তখন তো বিদ্যুতের আলো ছিলো না, বিকেল থাকতে রাতের রান্না সেরে রাখতে তুমি। ন'টার সময় সবাইকে রাতের খাবার দিতে হতো তোমাকে। মাঝখানে ঘন্টা চারেক তোমার অবসর। সে সময় অন্ধকারে বারান্দায় বেতের চেয়ারে বসে খালি গলায় একের পর এক গান গেয়ে যেতে জগন্ময় মিত্রের গাওয়া গান - আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়/তুমি যে বহ্নিশিখা; শতেক বরষ 'পরে/আমার এ গানখানি/মুখরিত হবে প্রিয়া/ পৃথিবীর ঘরে ঘরে...; শুনেছো কি তুমি গভীর নিশীথে পৃথিবীর ক্রন্দন ...; আমি তোমার পাশে বসে শুনতাম আর বলতাম, জগন্ময় মিত্র কে ? তুমি বলতে, " আমার ছেলে"। - সত্যিই? তুমি জোর দিয়ে বলতে, "সত্যি"। আমি জিজ্ঞেস করতাম, "তাহলে তো আমার মামা হন উনি, আসেন না কেন আমাদের বাড়িতে?" তুমি বলতে, "এখন তার কত নাম ডাক, এই চা-বাগানে সে আসবে কেন, এখানে এলে তো রেকর্ডিং করতে পারবে না।" আমি মনে মনে এ কথার যথার্থতা বুঝে নিতাম। আর ভাবতাম, আমার দিদা কত ভালো গান করে, তাহলে মামা তো দিদার কাছ থেকেই এ গুণটি পেয়েছে। সত্যি বলছি, আমি আজও মনে করি না, তুমি মিথ্যে বলেছো, বরং এটাই ছিলো তোমার সত্যিকারের এক সুপ্ত ইচ্ছে। অত্যন্ত কল্পনাপ্রবণ মন ছিলো যে তোমার। দিদা, তোমার মনে পড়ে, আমাদের গ্রামোফোনের "দি টুইন" এর রেকর্ড ছিলো একটা, গানটির কথা ও সুর আজও আমার মনে আছে- "এ নহে বিলাস বন্ধু, ফুটেছে জলে কমলিনী, সেটাতে গায়িকার নাম লেখা ছিলো "মিস বীণাপাণি", ওটা দেখে মনে করতাম ওটা তুমিই গেয়েছো। তোমারও নাম যে ছিলো বীণাপাণি। ঐ গানটিও জোর করে গাইয়ে নিতাম তোমাকে দিয়ে। নিরুপমাদেবীর উপন্যাস, আরো কার কার, এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না- পৃষ্ঠার প্রান্তদেশ সোনার জলে ডোবানো, সুন্দর বাঁধাই করা লাল লাল ছোট্ট ছোট্ট বইগুলো, কোথাও না কোথাও যত্নেই রাখা আছে গো। তুমি যে পুজোসংখ্যায় লিখতে, সেসব অথার্স কপি ময়নাগুড়ির দেবীনগরের বাড়িতে সবুজ কাঠের আলমারীতে যত্ন করে রাখা ছিলো। সে বাড়ি বিক্রী হয়ে গেল নানা আসবাবের সাথে, ঐ আলমারীসহ। তোমার লেখা প্রকাশিত হয়েছিলো এমন একটিমাত্র পুজোসংখ্যা তুমি সাথে নিতে পেরেছিলে। বাড়ি ছেড়ে চলে আসবার সময় তুমি বার বার ফিরে ফিরে দেখছিলে। আমার তখন মাত্র চার বছর বয়স। খুব মনে আছে গো। আজও বাড়ি নয়, বইএ ঠাসা ঐ আলমারীটার জন্য আমার মন কেমন করে। তোমার সাহিত্যপ্রীতির একটু পেয়েছিলো তোমার বড় নাতি, আমার শ্যামলদাদা। যখন তোমার কালব্যাধি ধরা পড়লো, তোমার তখনও হাত রথ চলে, তখনও নিয়ম করে সন্ধ্যায় গান গাইতে, "আমার সাধ না মিটিল আশা না পূরিল সকলি ফুরায়ে যায় মা...."। শেষ বয়সে আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত, চশমাটা বদলানো গেলো না অথচ চোখের দৃষ্টি হল ক্ষীণ, অসুস্থতাজনিত কারণে বাড়িওয়ালা ভাড়াবাড়ি ছেড়ে দিতে বললো, তখন আমাদের ছেড়ে চলে যেতে হলো তোমাকে বড় মাসীর বাড়ি। তখনও তুমি সেই বইটা হাতছাড়া করোনি। জর্দাপান আর সেই পুজোসংখ্যা- জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সঙ্গী ছিলো তোমার। তারপর এক বৌদ্ধ পূর্ণিমা, বৃহস্পতিবার সজ্ঞানে তুমি চলে গেলে। আর ফিরে এলে না গো। আজ এই ছবিটা দেখে এতো বছর পর তোমার কথা বার বার মনে পড়ছে। তোমার তো চিরমুক্তি হয়েছে। কষ্টের মানুষ্যজন্ম আর নয়। তুমি বেঁচে আছো থাকবে আজীবন আমার মনে। 

                                           ইতি
                                তোমার টুলুনপাখি।





গল্প নয় চিঠি

রু মা না সো ব হা ন প রা গ

প্রিয় শোভন,

সেই কবে থেকে তোমায় লিখি না বলোতো! এই যে আজকে আমি তোমায় লিখছি এটা আমার অভ্যেস। তোমাকে লেখার অভ্যেস। জানি এসব লেখার কোনো মানে হয় না তবুও লিখছি। হয়তো লেখা শেষে সেন্ড বাটনে চাপ না দিয়ে ডিলিট বাটনে চাপ দেবো কিন্তু তবুও এভাবে আমি তোমার সাথে কথা বলার অভ্যাসটা অব্যাহত রাখবো। এটা এক ধরণের প্রসেস অব সেল্ফ হিলিং। 

আমি সিভিয়ার ডিপ্রেশনে আছি। অথচ ভালোই তো ছিলাম এই কিছু দিন আগেও আমার একলার জীবনে বাচ্চাদের নিয়ে। শফিকের সাথে ডিভোর্সের পর প্রথমে খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম; ভাগ্যিস চাকরিটা ছিল। না হলে তো অকূল পাথারে পড়তাম। পয়সার অভাবে নয়; মানসিক অবসাদে। শফিক আসলে আমার কাছে উত্তাপহীন মৃত স্মৃতির অংশ হয়ে আছে। ওর কথা মনে আনতে না চাইলেও বাস্তবতা আর কথা প্রসঙ্গে ও বারবারই আমার কথার মাঝে চলে আসে; এই যেমন এখন চলে এলো।

বাবা হিসেবে সে এখন পর্যন্ত ভালো মানুষ। সন্তানের বিষয়ে আমরা এখনোও কথা বলি। এই কথা বলার মাঝে পেছনের কোনো আবেগ অনুভূতি কাজ করেনা এমনকি ঘৃণাও না। ও এতোটাই দূরের যে একজন অপরিচিত পথচারীর মতোই মনে হয় ওকে অথচ একটা সময় আমরা একে অপরকে ছাড়া কিচ্ছু বুঝতাম না। আমার উপর ওর সকল অন্যায়ের জন্য আমি ওকে পুরোপুরি ক্ষমা করে দিয়েছি। কারণ রাগ আর প্রতিহিংসা মানুষকে কষ্ট দেয়, সেই কারণে আমি ওকে দোষী না ভেবে বরং নিজের ভাগ্য ভেবে ওকে ক্ষমা করেছি।

 আর এখন তোমাকে ভুলে যাবার চেষ্টা করছি। আমার প্রতি তোমার দৃশ্যত কোনো অপরাধ নেই তবে তোমার জন্য যে গভীর ক্ষত তৈরী হয়েছে আমার মনে তা থেকে সেরে ওঠা খুব কষ্টকর হচ্ছে; তবে পারবো। 

যাই হোক যে কথা বলছিলাম; পৈত্রিক সূত্রে বেশ কিছু সম্পদের উত্তরাধিকার বলে অর্থনৈতিক ভাবে আমি কখনও খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাইনি। বাচ্চাদের জন্য কখনও শফিকের কাছে হাত পেতে পয়সা চাইনি আমি, শফিক খরচের টাকা নিজে থেকেই প্রতিমাসে ব্যাঙ্কে পাঠাতো। আমি একবারও ঐ টাকা তুলিনি। ব্যংক থেকে এসএমএস আসতো বলে জানতে পারতাম টাকা ডিপোজিট হয়েছে। ভেবে রেখেছি পুরো টাকাটাই এক সময় বাচ্চাদের নামে এফডিআর করে শফিককেই নমিনি করে দেবো। যে লোকের মায়া মোহ সবই উঠে গেছে আমার ওপর থেকে তার টাকা কেন আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। 

একার জীবনটাকে নতুন ভাবে উপভোগ করতে শিখলাম আমি। তখন প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার পর এক কাপ চা হাতে ব্যালকনিতে বসে ভাবতাম সৃষ্টিকর্তা আমাকে যেভাবে রেখেছেন আমি তাতেই খুশী।

 যদিও আমার এই একার জীবন পরিবারের ও বন্ধুদের অনেকেরই পছন্দ হতো না। ওরা আমার ভবিষ্যত নিয়ে খুব চিন্তা করতো। বলতে গেলে এই বিশ বছরে কমপক্ষে হাজার খানেক ডিভোর্সড, বউ মরা, অবিবাহিত আধাবুড়া, এমনকি আমার বয়সী ছেলের সাথেও বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছি আমি। কিন্তু আমার মন সায় দেয়নি। আমি নারী হয়ে ভাববার চাইতে নিজেকে মানুষ হিসেবে ভাবতে শিখেছিলাম এই লম্বা সময় ধরে। ভালো ছিলাম আমি।
 
কিন্তু হঠাৎই তুমি এসে আমার জীবনের ছন্দপতন ঘটালে। একরকম জোর করেই তুমি আমার মনের ঘরে জায়গা করে নিলে। 

তারপর একটু একটু করে তুমি 

তুমুল বর্ষণ হয়ে এলে আমার জীবনে।

 ধূলো পরা গাছের পাতাগুলো তার

পুরোনো সবুজ রং ফিরে পেল তোমার আগমনে। 

 তুমি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিকে জাগিয়ে

কান্নার লাভা হয়ে এলে আমার চোখে । 

 তুমি সাত রিখটার স্কেলের ভূমিকম্প হয়ে 

আমার মনের দূর্বার প্রাচীরকে চুরমার করলে।

তোমাকে মনে হলো তুমি প্লাবন;

আমাকে আমার কাছ থেকে ভাসিয়ে নিয়ে গেলে।

মনে হলো তুমি সদ্য ফোটা হাসনাহেনা;

যার পাশে সারা রাত জেগে বসে থাকা যায়।

আমি হেরে গেলাম তোমার ভালোবাসার কাছে। 

আমিই আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলাম তোমার কাছে।

 আমি মোহাচ্ছন্ন হয়ে আমার মাঝে 

তোমাকে ধারণ করলাম।

এভাবে হঠাৎই তুমি এসে 

আমার মনের প্রদীপ শিখা জ্বেলে

নিজেই হারিয়ে গেলে সময়ের গহ্বরে । 

আলোর মাঝে কোথাও আর 

খুঁজে পাইনা তোমাকে।

আমি আবার একা হয়ে গেলাম। 

মনে হচ্ছে জনমানবশূন্য ধূ ধূ মরুভূমিতে 

পিপাসার্ত আমি

তোমায় এক পশলা বৃষ্টি হয়ে ফিরে পাবার-

 অপেক্ষায় শতসহস্রাব্দ ধরে বসে আছি।

 তুমি আবার বৃষ্টি হয়ে ফিরে এসো 

আমার এই তপ্ত তনুমনে। 

ভিখিরির মতো মিনতি করি আমি তোমার কাছে

ফিরে এসো তুমি আমার আনন্দ আর বেদনার 

একমাত্র উৎস হয়ে; 

ফিরে এসো।

না থাক; আর ফিরে এসোনা তুমি। এতোক্ষণ যা বলেছি তা আবেগের বশবর্তী হয়ে বলেছি। আসলে তোমার না ফিরে আসাই উচিৎ আমার ভালোর জন্য ।

এভাবে কেন আমি তোমার সাথে জড়ালাম তার কোনো ব্যাখ্যা নিজেকে দিতে পারিনি আমি; এমনকি যাচাই করতেও যাইনি তুমি কেন এভাবে আমার জীবনের ওপর দখল নিচ্ছিলে। তোমার উদ্দেশ্য কি আমাকে নিজের করে নেওয়া নাকি শুধুই প্রেম প্রেম খেলা? মোহমুগ্ধ ছিলাম আমি। কিছু পরিস্কার করে বুঝতে চেষ্টা করিনি এই ভেবে যদি মন বলে এটা ঠিক নয়। যদি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলে দেয় তোমার আসল উদ্দেশ্য।

 আমি ভেবেছিলাম তুমি এসেছিলে আমাকে আমার এই বিপন্ন দশা থেকে মুক্ত করতে। 

আসলে তোমার স্ত্রী অন্য স্টেটে থাকে বলে হয়তো তুমি তোমার লোনলিনেস কাটাতেই আমাকে বেছে নিয়েছিলে। তুমি হয়তো আমাকে তোমার মনের পাপোষ ভেবেছিলে যেখানে মনের সব গ্লানি ঝেড়ে নিজেকে মুক্ত করা যায়। যেখানে এসে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে ফিরে যাওয়া যায়। যেখানে নিজের সমস্ত টেনশন রিলিজ করে বেঁচে থাকার নতুন উদ্যম পাওয়া যায়।  

অথচ আমি কিন্তু প্রভাবিত হয়েছিলাম তোমার কথায়। আমার উপর তোমার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিলো। আমি নিজেকে পুরো বদলেছি শুধু তোমার জন্য। নতুন করে পৃথিবীকে চিনতে শেখালে আমায়। তোমার ওপর ভরসা করতে শেখালে।

আসলে আমি ছিলাম ভীষণই ভালনারেবল, হয়তো মনে মনে চাইতাম কেউ একজন আমাকে ভীষণ গুরুত্ব দিক। যা তুমি ছাড়া এই পৃথিবীর কেউ ধরতে পারেনি। তুমি পেরেছিলে। আমি স্বচ্ছ পানির মতো নিজের সমস্ত কিছু তোমার কাছে বলেছি। ভালোবেসেছি বলে তোমার কাছে কিচ্ছু আড়াল করিনি। কিন্তু পরে যখন আমার প্রতি তোমার উদাসীন আচরণ বুঝতে পেরেছি তখন বুঝেছি তুমি এসেছিলে আসলে আমার সাথে নিছকই সময় কাটাতে।

তুমি যখন প্রায়ই আমার টেক্সট সিন করে রিপ্লাই দাওনি আমার তখন ভীষণ কষ্ট হতো। এ কাজটা প্রায়ই করতে তুমি। আমি তোমার অবহেলা মানতে পারিনি। ভয়ংকর ডিপ্রেশনে চলে গেছি আমি। তুমি আর কোনোদিন আমার কোনো টেক্সটের রিপ্লাই দিয়োনা প্লিজ। বা নিজে থেকে খুঁজে দেখতেও এসোনা যে কেন আমি লিখছিনা তোমায়। আমি চাচ্ছি তোমাকে ভুলে গিয়ে আবার আগের জীবনে অভ্যস্ত হতে। 

আমি জানি তুমি আর আমার জীবনে নেই কিন্তু একই সাথে তুমি আছো আমার অস্তিত্বের সাথে মিশে। বেশ শক্ত পোক্ত ভাবেই আমার মনের ঘরে গেঁথে বসেছো। না চাইলেও তুমি ভেসে ওঠো আমার মানসপটে ঠিক আগের মতো করে। হয়তো এখন তুমি নতুন কাউকে জানার নেশায় মেতেছো আথচ আমি সেই তোমাতেই ডুবে আছি। আমি চেষ্টা করছি বাস্তবে ফিরে আসার।

 আমার পদস্খলন হয়েছিল; তুমি যেদিন থেকে আমার জীবনে এসেছো সেদিন থেকেই। আমি আমাকে হারিয়েছি, তোমার জন্য নিজের সাথে লুকোচুরি করেছি। এটা আমার প্রতি আমার বিরাট অন্যায় হয়েছে। আমি যে মনের পাপ করেছি একজন বিবাহিত পুরুষকে ভালোবেসে সেটাই সবচেয়ে বড় পাপ আমার নিজের জীবনে।

এখন আমি নিজের মনকে বোঝানোর চেষ্টা করছি এই ভেবে যে আমারই ভুল ছিল। কিন্তু যখন তুমি হঠাৎই আবার টেক্সট করবে তখন আমার সব ন্যয়নীতি বোধ নস্যাৎ হয়ে যাবে। খুব কষ্ট হবে তখন বাস্তবের সাথে খাপ খাওয়াতে। তুমি আর আমায় লিখোনা প্লিজ। আমাকে বাকিটা জীবন আগের মতো করেই থাকতে দাও। 

এই সম্পর্কহীন সম্পর্কের বেড়াজাল থেকে আমায় মুক্ত করো শোভন।

                                               ইতি
                                               তিথি





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল সংখ্যা || ৪ ফাল্গুন ১৪৩০ || ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || বাসন্তী সংখ্যা || ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ১০ মে ২০২৪