আমাদের কথা
রানারের ইতিবৃত্ত
রানার নামটির সাথে পরিচিতি ঘটে সেই ছোটবেলা থেকে,কবিতা ও গানের মাধ্যমে। রানার দেখার ইচ্ছে জাগলো শিশুমনে। মা বললেন রানার মোয়াপাখির মতো লুপ্ত। পরে বুঝেছি রানার এক বিলুপ্ত পেশার নাম। আফশোস হতো খুব রানারকে কেন কেউ বাঁচিয়ে রাখলো না। এভাবেই অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেলো, চিঠিপত্রের আদান-প্রদানও প্রায় বন্ধ, স্যোশাল মিডিয়ার রমরমায় ফেসবুক গ্রুপগুলোকে দেখে আমাদেরও গ্রুপ তৈরি করার ইচ্ছে হলো। ২৫ শে বৈশাখ, ১৪২৩ (ইং ৮-ই মে,২০১৬) মনের অনুভূতিগুলোকে সাকার রূপ দিতে এবং সদস্যদের চিঠির নস্টালজিয়ায় নিমজ্জিত করতে, সর্বোপরি আমার আবাল্য-লালিত সুপ্ত ইচ্ছাকে রূপ দিতে তৈরি হলো ফেসবুক গ্রুপ "রা না র"।রানার তার শৈশব অতিক্রম করছিলো বাধাহীন ভাবেই। তাকে প্রথমে কোনো নিয়মের শৃঙ্খলে বাঁধা হয়নি, ইঁদূর-দৌড় প্রতিযোগিতাতেও ঠেলে দেওয়া হয়নি। মনের আনন্দে ছুটছিলো সে। কিন্তু তারপর অপ্রত্যাশিতভাবে বিপর্যয় এলো। হঠাৎ কিছু দুষ্টের ছলে বিধ্বস্ত ও ভূপতিত হয় সে। কেটে ছড়ে যায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, আবারও শুশ্রূষার দ্বারা তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। এখন সে তারুণ্যে উপনীত। দৃষ্টিকোণ নামক নতুন একটি বিভাগ সেখানে চালু হয়েছে। গুণীজন সদস্যবন্ধুদের মৌলিক দৃষ্টিকোণে নব নব সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে। ঠিক এমন সময় ২রা আশ্বিন, ১৪২৮ (ইং ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১) রানারের একজন স্বনামধন্য কবিবন্ধু বললেন,"রানার কি শারদীয়া বার করছে ? জানাবেন। লিখবো, যত সময়াভাবই হোক।" অ্যাডমিনদের মধ্যে এ বিষয়ে কথা হলো, ঠিকই তো, ছোট করে বের করাই যায়।ঐ দিনই শিল্পনির্দেশক ও কারিগরী আলঙ্কারিক তৈরি করে ফেলেন পত্রিকার নীল-রূপরেখা। দীঘল রাতের শ্রান্ত সফর শেষে এ যেন এক নতুন দিগন্ত, নতুন প্রভাত। মাভৈঃ রানার।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন