পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রথম বর্ষ।। দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ।। হিমেল সংখ্যা।। ২৫ পৌষ ১৪২৮।। ১০ জানুয়ারি ২০২২

ছবি
                                    =সূচিপত্র= সম্পাদকীয় প্রবন্ধ ১) বহুমুখী সতীনাথ - গীতশ্রী সিনহা গল্প ১) ক্যামেলিন - সুজাতা দাস ২) বিজয়া - সুজিত মুখোপাধ্যায় ৩) চাবিওয়ালা - নীলিমা চ্যাটার্জী ৪) কলিংবেল - অজয় কুমার বিশ্বাস ৫) পুনর্জন্ম - নন্দিতা সোম ৬) প্রত্যাশা - অশোক কুমার মোহান্ত ৭) কেন এমন হলো - কাকলি বসু ৮) কথা দিলাম আবার আসবো - মালা চ্যাটার্জি ৯) উত্তরাধিকার - সর্বানী রিঙ্কু গোস্বামী ১০) ওখানে কে - সঞ্জয় বিশ্বাস অণুগল্প ১) তদন্ত চলছে - বিকাশ গুঁই ২) পার্থক্য - সোমনাথ বেনিয়া ৩) বনলতা সেন - মধুমিতা রায় ৪) হলুদ পাখি - শ্যামল কুমার মিশ্র ৫) মিতালি দিদিমণি - শ্যামল কুমার মিশ্র মুক্তগদ্য ১) পথচলা - শ্রী সারথি মজুমদার ২) এ খেলা চলছে নিরন্তর - ডঃ ময়ূরী মিত্র কবিতা ১) মুড - ডঃ তারক মজুমদার ২) অভ্যাসের গল্প - পিন্টু ঘুঘু ৩) কবিতার অন্বেষণে - পলাশ বিশ্বাস ৪) আজও - তুলি মুখার্জি চক্রবর্তী ৫) বেওয়াফা - তুলি মুখার্জি চক্রবর্তী ৬) হেমন্তের কবিতা - সুশান্ত ভট্টাচার্য ৭) বোনকে - সুশান্ত ভট্টাচার্য ৮) আলো অন্ধকারে - অসীম দাস ৯) মাটির মহতী আয়ু - অসীম দাস ১০) খোঁজে - ছোটন গুপ্ত ১১) সাদা ভ

প্রবন্ধ

বহুমুখী সতীনাথ গী ত শ্রী সি ন হা প্রত্যেক যুগেই দেখা গেছে সাহিত্য, রাজনীতিসহ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গড়ে ওঠে কতগুলো বৃত্ত। এই বৃত্তই নির্দিষ্ট করে ক্ষেত্রগুলোর পথ রেখা এবং তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় ঘটনা -দুর্ঘটনা। আর সেই বৃত্তের বাইরে যাঁরা থেকে যান, ইচ্ছে বা অনিচ্ছায় অনুসরণ করতে পারেন না সেই পথরেখা, যতই প্রতিভাধর হন, সমকালে তাঁরা থেকে যান ব্রাত্য। হয়ত মহাকাল তাঁদের প্রতি কখনও কখনও সুবিচার করেন। যদিও বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রবলয় বা কল্লোল বলয় -এর বাইরে বলয় - ব্রাত্য যে প্রতিভাধর লেখকেরা ছিলেন, বিশেষত প্রবাসী লেখকরা, তাঁরা প্রচারে পুরো আলো না পেলেও জিজ্ঞাসু পাঠকের কাছে অপরিচিত ছিলেন না। তাঁদের তৈরি নিজস্ব ঘরানা সমকালেই পাঠক সাধারণকে ভাবতে বাধ্য করেছিল। এই বলয় - বৃত্তের বাইরের একজন প্রতিভাধর লেখক হলেন সতীনাথ ভাদুড়ি। বাংলা সাহিত্যে সতীনাথের পরিচিতি 'জাগরী' ও 'ঢোঁড়াই চরিত মানস' - এর স্রষ্টা হিসাবে। একদিকে পূর্ণিয়ার জীবন অন্যদিকে বিভিন্ন পরিবেশ প্রতিবেশের সঙ্গে যুক্তি - বিযুক্তির ফলে অর্জিত অভিজ্ঞতাবিধৃত হয়ে আছে এ উপন্যাস দুটিতে। এই উপন্যাস দুটি আঞ্চলিকতার দোষে দুষ্ট হয়েও ব

গল্প

* ক্যামেলিন * সু জা তা  দা স বাস থেকে যখন নামলো অনামিকা  ইকোপার্কের সামনে তখনও সূর্য অস্ত যায়নি, শেষ বিকেলের রোদটা একটু জ্বালা ধরাচ্ছে শরীরে। যদিও এটা আশ্বিনের শেষ আর কার্তিকের শুরু তবুও রোদের আঁচটা গা পোড়াচ্ছে। ছাতাটা বার করে একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে নিল হাতটা কপালের উপরে রেখে, তারপর ছাতাটা খুলে নিলো অনামিকা। আরও অনেকটা পথ যেতে হবে মনে মনে ভেবে তাড়াতাড়ি পা চালালো সে। নিজের জীবন নিয়ে সে একটুও আফসোস করেনা কারন সে সময়কে মানতে জানে। একসময়ের বিখ্যাত পরিবারের মেয়ে ছিল সে। নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছিল কমলেশ চৌধুরীকে।  ছন্দপতন ঘটেছিল সেই সময় থেকেই জীবনে, মেনে নেয়নি বাড়ির কেউ কোনোদিনই আর অনামিকাকে। তবে মেনে নিয়েছিল কমলেশের নিম্নবিত্ত পরিবার। একটা মিষ্টি হাসি সবসময় তার মুখে লেগে থাকতো শত কষ্টেও। কখনও ভুল করেও তার ব্যবহার আর ব্যক্তিত্বে ফুটে ওঠেনি ফেলে আসা দিন। সকলের মনমতো নিজেকে তৈরী করেছিল যাতে কমলেশের পরিবার দুঃখ না পায়। তারপর একদিন কোল জুড়ে এলো অমু (অমলেশ চৌধুরী)। পরিবারে আনন্দের বান ডাকলো। কমলেশের নতুন চাকরি হলো বিদেশে। খুব কেঁদেছিল অনামিকা সেই সময় আড়ালে, একমাত্র এই লোকটির জন্য সে সব ছেড়ে চলে