পত্রসাহিত্য


চিরাগকে ঋতুর পত্র
ম হু য়া গা ঙ্গু লী
   

চিরাগ,

আজ আবার আলমারি গোছাতে শুরু করলাম। হয়তো অজুহাতি মনের অন্য কোনো ইশারায় সাড়া দিতেই, টুকটুকে লালচে গোলাপি শাড়িটা উপর তাক থেকে সজোরে ছিটকে আমার কোলে, দুহাতে চেপে ধরলাম, মেঝেতে লুটিয়ে পড়তো না'হলে, আজ আবার একটা ক্ষত আমাকে নতুন করে ব্যথা দিল, ফোনে তুমি বলেছিলে, শাড়িটা স্পিডপোস্টে হাতে পেয়েছিলাম, পিয়নের চোখেও আমার অধৈর্য্যপনা ধরা পড়েছিল সেদিন... কতক্ষণে আনপ্যাক করবো ঐ প্যাকেট! কি সুন্দর যে রঙটা, আয়নায় নিজেকে দেখেই নিজের নজর লেগে গেছিল জানো, সেদিন রাতে ফোন করে বলেছিলে,  ভ্যালেন্টাইন ডে তে ওটা পরে রাতে আমি যেন ভিডিও কল করি, খুব সেজেছিলাম, বাড়িতে দাদারা, দিদিভাই, বোন খুব ইয়ার্কি করছিল... হঠাৎই টিভিতে নিউজ, সব অন্ধকার, সেনাবাহিনীর ২০ জন নিহত... কানটা চেপে ধরেছিলাম, কিন্ত পারিনি আর যখন ছবিতে দেখলাম তোমায়... কেন এমন হয় বলোতো...!

আজ আবার টিভিতে সেই চেনা আর্তনাদ... আবার সেই একই এক সম্পর্ক নিমেষেই গুলিবিদ্ধ।
আমি তোমার সাথে আজও কথা বলি, ঐ শাড়িটায় তোমার স্পর্শ পাই, অভ্যাসমতো চিঠি লিখি, কিন্ত ডাকবাক্সে আর ফেলা হয়না! আমি বেশ আছি, তুমি ভালো থেকো, আকাশ আমাদের একই, অপেক্ষা করার পালা এবার  তোমার... দেখি কবে ডাক আসে!

             ইতি
তোমার ফুরিয়ে যাওয়া ঋতু





বান্ধবীকে দুটি পত্র 

পা পি য়া  গো স্বা মী


                         (১)

প্রিয় বান্ধবী,

জানিস বন্ধু আজ আবার প্রকৃতির হাত ধরে সেই ছোট্টবেলায় ফিরে গেলাম। মনে পড়তে লাগলো সেই ছোট্টবেলার ঝড়ের সময় দুষ্টুমির কথা। যতক্ষণ পর্যন্ত বৃষ্টি না নামছে ততক্ষণ আমিও বাড়ির চারদিকে ছুটে বেড়াতাম ঠিক যেন ঝড়ের মতো। বাতাসে উড়তে থাকা যত শুকনো পাতাদের মতো উড়ে যেতে ইচ্ছে করতো ওই আকাশে। পাখনা কোথায় পাবো? তাইতো ছুটে বেড়াতাম মনের পাখনা মেলে। আজ আবার সেই রকম একটি ঝড় বৃষ্টি বলতে পারিস বছরের প্রথম খুব সুন্দর একটি কালবৈশাখীর সাক্ষী হয়ে রইলাম।

দুপুরবেলা একটু ঘুমিয়ে পড়েছি ঘুম ভেঙেছে মেঘের গর্জনে। শনশন হওয়ার শব্দে উঠে গেলাম ব্যালকনিতে। যত ধুলো শুকনো পাতা, উড়ে আসতে লাগলো। ঘরে চলে এলাম। বাকিটা জানালার কাছে বসে কিছুটা বৃষ্টির ছাটে ভিজে ভিজে উপভোগ করলাম। আজ আমার মনের সেই আনন্দের অনুভূতি কিছুটা তোর সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।

চৈত্রের অবসানে দুহাত বাড়িয়ে দাঁড়ায় বৈশাখ। এই আকুতি নিয়ে, আমি নতুন আবার এসেছি ঘুরে আমায় বরণ করে নাও আবার আদর করে। প্রতিবছর বড় সমাদরে আমরা বরণ করে নেই নতুন বছরে পহেলা বৈশাখকে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। চারিদিকে হালখাতার ধুম। সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। বিকেল বেলায় বেশিরভাগ মানুষই নতুন জামা কাপড় পরে কেউ মুদি দোকানে কেউ বা জামাকাপড়ের দোকানে আবার কেউ কেউ সোনার দোকানে ভিড় জমিয়েছে। অবশেষে মিষ্টির প্যাকেট ও বাংলা নতুন বছরের ক্যালেন্ডার সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়ি ফেরা। মিষ্টিমুখ দিয়েই শুরু হয় আমাদের বছরের প্রথম দিনটি। এই বছর বৈশাখ এসে সপ্তাহের প্রথমেই জানিয়ে দিল আমি এসেছি। আকাশ কালো করে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে সে নেচে বেড়ালো আকাশের গায়। মেঘেদের ধমকানি চমকানি তুচ্ছ করে ঝড় তুলে দিল তুমুল বেগে। আমার চিরকালের ভালোলাগা সেই ঝড়। এখনো কাঁচা আমের দিন। গাছেদের ডালপালা অসম্ভব বেগে নাড়িয়ে দিয়ে হেলিয়ে দিয়ে নৃত্য করতে লাগলো কালবৈশাখী। কোথাও কোথাও অনেক আম ঝরে পড়ল গাছ থেকে। ঝড়ের গতিবেগ বাড়িয়ে দিয়ে এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত ছুটে ছুটে দুষ্টুমিতে মেতে রইল নতুন বছরের প্রথম কালবৈশাখী। একটি বছর পর আবার এসেছে সে, তার আনন্দ আর ধরে না শুধু ঝড়‌ তুলে তার শান্তি কোথায়? হঠাৎ টিনের চালে টপাটপ টপাটপ শব্দ তুলে দিলো। কি অপূর্ব ছন্দে শিল পড়তে লাগলো চারদিকে। তারপর এলো মিষ্টি বৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির সাথে সাথে দামাল ঝড়ো হাওয়া বইতে লাগলো শনশনিয়ে। প্রবল হাওয়ায় মুষলধারে বৃষ্টি যেন ধুলোর মতো উড়তে লাগলো। থেকে থেকে মেঘেদের চমকানি তর্জন গর্জন কখনো বাড়ে কখনো বা কমে, কোথাও পড়ে বাজ। বৃষ্টির বেগ ও একবার রিনিঝিনি ছন্দে আবার ঝমা ঝম শব্দে বয়ে চলল। প্রায় সাড়ে চারটে নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। তারপর সন্ধ্যে নেমে এলো। বৃষ্টির গতিবেগ কমে গেলেও থামেনি সে, টিপটাপ‌ টুপটুপ ছন্দে বৃষ্টিধারা অব্যাহত রইলো।
এই প্রকৃতির বুকে সবকিছুরই ভালো এবং মন্দ দিক আছে। বৃষ্টিধারায় সমস্ত প্রকৃতি শান্ত ও শীতল হয়ে উঠল। কিছু ক্ষয়ক্ষতি হল নিশ্চয়ই। কোথাও কোথাও গাছের ডাল ভেঙে পড়ল কত পাখি নীড় ছাড়া হল। হয়তো তাদের আপনজনকে হারাতেও হল। কি করা যাবে? এই তো প্রকৃতির নিয়ম। নদীর এ কূল ভাঙলে ও কূল গড়ে ওকূল ভাঙলে এ কূল গড়ে। আমরা যেমন কিছু সুখ আর সাথে কিছু অসুখ নিয়ে বেঁচে থাকি প্রকৃতির খেলাও ঠিক তেমনি। এমনি করে আসা যাওয়ার ছন্দে মেতে আছে প্রকৃতির নানান খেলা। কোথাও ধস, কোথাও‌ ভূমিকম্প, কোথাও অগ্নুৎপাত আবার কোথাও সুনামি। এই সব কিছু নিয়েই বেঁচে আছে আমাদের প্রাণীকুল।
সে যাই হোক তবে বৃষ্টির মতো মিষ্টি আর কিছু নেই। সে বৃষ্টি যদি আবার কালবৈশাখীর সাথে হয়। তবে তার তুলনা কোথায়?
এই কালবৈশাখীর ঝড় বৃষ্টি একদিনে সব জায়গায় হয়নি। ধাপে ধাপে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দিন হয়েছে। হয়তো তোর ওখানেও একদিন এই কালবৈশাখী ঝড় উঠেছিল। আমি আমার অনুভূতির কথা তোকে জানালাম। এই ভেবে যে তোর নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগবে। এই কালবৈশাখী ঝড়ের মতোই আমাদের জীবন রে, কখনো ঝড় ওঠে আবার কখনো থেমে যায়।

আবার কখনো এভাবেই কোনো সুন্দর স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসবো তোর কাছে। ভালো থাকিস সোনা বন্ধু আমার।

২৪ / ৪ /২৫
শ্যামনগর।







                         (২)

প্রিয় বান্ধবী,

এখন মোবাইলের যুগ তাই মাঝে মাঝে তোর সাথে ফোনে ফোনেই কথা হয়ে যায়, তবে সেটাও খুব কম।

অনেকদিন ধরেই তোকে একটা কথা বলবার জন্য বুকের ভিতর ছটফট করছে বা কেউ যেন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে বলতে পারিস।

এখন আমিও ফ্ল্যাটে থাকি আর তুইও তাই। আমরা দুজনেই তো একসময় নিজেদের বাড়িতেই ছিলাম বল, এখন ভাবতেও কেমন অবাক লাগে তাই না? মাঝে মাঝেই মনে হয় মানুষ বোধ হয় আর কোনদিনও নিজের বাড়ি ঘরে থাকতে পারবে না। সবাই একদিন ফ্ল্যাটে এসে উঠবে। উঠবেই উঠবে ,উঠতেই হবে।

এখনো যখন গ্রামের দিকে যাই ট্রেনে যেতে যেতেই সবুজে সবুজে মনটা ভরে ওঠে। হয়তো আরো কিছু প্রজন্মের পর এই সবুজ পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাবে। তখন হয়তো আমরা থাকবো না। আমাদের উত্তরসুরী নিশ্চয়ই থাকবে।

এইতো সেই দিনের কথা। আমি যখন আমার ফ্ল্যাটটাতে এলাম কি যে আনন্দ হয়েছিল আমার তোকে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমার ফ্ল্যাটটা ফাস্ট ফ্লোরে মানে দোতালায়। তুই অবশ্য তিনতলায় থাকিস। নতুন ফ্ল্যাটে এসেছি তখন অত ভালো করে কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। আমার ফ্ল্যাটের পশ্চিম এবং উত্তর দিকটা খোলা ছিল। তিনটি বেডরুম খুঁজছিলাম ওটা পেয়েই ফ্ল্যাটটা একবার দেখেই পছন্দ করে ফেলেছিলাম।বেশি পছন্দ হলো তখন, যখন দেখলাম যে দু দিক থেকেই এতো আলো বাতাস ঘরে ঢুকছে। শুধু তাই নয় দুই দিকের দুটো বাড়িতেই এতো গাছপালা দেখে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছিলাম। আমার ফ্ল্যাটে যখনই আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব আসতো তারা ভীষণ খুশি হত। বলতো তোর ফ্ল্যাটটা দেখে মনেই হয় না যে তুই ফ্ল্যাটে আছিস। মনে হয় নিজের বাড়ি আর চারিদিকে এতো সবুজের সমারোহ। বিশ্বাস কর আমারো ঠিক এই কথাটাই মনে হয়েছিল। তাই তো একবার দেখাতেই ফ্ল্যাটটা পছন্দ করে ফেলেছিলাম।

আমার ফ্ল্যাটের জানালাতে বসে বসেই সারারাত আয়লা আর আমফানের তাণ্ডব নৃত্য দেখেছি।

১৫ টা বছর দিব্যি এইভাবেই কেটে গেছে। আমার রান্না ঘরে জানালাটা ছিল আমার মনের জানালা। পাঁচ তলা ফ্ল্যাটের ছাদে তো আগেও যেতাম এখনো যাই। ওটাই আমার এখনকার জীবনের একমাত্র আকাশ। যতদূর চোখ যায় দুচোখ দিয়ে আর প্রাণ ভরে ওকে দেখি। আমার নিজেকে তখন বিন্দুর থেকেও ছোট্ট মনে হয়। সময় সুযোগ পেলেই ছাদে গিয়ে আমার ছাদের উপরে আকাশটার সাথে কথা বলে গল্প করে আসি। ওকে আমি সবচাইতে ভালোবাসি। ওকে দেখলেই আমার জীবনের সব দুঃখ কষ্ট কোথায় যেন পালিয়ে যায়। মেঘলা দিনে আমার মনে হয় ওর বুকে জমে থাকা মেঘের মধ্যে গিয়ে লুটোপুটি খেলি। বর্ষা আর শরতের সময় ওর বুকের মাঝে যত রঙ খেলা করে মনে হয় মুঠো মুঠো করে হাতে ভরে নিয়ে আসি। সত্যি করে না হলেও এই কাজগুলো মনে মনে করি।
আগে আমি রান্নাঘর থেকেই রান্না করতে করতে ওই আকাশটাকে দেখতাম আর আমার মনটাও আকাশের মতোই বিস্তৃত হয়ে যেত। আজ আর তা হয় না। সব সময় কেমন যেন একটা দম বন্ধ দম বন্ধ ভাব। মনটা ভালো লাগে না রে।

পশ্চিম দিকের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ যেখানে আড়াই বিঘা জায়গা ছিল, আজ সেখানে ও মস্ত বড় ফ্ল্যাট উঠে গেছে। বুঝতে পারছিস পড়ন্ত বেলায় সূর্যের আলো আর অবিরাম ছুটে আসা বাতাস সবকিছুই অস্তমিত হল। ওই উত্তর দিকটাই এখন একমাত্র উন্মুক্ত আছে। সেও কবে ঢেকে যাবে কে জানে?

তোর কথাও খুব ভাবি জানিস। তুই আমার মতোই ছাদে যেতে ভালোবাসিস কিনা, সময় করে উঠতে পারিস কিনা? এসব অনেক কথাই মাথায় ঘোরে। কিছুটা অনুমানে বুঝতে পারি আর জানিও যে তুই সময়টা এখন আমার থেকে কমই পাস। তাই হয়তো আমার মতো পাগলামিগুলো করে উঠতে পারিস না। তবে হ্যাঁ তুই যে সংস্থার সাথে যুক্ত আছিস সত্যি এমন মানবদরদী কাজকে আমি সবসময় সাধুবাদ জানাই। মনে মনে ভাবি তোর কোনো বড় অনুষ্ঠানে‌ একবার ছুটে চলে যাই আর নিজেও সেই সংস্থার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করি। ভাবি ঠিকই কিন্তু কিছুতেই হয়ে ওঠে  না রে।‌ দূরত্ব এবং শরীর দুটোই প্রতিকূলতার সৃষ্টি করে। আমি তো বোধ হয় কয়েকবার তোর ফ্ল্যাটে গিয়েছি। তুই কিন্তু একবারও আসিস নি। যাই বলিস না কেন খানিকটা হলেও অভিমান কিন্তু আমার আছেই। সম্ভব হলে একবার আসিস আশা করি খারাপ লাগবে না। যখন ভাবি তুই তোর মেয়ে দুটোকে এত সুন্দর করে মানুষ করেছিস গর্বে মনটা ভরে যায়। ওরা আরো অনেক বড় হোক ওদের জন্য আমার অনেক অনেক ভালোবাসা, স্নেহাশীষ ও আশীর্বাদ রইল।

আজকাল সব সময় মনে হয় পৃথিবীটা যেন কেমন ছোট হয়ে আসছে। চারিদিকে শুধু ইট-পাথরের ভিড়। নগর সভ্যতা যেন পৃথিবীর সমস্ত সবুজ বনভূমিকে  লুপ্ত করে দিতে চাইছে, বলতে পারিস গিলে খাচ্ছে। পৃথিবীর অনেক অঞ্চলের এমন অবস্থা যে অনেকের ঘরের ভিতরে আলো বাতাস প্রবেশ করে না। রাস্তায় বেরিয়ে মাথা উঁচু করেও দূর দূর পর্যন্ত সবুজ তো দূরের কথা আকাশটাকে পর্যন্ত দেখা যায় না। বড় দুঃসময়ের সাক্ষী হয়ে রইলাম আমরা। জানিনা এই পরিস্থিতির আরো কত অবনতি হবে!

জানিস বন্ধু আমার মনে হয়, মনে হয় বলবো কেন এটাই বোধহয় ঠিক আমরা যত প্রকৃতির বুকের মাঝখানে বিরাজ করবো তত আমাদের মন প্রশস্ত হবে। আমরা উদার হতে পারব মানুষকে ভালবাসতে পারব মানুষের জন্য কিছু করতে পারবো, না পারলেও করার কথা চিন্তা তো করতেই পারি। চারিদিকে এত দমবন্ধ ভাব আর সবুজের দিন দিন হারিয়ে যাওয়া বোধহয় মানুষকে অনেক বেশি কঠোর কঠিন করে দিচ্ছে। তাইতো বেশিরভাগ মানুষ আজকাল কেউ কারো সাথে কথা বলতে ভালোবাসেনা প্রাণ খুলে হাসতেও পারেনা দেখে খুব কষ্ট হয়।

মানুষের লোভ যদি একটু কম হত তাহলে সবকিছুই আরো সুন্দর করে করা যেত। যা প্রয়োজন তা তো করতে হবেই। একটু যদি আমরা লোভটা কমিয়ে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভালোবেসে আর বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কাজ করতে পারতাম তাহলে সব ঠিক থাকতো। তার মানে মানুষ ও ভালো থাকতো প্রকৃতিও আমাদের হাতের ছোঁয়ায় আরো সুন্দর হয়ে উঠত।আসলে এই পৃথিবীটা এখন সবুজ হারিয়ে যেন ইট কাঠ পাথরের জঙ্গল হয়ে উঠেছে।

যা হচ্ছে সেগুলো বেআইনিভাবে না হয়ে যদি আইন মেনে হত তাহলে আর কোন ভয় থাকত না। ভাবছিস কিসের ভয়?
ওদের জন্য সব সময় ভাবি রে যারা আমাদের পিছনের সারিতে দাঁড়িয়ে আছে‌, যারা নতুন করে এই পৃথিবীর মুখ দেখছে তাদেরকেও তো বাঁচতে হবে। পৃথিবীটা এত কলুষিত হয়ে গেলে ওরা কেমন করে বাঁচবে বল?

ভালো থাকিস রে। আবার কখনো আসবো এভাবেই মনের কথা নিয়ে তোর কাছে।

ইতি-----
              তোর-----

৩১ / ৩ / ২৫
শ্যামনগর।




মন্তব্যসমূহ

  1. পাপিয়ার লেখা চিঠি দুটো পড়লাম। সাবলীল ভাষায় লেখা চিঠি দুটোর মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে কালবৈশাখী ও আবাসনে জীবনের সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনার কথা।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল ও বাসন্তী সংখ্যা || ৯ চৈত্র ১৪৩১ || ২৩ মার্চ ২০২৫

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চতুর্থ বর্ষ || চতুর্থ ওয়েব সংস্করণ || বাদল সংখ্যা || ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ || ২৯ জুলাই ২০২৫