পত্রসাহিত্য

আগমনীর ধ্বনি

সু ল গ্না চৌ ধু রী


প্রিয় তিথি, 
তোকে যখন এই পত্র লিখছি তখন শ্রাবণী পুর্ণিমার  ঝলমলে আলোয় ভেসে যাচ্ছে আমার শহর। উৎসব দুয়ারে, মন নেচে উঠছে। সে উৎসবের আগমনী বার্তা প্রতিদিন একটু একটু করে প্রকৃতির চারদিকে ধ্বনিত হচ্ছে।  
রোজ সকালের রবি রশ্মি এক অদ্ভুত সোনালী আভায় সাজাচ্ছে তার চারপাশ, লাল, নীল, হলুদ ফড়িং উড়ে বেরাচ্ছে বাগানময়, প্রজাপতির রঙিন পাখার বিচ্ছুরণ চারপাশকে আরও রঙিন করে তুলছে।  
প্রকৃতি সাজছে, সাজছে মানুষের মন, বৃষ্টিস্নাতা কামিনী ফুলের খসে যাওয়া পাপড়িরা পথ সাজিয়ে তুলছে। "মা" যে আসছেন দূর হতে তার আগমনীর শুভ সূচনা।  

ঠিক সেই দিন গুলোতে আমরা যে ভাবে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতাম, তিনি আসবেন, তিনি আসছেন, তিনি এসে পড়েছেন। শিউলি ঝরানো সকাল গুলো গন্ধে বিভোর হয়ে থাকতো। সে ফুল তুলে মুঠো ভরে থাকতাম, গন্ধ নিতাম মন ভরে, আজও সে গন্ধ বিভোর করে রাখে…  বিভোর করে রাখে আর ও কতো শত স্মৃতি…

আজও কান পাতলে শোনা যায় আমাদের সে রেখে আসা দিনের গল্পগুলো…তোর আর আমার সেই এক সাথে এক দোকানের জামা কাপড় কেনার দিনগুলো, সখ্যতা মাখানো আমাদের রেখে আসা সব কিছু।
কতো পরিবর্তন জীবন জুড়ে তবু শিকড়কে ভোলা দায়, প্রতি মুহূর্তে এমন গাঁথা সে, সব কিছুতেই সে সকল অনূভুতি।  
আজও খবরের কাগজ জুড়ে শারদীয়া পূজা সংখ্যার বই গুলোর বিজ্ঞপ্তি, বিজ্ঞপ্তি আরও কত কিছুর, তবে জানিস এর সাথে হারিয়েও গেছে কতো কিছু সেই যে গ্রামাফোন কোম্পানির পূজা সংখ্যার গান! তাকে ঘিরে রাখা ছিলো উন্মাদনা, প্যণ্ডেলে, প্যান্ডেলে বাজতো যা, আজ দূর থেকে ভেসে আসলে বুক মুচড়ে ওঠে।  
উৎসবমুখর বঙ্গজীবনে উৎসব এসে দাঁড়িয়েছে দুয়ারে। বয়েস বেড়েছে সংখ্যায়, কিন্তু মন? সে তো আজও চঞ্চলা কিশোরী হয়ে কাশবনে তোদের সাথে দৌড়ে বেড়ায়। 

স্মৃতি সতত সুখের তাই অবসরে আজও হাতড়ালে কানে শুনি জেঠুর বাড়ির দুর্গোৎসবের মধুমাখা হৈচৈ, বাঁশবাঁধা মণ্ডপ পাড়ার রাস্তার মাঝে, সেই সাথে রেখে আসা কত স্মৃতি!
মনে আছে তোর? বিদ্যালয় থেকে তুই আর আমি যে পথ দিয়ে বাড়ি ফিরে আসতাম সেই জল টইটুম্বর দিঘির মাঝখানে ফুটে থাকা লাবণ্যময়ী জলপদ্ম, আর সাদা শালুক, দূরে কারো বাড়ির বারান্দার রেলিং বেয়ে ঝুলে পড়েছে ভাদ্রমাসের রোদ্দুরে রাখা আলমারি খুলে বার করে আনা পুরাতন জামা কাপড়। গোটা মফঃস্বল জুড়ে জমে উঠত কেনাবেচা! সেই বিকিকিনির মাঝে হারিয়ে যাওয়া সাত থেকে সত্তর সকলের মুখ মনে পড়ে রে, আজও খুঁজি। সেই দিনগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। হয়তো মানুষের গতিময় জীবন হারিয়ে ফেলেছে অনেক কিছুই। শুধু অন্তর জুড়ে রাখা রয়েছে সে সব  অনুভূতিগুলো। সব পার্বণ একে, একে পার করে আর যখন বাকি থাকে! এই তো! আর মাত্র সাতটা দিন! মহালয়ার পুণ্য প্রভাত প্রাণের উপচে পড়া খুশীর জোয়ারে আমরা ভাসতাম। রেডিওতে শুনতাম আগমনী গান। নতুন জামাগুলো কতক্ষণে গায়ে চড়াবো, সে প্রশ্ন মাথায় নাচতো! তোর আর আমার যে কোনও একটা নতুন জামা একই রকমের হতোই, হতো। সত্যি কি দিন ছিলো, ফিরতে চাই, পারি কই?  
আমাদের শৈশব, কৈশোরে পরিপাটির লেশ মাত্র ছিলো না, খোলাচুল, এলোমেলো অগোছালো সবকিছু, আজ ভাবি মা দুর্গার চালচিত্র কাঠামো দেখে, "মা" মানেই ধৈর্যশীলা, তাই তার পরিবারে সিংহ বাহিনী মায়ের সাথে সাপ, প্যাঁচা, ইঁদুর এর পাশে ময়ূরেরও অবস্থান। সকল কে নিয়েই মা। সেই উৎসবের উঠোনে হঠাৎ করেই প্রেমে পড়া, প্রথম শাড়ী পরে অঞ্জলি দেওয়া সকাল গুলোতে সে প্রেম কেমন যেন সোনা রোদ্দুরের মতন ঝিকিয়ে উঠতো। ক্রমশ চারটি দিন পার করে আসা দশমীর সকাল মন খারাপ সব কিছু কে ঘিরে, ঢাকের বাদ্যি মলিন ঠেকত কানে। "আবার এসো মা" এই শব্দ কটা বলে আমাদের ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সন্ধ্যাবেলা এইবাড়ি, সেইবাড়ি ঘুরে, ঘুরে নাড়ু নিমকির বিবিধ আয়োজন উপভোগ, আবার প্রতীক্ষা, প্রতীক্ষা সকল কিছুকে ঘিরে। 

শূন্য মন্ডপ, আর পূজোর উদোক্তা দের আবার ফিরে যাওয়া নিস্তরঙ্গ জীবনে, বিসর্জনের পর মাটি ধুয়ে চলে যায়। স্থলপদ্ম, আর শিউলির ফুটে ওঠার নিরুচ্চারণে মন যেন কেমন কেমন, বৎসরান্তে মা আসার আনন্দে বুঁদ হয়ে থাকা দিনগুলো আজও মধ্যচল্লিশে কেমন যেন ডাক দিয়ে নিয়ে যায় উৎসবের অঙ্গনে, সেই যে শ্রাবণ, ভাদ্রর সন্ধ্যা থেকে ঝমঝম, রিমিঝিমি, টিপিরটিপির করে পড়া বৃষ্টির শেষে রাত ঘনিয়ে আসে, রাস্তার হ্যালোজেন আলোয় চোখ রাখলে দেখতে পাই হাল্কা ধোঁয়া ধরা কুয়াশার আসরে অল্প, অল্প করে শরৎ ঋতুর আগমন বার্তা। 

চোখ বুজে দেখি সেই তোর আর আমার ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়ার দিনগুলো মধুমাখা সেইসব দিন। আর আজ কর্তব্যরত জীবনের জোয়াল কাঁধে কদমফোটা  শ্রাবণী বারিধারায় সিক্ত পথ বেঁকে চলে যায় শরৎঋতুর উঠোন ধরে ক্ষণিকের হেমন্তের আলোর শেষে শীতের কুয়াশা ঘেরা সকাল, সন্ধ্যারা ঘনিয়ে নিয়ে আসে ছায়াময়, মায়াময় জীবনের আরও এক পা এগিয়ে যাওয়ার পথে।

ভালো  থাকিস বন্ধু আমার।দেশে এলে নিশ্চয়ই দেখা হবে। 

তোর বন্ধু  বিনীতা






খোলা চিঠি

জ বা ভ ট্টা চা র্য


প্রিয় নতুন বৌঠান, 
কি হলো? সম্বোধনটা শুনেই তোমার সুচারু ভুরুজোড়া কুঁচকে গেল কেন? ঐ সম্বোধনে আর কারুর অধিকার নেই না কি? তা হোক, তবু তোমায় ঐ নামেই আমি ডাকি। একটা জিজ্ঞাসা বহুদিন থেকে আমাকে কুরে কুরে খায়, যদিও এ নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়েছে অনেক, কিন্তু আজ আমায় উত্তরটা দাও বৌঠান, কেন তুমি নিজেকে শেষ করলে এমন করে? কোন দহন থেকে?
ভালোবেসেছিলে? পরিনতিহীন সে ভালোবাসা তা তো তুমি জানতে, স্বামীসঙ্গসুখ তুমি পাওনি, তাই বুঝি হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে আঁকড়ে ধরেছিলে যে তোমায় বোঝে, যে তোমায় বলে, ছোটখাটো দুঃখের কথা ভুলে যাও। যে তোমার জীবন জুড়ে ছিলো, তোমাদের নন্দনকাননের অমল সকালে, শয়নকক্ষে নিঝুম দুপুরে, দক্ষিণের বারান্দার বর্ণময় বিকেলে, ছাদে স্নিগ্ধ সন্ধ্যা থেকে মগ্ন রাতে।
বুঝি, তোমার কিছু করার ছিলো না, তুমি তো সামান্যা নারী, অন্তরের উজানে যে টান তাকে অস্বীকার করবে কি করে? সৌন্দর্যের অমরাবতীতে তোমার মতো সামান্যাকে গানে গেঁথে, ছন্দে বেঁধে যে তোমায় অসামান্যা করে তুলেছিলো, তোমার চোখের মায়ায় যে অসীমের মগ্ন মল্লারের সুর ছুঁয়েছিল তাকে বৈধতার প্রশ্ন তুলে দূরে ঠেলবে এমন শক্তি শুধু তোমার কেন কোনো মেয়েরই বোধহয় থাকেনা।
বোকা মেয়ে, তোমায় নিয়ে কেউ যদি লেখে "অনন্ত এ আকাশের কোলে, টলমল মেঘের মাঝার, এখানেই বাঁধিয়াছি ঘর, তোর তরে কবিতা আমার" তাহলেই কি নিজেকে তার জীবনের ধ্রুবতারা ভাবতে হয়? কি পেলে বলোতো নিজেকে এভাবে নিঃশেষে বিলিয়ে দিয়ে? আর সকলেরই তো ঘর, সংসার, সন্তান সবই থাকলো, শুধু তুমিই------ তোমার মৃত্যুর পর তোমার ঘরে দাঁড়িয়ে তোমার ভালোবাসা বলেছিল "এ ঘর বিধবা, মৃত্যুরও মৃত্যু হইয়াছে এই ঘরে, দুইখানি দরজা ছাপাইয়া দাঁড়াইয়া আছে ঘরখানি----" ওইটুকুই জানোতো, শুধু ঐটুকুই।
আচ্ছা বৌঠান, ভালোবাসা ভাগে কি এতো ভয়, এতো কষ্ট!! তেমন করে ভালোবাসলে বুঝি তাই হয়। তেমন করে ভালোবাসলে বুঝি ছেড়ে দেওয়ার চাইতে মরে যাওয়া সহজ? 
আমিও যে তোমার মতোই বোকা মেয়ে, তবে আমারও কি মৃত্যুই নিয়তি বৌঠান? আমার ঘরখানাও কি বিধবা হবে? কেউ লিখবে আমাকে নিয়ে, 
"চেয়ো না চেয়ো না ফিরে ফিরে
হেথায় আলো নাহি, অনন্তের পানে চাহি
আঁধারে মিলাও ধীরে ধীরে।"
পাবেনা, পেতে পারোনা, সব জেনেও আমার এ ঠিকানাবিহীন চিঠিখানি তোমার উদ্দেশ্যে পাঠালাম।

-ইতি
হয়তো তোমারই মতো কোনো এক হতভাগিনী





হলুদ পাখি

শি খা না থ


প্রিয় সুচিত্রাদি, 
তুমি তো জানো- শোক আর সুখের বড্ড সূক্ষ্ম অন্তর্দ্বন্দ্ব। সময়ের যেন নির্বিকল্প সমাধি। ঠেললেও নড়ে না, ঠিক এখন যেমন। অনবরত দ্বৈরথ চলছে, ঘরে বাইরে। তরঙ্গ তেমন খেলছেনা। সুচিত্রাদি, তোমার পাশে বসে গল্পে কাটিয়ে ছিলাম কিছু মূহুর্ত। তুমি হয়তো এখন মনে করতে পারছ না তাই না? কত জনকেই বা মনে রাখবে তুমি। তোমার পাশে বসে তোমার কথা শুনেছি মন্ত্র মুগ্ধের মত। তখনো তো ভাবিনি, কখনো কলমটা আমি ধরার চেষ্টা করবো! পাশের পাড়ার লোক। আসা যাওয়ায় দেখা। পথ চলতি ভালোলাগা। তোমার প্রথম উপন্যাস দেশে পড়লাম, কাছের মানুষ। ভালো লাগা তোমায় আরো আরো অনেক কাছে এনে দিলো। সবাই এখন তোমার অতীতটা জানে। পাশের নাজির বাগানে শুরু তোমার জীবন যুদ্ধ। সে দিকে নাই বা গেলাম। সে বার এলেনা তুমি আমাদের পাড়ায়। ২০১৩ সাজিয়ে ছিলাম শ্যামা। পাড়ার কুশীলবদের নিয়ে। তুমি রিক্সা থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙ্গেছিলে। পায়েও খুব চোট পেয়েছিলে। সেই থেকেই এটা ওটা শরীর খারাপ চলতে থাকলো। তোমার উত্তরীয় আজও তোমার কথা একই ভাবে মনে করায়। তুমি, শীর্ষেন্দু বাবু, তারাপদ বাবু আসতে পাশের বাড়ির বিভূতিদার কাছে। ওই ছোট্টঘরে আড্ডা। বিভূতিদা ছদ্ম নাম ব্যবহার করতেন" অভ্র রায়।" যাদবপুরে পড়াতেন। আমি ভুলতে পারি না গো। অমলিন স্মৃতি। তুমি নেই, বিভূতিদা নেই, মীরা দি নেই। লকডাউনের আগে গত বছরের কথা শীর্ষেন্দু বাবুর সাথে দেখা হয়ে ছিলো। তখন তো জানতাম না। তোমাদের স্বাক্ষরটাও প্রয়োজন। অবশ্য দিতে না। মাথায় আলতো চাঁটি মেরে সরিয়ে দিতে। ২০১৫-র ভাবতে চাইনা সেদিনটা। ১২ই মে পার করে তোমায় ভাবলাম। আজ আর নয়... ভালো থেকো। দেখা হবে ঠিক একদিন। অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে। 'হলুদ পাখি' তোমার উপন্যাস... আজ তোমায় ওই নামেই ডাকলাম।
                     শিখা ...






জ্বালিয়ে রাখি আশার দীপ

শ্যা ম লী ব্যা না র্জী


হে আমার প্রিয় নির্মম অপ্রেমিক,

আমার সঙ্গে জন্মজন্মান্তরের কীসের এত শত্রুতা তোমার? ক্রুর বাজপাখীর মত নৃশংস তুমি চেয়ে থাক অসহায়া আহত কপোতীটির দিকে। তোমার বজ্র কঠিন চঞ্চু তার হৃদয় খুঁড়ে আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করে ক্রোধের ও প্রতিহিংসার নিবৃত্তি ঘটায় বারেবারে।
যতবার সে তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করে, রক্তাক্ত হৃদয়কে সময়ের প্রলেপ দিয়ে শান্ত করে, পেলব করে, যতবার সে তার ক্ষুদ্র কিশলয়ে নব জীবনের অভিষেক করে, আহত জীবনটাকে নতুন আঙ্গিকে সাজায়, তোমার দেওয়া সমস্ত আঘাত ভুলে খোঁড়াতে খোঁড়াতে দাঁড়িয়ে ওঠে, তুমি ততবার ‌সেই নবীন চারাটিকে পা দিয়ে থেঁতলে থেঁতলে, খুবলে খুবলে, খুঁচিয়ে শোণিত দেখতে চাও। ক্ষতে আহত যন্ত্রণায় যখন বুকটা অসহ্য কষ্টে থরথর করে কাঁপতে থাকে তখন গাছের ডালে বসে তুমি দেখো আর তৃপ্তি পাও। যেন এক হিংস্র পশু প্রকান্ড একখানা ঘরে নিষ্ঠুর প্রতিশোধের আনন্দে থাবা চাটতে থাকে। সারা জীবন ধরে কষ্টের এই পারাবার পেরিয়ে তবু ছুটে ছুটে আসি তোমারই কাছে। এই আমার ভাগ্যলিপি। তোমার বাজপাখীর ক্রুর চঞ্চু যখন আমায় ঠোকরায়, বুকের মাংস কুচি কুচি করে ছিঁড়ে খুঁড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় চারপাশে তখন ভয়ার্ত আমি ঘরের অন্ধকার কোণটিতে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে পালাতে চাই, সারা ঘরে আমার রক্ত, মাংস, পালক ছড়িয়ে পড়ে, তখন মনে হয় এই বুঝি শেষ! আর বুঝি বাঁচার কোনো পথ নেই। ভালোবাসার বাসা বুঝি এইবার ঝড়ে টুকরো, টুকরো হয়ে উড়ে গেল। কিন্তু নিয়তির কী নিষ্ঠুর পরিহাস!! সময়ের প্রলেপ ক্ষত শুকিয়ে আবার তাতে আশার বারি সিঞ্চন করি। পুরোনো ঘা লুকিয়ে রাখি নতুন পালকের আড়ালে। আবার নতুন করে উঠে দাঁড়াই পথ চলার জন্য। তাকিয়ে থাকি ঘরের কোণের কুলুঙ্গীটার দিকে, যেখানে ছোট্ট মাটির প্রদীপে ভালোবাসার পলতেয় জ্বলে আশার দীপ। তার স্থির শিখাটি যেন আমার প্রেমের প্রতীক। শত আঘাতেও সে নিভতে চায় না। ভবিতব্য!! 

ইতি
তোমার জন্মজন্মান্তরের
প্রেমিকা।






মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল সংখ্যা || ৪ ফাল্গুন ১৪৩০ || ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || বাসন্তী সংখ্যা || ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ১০ মে ২০২৪