ছড়া

দিলাম ফোঁটা


তু হি ন  কু মা র  চ ন্দ 


দিলাম ফোঁটা তোর কপালে

আর যাবিনা বাইরে,

সাবধানে থাক লক্ষীসোনা

আমার সোনা ভাইরে।


গত সনে রাত জেগেছি

গোপালপুরের থানায়,

পাড়ায় থাকেন হাসান কাকা

খবরটা সেই জানায়।


তুই নাকি ভাই রেশন চুরির

সঙ্গে ছিলিস যুক্ত,

অনেক বলে কয়ে সেবার

করেছিলাম মুক্ত।


ওদের সাথে আর যাসনে

ভাইফোঁটা আজ ভাইরে,

এই কপালে দিলাম ফোঁটা 

যাসনে ঘরের বাইরে।





সকালবেলার ছবি

 

শ ক্তি প দ  প ণ্ডি ত 


কী যে মিষ্টি সুবাস ছড়ায়

বকুল বীথির তলে,

ইতল বিতল চিতল মাছটা

ডুবসাঁতার দেয় জলে।


ট্যা ট্যা করে একটা টিয়া

বসল এসে গাছে,

বকুল শাখে একটা দোয়েল 

তাতা থৈ থৈ নাচে।


ঝিরি ঝিরি মিষ্টি হাওয়ায়

গাছের পাতা নড়ে,

মাথার উপর পুষ্প বৃষ্টি

কেবল ঝরে পড়ে।


খাবার নিয়ে খুনোখুনি

কুকুরের দুই ছানা,

একটা ছানা খাচ্ছে কেড়ে

অন্যটা তালকানা।


পৌঁছে দিতে ইস্কুলে যায় 

মা মেয়েকে নিয়ে,

বিসমিল্লা খাঁ'র সানাই বাজে

কাদের বাড়ি বিয়ে!


এবার আমায় উঠতে হবে

লিখতে হবে ছড়া,

তার সঙ্গেও আছে আমার

ক্লাস-সেভেনের পড়া।





ছড়া


স্ব প ন কু মা র  পা হা ড়ী


মার-কাটারি প্রেম করেছেন

সদ‌্য যখন যুবা।

তখন তো সেই বিদেশবাসী---

বিদেশ মানে কুবা।

ঠোঁটের ফাঁকে জ্বলতো চুরুট

পাত্তা কি পায় পুরুত-টুরুত

ভাগিয়ে নিয়েই মাল্যবদল

বৌয়ের নাম হুবা।





আতালে ও বাতালে


ব দ রু ল  বো র হা ন


এদেশে হয় অনেককিছু


আতালে ও বাতালে,


এমন নজির আর পাবে না


ভূপৃষ্ঠে ও পাতালে।


কিন্তু এসব করছে কারা?


সুশীলে না মাতালে?


সত্যি কথা বের হবে কি


ইচ্ছেমতো ধাঁতালে?


পানি ঘোলা হবে শুধু


এসবকিছু ঘাঁটালে,


তারচে' বরং কাজ দেবে খুব


ন্যাংটো করে হাঁটালে!





এক ভিখারী রাজকন্যার কাহিনী


ব র্ণা লী  মু খা র্জী


বছর পাঁচের ছোট্ট মেয়েটি দাঁড়িয়ে শপিং মলে,

হরেকরকম জিনিস দেখে খুশি বেজায় মনে। 

খেলনা পুতুল জুতো জামার মেলা রকমারি, 

চাঁদের হাটের শোভা দেখে ছুটছে মন-গাড়ি। 

কোথা থেকে মাটি ফুঁড়ে উদয় হল এক পালোয়ান, 

ধমকে বকে মেয়েটাকে---  ডাকলো হেঁকে দারোয়ান।

'এই ভিখারী এদিকে আয়--- কিভাবে এলি এখানে?'

ছোট্ট মেয়েটি ভয়ে ভয়ে দেখে চারিকোণে।

নামিদামি ক্রেতারা সব দেখে মজার তামাশা, 

পুজোর শপিং ছেড়ে দিয়ে ভিড় করে ধরে জনতা।

একরত্তি মেয়েটা তখন অবাক হয়ে তাকায়, 

দোষ কি তার পায় না ভেবে গুটিসুটি লুকায়। 


আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে নিয়ে এক বৃদ্ধ,

বলো খুকি কি চাও তুমি--- পাবে মনি মুক্তো। 

ভালোবেসে কাছে ডেকে বলে হাসিমুখে, 

ভয় কি তোমার আমি আছি বলো নির্ভীকচিত্তে। 

পাশের বস্তিতে থাকে সে নাম দুলালী, 

মা পড়ে শুনিয়েছিল ঠাকুমার ঝুলি। 

আলো জমকালো রাজপ্রাসাদ দেখে সে ভাবে,

মায়ের একটা লাল শাড়ি টুক করে এনে দেবে। 

কিচ্ছুটি আর চাই না তার সাজানো রাজপ্রাসাদে, 

ঝুপড়ির ঘরে অনেক আদর থাকে ভালো-মন্দে। 

অবাক চোখে বৃদ্ধ শোনে ছোট্ট পরীর কাহিনী, 

দরাজ হেসে মেলে ধরে উপহারের ডালি।





সম্মান


কু শ ল  ব র্ম ন


ছোট হোক বড় হোক

সবার আছে মান

ছোট বড় বিভেদ নাই

করতে হবে সম্মান।


ছোট বলে করো হেলা

বড়দের কি মান

বড় হয়ে সে আর তোমায়

করবে না সম্মান।


বড় মানুষ গুরুজন

শ্রদ্ধা তাদের বেশি 

ছোট মানুষ স্নেহ পাবে

তাতেই তারা খুশি।





বেশ তো ছিলো


নূ পু র  রা য় 


সোনাঝরা শৈশব 

ছিল কতো বৈভব।


কলেবর আয়োজন 

ডাল ভাতে খুশি মনে।


এক জামা জুতো পরে 

চারদিন পুজো ঘোরে।


নেই মনে ক্লেদ দ্বেষ 

হাসিখুশি দিন শেষ।


সকাল বেলায় উঠে 

ব'ই পড়া রব ওঠে।


তারপর স্নান সেরে

খেয়ে নিয়ে দৌড় দে রে।


ঢং ঢং ঘন্টা বাজে

প্রেয়ারের লাইন সাজে।


একে একে ক্লাস শুরু 

শিক্ষক'ই মহা গুরু!


ছোটো থেকে এই শিক্ষা 

গুরুজনে দেয় দীক্ষা।


আজো পথে দেখা হলে

প্রণাম করি গুরু বলে।


আজো তাই মেনে চলি

বর্তমান যে মহা কলি।




মূল পাতায় যান।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল ও বাসন্তী সংখ্যা || ৯ চৈত্র ১৪৩১ || ২৩ মার্চ ২০২৫

চতুর্থ বর্ষ || চতুর্থ ওয়েব সংস্করণ || বাদল সংখ্যা || ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ || ২৯ জুলাই ২০২৫

পঞ্চম বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১১ কার্তিক ১৪৩২ || ২৯ অক্টোবর ২০২৫