ছড়া


খুকু ও পুষি

বি কা শ গুঁ ই


এক যে ছিল পুষি
নামটি তাহার টুসি,
খুকুর সঙ্গে বন্ধু হ'ল
টুসি বেজায় খুশি।

খুকু বলে, আচ্ছা টুসি
কোথায় থাকিস তুই?
টুসি বলে, চিলেকোঠায়,
মায়ে পোয়ে শুই।

খুকু বলে, তা বেশ বেশ !
আমিও বিকেল বেলা ফ্রি,
আয় না টুসি খেলা হবে
হবে, দারুণ মজা-কী !

টুসি রে! আমার মেয়ের বিয়ে
তুই কনের ঘরের মাসি,
দু'হাত তুলে টুসি বলে,
খবরটা মাকে দিয়ে আসি।







বসন্ত

ম ণি কা  বি শ্বা স  ক র্ম কা র

দুরন্ত এক ঝড় উঠেছে
           মনের আঙ্গন দিয়ে
জমা যত ময়লা ধুলো
          কোথায় পড়লো গিয়ে।
পাইনা খুঁজে অনেক দিনের
          পুরনো এক চিঠি
ফাগুন দিনের রঙে লেখা
           গভীর প্রেমে জমাটি।
ছুঁয়ে গেল মনটি আমার
            কাঁপিয়ে গেল দেহটি
অনুভূতির বিরহ ব্যথায়
              ভরে আছে মনটি।
   এমন ঝড়েই পেয়েছিলাম
              প্রথম ভালোবাসা
তেমন ঝড়েই উড়ে গেল
            সুখের গড়া বাসা।





সেদিনের কথা

গী তা লি  ঘো ষ

তোমার ঘরে পড়ে আছে
    আমার শতেক স্মৃতি...
আমার ব‍্যথা, আমার সুখের
     শ্রুতিমধুর গীতি। 

রঙ বেরঙের স্বপ্ন ছিল 
      তোমার আমার মাঝে।
কেমন করে ভাঙল সে সব,
     আজ প্রাণেতে বাজে। 

তোমার নৌকা পূব দিকে বায়,
         আমার উত্তরে।
বিসর্জনের বাজনা বাজে
         স্রোতের গভীরে। 

সেদিন রেখে এলাম যেসব
         স্মৃতির নানা ছবি,
জানলা বেয়ে হাওয়ায় হাওয়ায়
          পালায় বেহিসেবি। 

আজকে আমার নিশুত রাতে
           হিসেব মেলে না তো---
কোন দেরাজে রাখলে তুমি 
           আমার গোপন ক্ষত? 

ফাল্গুনী চাঁদ বেরঙ দেখায়
         আমার ঘরের দাওয়ায়,
তোমার কাছে রইল পড়ে
          আমার সকল মায়া। 

আমার ঘরে বসত করে
         হারানো সেই সুখ---
তোমার ঘরে রইল পড়ে
        অবুঝ প্রেমের দুখ। 

তোমার ঘরে থাকুক আমার 
        ভুলে যাওয়া গান।
মনের কোণে রাখব আমার 
         সকল অভিমান। 

জানবে না কেউ তোমার আমার 
          রাতের ব‍্যাকুলতা,
আমরা দুজন দুটি প্রান্তে
           কইব প্রাণের কথা। 

নাই বা জানুক এই পৃথিবী 
           বিরহী প্রেমগাথা
আমাদের সেই ব‍্যস্ত ব‍্যাকুল
         আনন্দময় ব‍্যথা।।






সময়

কা জী  নু দ র ত  হো সে ন


উথলে ওঠে বুকের নদী

দুলতে থাকে নাও

ঢেউ থামলে শ্যাওলা জমে

কচুরিপানাও..

সময় জমায়, সময় ভাসায়

ফুল ও আবর্জনা

আঁধার ঘেরে, আঁধার টুটে

ফোটে আলোককণা।

সময় নাচায়, সময় কাঁদায়

সময় নাড়ায় ভিতও

সময় ডোবায় অমানিশায়

করেও আলোকিত।

সুখ ও দুখের দুটি ডানায়

ওড়ে জীবনপাখি,

উড়তে উড়তে শূণ্যে মেশে

সময়কে দেয় ফাঁকি।






মা

স র মা  দে ব দ ত্ত 

তোমার আমার সেই যে সুর
প্রাণে প্রাণে সাধা
দুটি মনের দুটি তার 
এক সেতারে বাঁধা 

তুমি হারা উদাস এ মন 
শোক সাগরে সন্তরে
দূরে গিয়েও যাওনি দূরে 
রয়েছ মোদের অন্তরে

আমরা তোমার শিরা ধমনী
রক্ত বহা নালী
সুর বাগানের কলি মোরা
তুমি ছিলে মালী

দূর আকাশে ঔ দেখা যায় 
উজল নক্ষত্রটি
স্নিগ্ধ আলোর পরশ জানায়
তোমার উপস্থিতি





নবীন

সু শা ন্ত  সে ন

নতুন ধারণা নতুন গদ্য নিয়ে
একলা খেলছে ঝুঁটি বাঁধা এক টিয়ে। 
নদীর জল বইলে কি হয় নাব্য
দুটি ছত্র লিখলে কি হয় কাব্য!
সোনাঝরা রোদে আকাশটা থাকে ফর্সা
তোমার কাছেই আছে জীবনের ভরসা।
দুরন্ত এই ছুটে চলা দিন যাপনে
শুরু হয় দিন মৃদু মৃদু হিয়া কাঁপনে,
কি করে তাহলে গড়বো নতুন বিশ্ব
কোন গুরু এসে করবে আমাকে শিষ্য!







হারানো সময়

ব ন্দ না  ম ন্ড ল  মি ত্র

রোজনামচার বিকেলবেলায় 
বাতাস কাটে বিলি
ছোট্টবেলার কুহু রে তুই
কোথায় চলে গেলি?

নতুন পথে খুঁজতে গিয়ে
হারিয়ে ফেলি পথ
কোলাজ করে রাখছি মনে
স্মৃতি ভরা তট।

গন্ধে ভেজা ভোরের হাওয়া
বলছে ডেকে ঐ-
ঘুম জড়ানো কাক সকালে 
ফুলচোরা তুই কই?

বোশেখ মাসে আমগাছে ঢিল
জৈষ্ঠ্যে কালো জিভ
আষাঢ় শ্রাবণ কাকভেজা দিন
ভাদ্রতে টিপটিপ।

আশ্বিন মাসে আকাশ ভ'রে
পেঁজা তুলোর মত
তোর পরশে জুড়িয়ে গেছে
কত শত ক্ষত।

কার্ত্তিক মাস তুই ছিলি যে
গোল্লাছুটের বুড়ি
স্কুল ফেরত পথের পাশে 
ফুচকা ও ঝালমুড়ি।

ডাকছি কাতর আবেগ ভরে
চল্ ফিরে যাই ভাই,
ছোটবেলার দিনগুলিকে
(যদি) আবার ফিরে পাই।







প্রথম কদম ফুল

চ ন্দ ন  সা হা 


তার সাথে আবার দেখা 
             চলতি পথের বাঁকে 
ভালো আছো? আলতো করে
             শুধাই আমি তাকে। 
রাগ অভিমান উষ্মা ঘৃণা 
               মিশ্রিত এক স্বরে
হারিয়ে গেলে? নাকি পালিয়ে গেলে? 
             প্রশ্ন দিল ছুড়ে। 

কেমন করে বোঝাই তাকে
             কিশোর মনের খেলা
 নিজের মনই নিজের কাছে 
             অজানা সেই বেলা। 
কিশোর মনের আকাশেই
              রামধনু  রঙ ধরে 
মাটির পরে সেই আলোতে
             শুধুই ছায়া পড়ে। 

 নিজের মনে উঁকি দিয়ে 
            নিজের মনকে চেনা 
মনোবিজ্ঞান শিক্ষা আলোয়
              আত্মমনন শেখা। 
নিজের মনের অজানা দিক
              বেদনাদায়ক ভীষণ 
কিন্তু তখন সদ্য সকাল 
             সামনে দীর্ঘ জীবন। 

নিজের ভুল স্বীকার করা
            সেই কি আমার পাপ? 
মিথ্যে ভিতে গড়া জীবন
               ভীষণ অভিশাপ। 
ভন্ড আমি পারিনি হতে
              সেই কি আমার ভুল? 
অন্য ডালে বেঁধেছি গুটি
         কিন্তু তুমিই প্রথম ফুল।।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল সংখ্যা || ৪ ফাল্গুন ১৪৩০ || ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || বাসন্তী সংখ্যা || ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ১০ মে ২০২৪