অণুগল্প
রাখে হরি, মারে কে শ্যা ম লী ব্যা না র্জী গাঁয়ের নামটি বড় সুন্দর, বড় মায়াময়। সোনাঝুরি। গাঁয়ের পাশ দিয়ে কুলু কুলু শব্দে বয়ে চলেছে সুবর্ণলতা নদী। যেমন মিষ্টি তেমন পরিষ্কার তার জল। ঘাটের পথের দুধারে কৃষ্ণচূড়া গাছের সারি। গুচ্ছ গুচ্ছ লাল ফুলে পথটি ছেয়ে থাকে। বসন্ত সমাগমে গ্রামের পথে প্রান্তর হলুদ সূর্য্যমুখী ফুলে ভরে আছে। ঘাটে সেদিন বিকালে গা ধুতে এসে অভিরাম গয়লার স্ত্রী বিমলা বামুনবৌ সরলাকে ডেকে বলে--- "শুনেছ বামুন দিদি? চোত মাসের শেষে গাঁয়ের সবাই বীরভূমের চড়কের মেলায় যাচ্ছে যে"। কথাটা নিয়ে ঘাটের মেয়েবউদের মধ্যে কানাকানি পড়ে গেল। জানা গেল গাঁয়ের পুরুষ জনাদশেক নাকি সেখানে যাবার জন্য তৈরী হচ্ছে। সে দলে ঘরের মেয়েবউদের যাবার সম্ভাবনা নেই। কথাটা শুনে একেকজন একেকটি মন্তব্য করতে লাগল।যেমন "মেয়েমানুষের তো সাধ আহ্লাদ থাকতে নেই। তারা কেবল বিয়োবে আর ঘর সামলাবে"। বড় দুঃখে টিপ্পনি কাটে কামার বউ। আসলে নিস্তরঙ্গ গ্রাম্য জীবনে মেলা ইত্যাদির আকর্ষণ সকলকেই টানে। চৈত্রমাসের শেষ রবিবার যাত্রার দিনস্থির হল। নয় জনের দলটিতে গ্রামের প্রবীণ জ্যোতিষী নিতাই খুড়ো নেতৃত্ব দেবেন। দলে সর্বকনিষ্ঠ হল