কথিকা/মুক্তগদ্য

আয়নার ঘেরাটোপে


চৈ তা লী  না থ


চলে যেতে চায়....!

মোহাচ্ছন্ন অতৃপ্ত-প্রাণ যেতে চায় ফিরবে না বলেই!

পৃথিবীর সীমা পেরোতে পেরোতে সাথে নিতে চায় স্মৃতি-সম্বলটুকুই! 

প্রতি মুহূর্তে সে বোধ করে....,

এক্ষুনি জন্মেছি এক আনকোরা নতুন পৃথিবীতে...

চারিদিকে শুধু আয়না! 

কিন্তু তার সম্বন্ধে ভাবা বারণ। কারণ ভাবা মানেই না বোঝা, বেঁচে থাকা,

শুধু দেখা যেন তার সঙ্গে একমত হওয়ার জন্যই!


সন্দিগ্ধ মনে আকাঙ্ক্ষার নদী পেরোতে গিয়ে আফসোসের চোরাস্রোতে ভাসে বৈকি সে। নির্ধারিত সময় আর সংযত আবেগকে ইচ্ছে করে ভোলার অজুহাতগুলোকে জড়ো করতে গিয়ে রূঢ় বাস্তব যতক্ষণে হাজির হয় তার সামনে, ততক্ষণে অনুভূতিরা তেলকালি মাখা ছোপ ছোপ স্মৃতিছবি রেখে কর্পূরের মতো উবে যায়! তাই ফেলে যাওয়া প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসার স্মরণে বিন্দুমাত্র বিচলিত হবে না আর সে! হয়তো নিরুদ্দেশের যাত্রায় স্বার্থপরও হবে সে! পার্থিব যা কিছু, সে খবর কে রাখলো তা জানার আর অবকাশও রইবে না তার! 


এযে ভীষণ সত্য, সেই প্রিয়মুখ, আবেগের  মাহেন্দ্রক্ষণ, আবেশের এক ঐশ্বরিক বিভোরতায় মুগ্ধ মনের সবটুকুতেই ছিলো তার ঐচ্ছিক আত্মনিবেদন! তাইতো ফেলে যাওয়া আবেগ-অনুভূতিদের পিছুডাক আর থাকবেনা তার জন্য! তা সে জানে। 

তাই, হৃৎস্পন্দন থামিয়ে বায়ুশূন্য ছায়াপথে এগোনোর ব্যাকুলতার মাদকতা তখন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরবে তাকে! এখানে তার কোন দর্শন নেই, শুধু অনুভূতি আছে।

সে যদি নদী বা মেঘের কথা বলে, তা এই জন্যে নয় যে সে তাকে জানে। সে শুধু ভালোবাসে তাকে, শুধু সেই কারণেই। কারণ যারা ভালোবাসে তারা জানে না তারা কী ভালোবাসে, কেন ভালবাসে অথবা ভালোবাসা কী!?!


হয়তো তার মনে সে বিশ্বাস তখনও থাকবে অটুট, মৃত্যু এলেই পূর্ব প্রতিশ্রুতির কাঙ্ক্ষিত জীবনবেলা শুরু হবে তার। জুঁইগন্ধী বাসর ঘরে অপেক্ষার হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে তার চিরকাঙ্ক্ষিত জন, তাদের প্রিয়-সুখঘর সাজাবে বলে!


তবু চারিদিকে আয়নার ঘেরাটোপে কেন চলতে হয় তাকে?

কেন ভাবনা আসে?

কেন রাত্রি জন্ম দেয় তাকে প্রতিটি তারার আভাসে!?!

কেন প্রতিটি জন্মের বোধে মৃত্যু হাসে?

জবাব চায় সে...


কিন্তু হায়....!

প্রাণপ্রতিম ফিরিয়েছে মুখ, বলেছে...'এতো স্বর্গ, মহাপাপীদের স্বপ্নপূরণের কোনো স্থান নেই এখানে.... ফিরে যাও, ওই তামসিক কুণ্ডে....যেখানে নৈমিত্তিক নরকবাসের বিচারসভা বসে! যেখানে পেরোতে হয় অসহ্য যন্ত্রণার কাতরানির পথ, উত্তপ্ত প্রস্রবণ, আগুনের জ্বলন্ত কুণ্ড! যেখানে বীভৎস অশরীরী ঘোরাফেরা! যেখানে গেলে আগামী একটা যুগের আগে পুনর্জন্ম নেই!'


নির্দ্বিধায় স্বপ্ননীড় ফেলে যাবে সে!

ছেড়ে যাবার তৃতীয় দিনে নিয়তির নিয়মেই সকলে ভুলবে সেই মহাপাপীর জীবনকথাও!

নরকের অলিগলি কী ভীষণ শুনসান... ঘৃণ্য!!





নতুন ভোরের অপেক্ষায়

 

সু মি তা  চৌ ধু রী


জানিস, আজকের রাতগুলো খুব কালো, গভীর কুয়াশাচ্ছন্ন, দীর্ঘ,  অনন্ত। তোর ছেড়ে যাওয়া পথটার পাশে আমি আজও বসে আছি। ভাবছিস, কিসের প্রহর গুণছি? ভাবছিস, সবটুকুই তো ছাই হয়ে গেছে কালের অনলে। তাহলে?... কথিত আছে না, "যেখানেই দেখিবে ছাই,  উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।" আমিও প্রতিনিয়ত আজ সেই অমূল্য রতনের খোঁজই করি। ভাবছিস, কি পেলাম? হারানোর থেকে বেশী কিছু কি না? জানিস, হিসেবের খাতাটা আজ ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছি। ওটা বড়ো জঞ্জাল এ জীবনের। তোকে হারাবার পরিধিতে কি কিছু মাপা যায়? শুধু তোর বিদায়ের পথপ্রান্তে ছড়ানো বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গমের নতুন আশাগুলোকে রোজ মুঠোয় ভরি। শুনবি সেসব কথা? তবে শোন, এই শহরটা রঙিন মোড়কের নীচে মৃতবৎ ঘুমিয়েছিল, শীতঘুম।  আজ সে সজাগ, ঘুম ভেঙে উঠেছে মায়াজাল ছিঁড়ে। পাশাপাশি অবস্থানেও যারা ছিল যোজন মাইল দূরের, আজ তার বিপরীত ছবিতে জুড়েছে দেশ ছেড়ে প্রবাস। কখন যেন সব বিভেদ ভুলে মানুষ সত্যিই মানুষের জন্যই বাঁচছে, সব প্রতিকূলতাকে পার করছে  মনুষ্যত্বের সহযোগিতায়। বিপদে মুখ ঘুরিয়ে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার বদলে, মুঠোয় ধরছে হাতটা শক্ত করে। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিপদের মুখোমুখি, চোখে চোখ রেখে বলছে, "শপথ নিলাম বাঁচার", "শপথ নিলাম জয়ের", "শপথ নিলাম সব অন্ধকারকে গুম করার।" আজ তাই অন্ধকারের বুক চিরে রোজ জ্বলে লক্ষ-কোটি মশাল। মানববন্ধনে পথ হাঁটে মানবসভ্যতা। মানুষে-মানুষে  পেশার, জাতের, বর্ণের, অর্থ-বৈষম্যের সব প্রাচীর ভেঙে, এক অপরূপ সেতু নির্মাণ হয়েছে হৃদয়ের। ভয়ের রাজত্বটা ক্রমেই হচ্ছে লোপাট,  সাহস সংক্রামিত হচ্ছে ছোঁয়াছে রোগের মতোই। ভালোবাসা, সহৃদয়তা, শ্রদ্ধার জমিটা গড়ছে নতুন ইমারত, মজবুত মানবিকতার ভিতে।

হারিয়ে যাওয়া মেরুদন্ডের মিলেছিল খোঁজ সে দুঃস্বপ্নের রাতের পরে-পরেই, আর আজ তারাই সমাজের ঘুণপোকাদের তাড়াতে কীটনাশক ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। জাগছে রাত এক নতুন ভোরের অপেক্ষায়।





ভুলভুলাইয়া


শ র্মি ষ্ঠা  সে ন


বয়সের এমন একটা পর্যায়ে এসেছি যে এখন মন একটু বিরতি চায়। শরীরও। চারপাশে নিরন্তর ঘটে চলা ঘটনাপ্রবাহ মন দিয়ে দেখতে ইচ্ছে হয় চুপটি করে। বসে ভাবতে ইচ্ছে হয় এযাবৎ কী কী করলাম, কোন কোন ঘটনাপ্রবাহের মোড় অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারলে এখন জীবন নিয়ে যেত অ্যালিসের ওয়ান্ডারল্যান্ড এ। শুধু এই দিনগত পাপ ক্ষয় করবো বলে কি মানবজনম পেয়েছিলাম? বালিকা বয়সে ডানা মেলে উড়ে বেড়াবার যে স্বপ্ন‌ দেখেছিলাম তা যে কোন ভুলে ভেস্তে গেল একবার যদি জানতে পেতাম! পর্বতপ্রমাণ না হলেও আমরা সবাই মোটামুটি একখানা ‘ভুলের পাহাড়’ কি খাড়া করিনি? 


সেদিন কথা হচ্ছিল ভুলের ওপর পর্দা দেওয়া নিয়ে। ডাক্তার দাদা প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘ভুল ঢাকতে কোন রং এর কতটা পর্দা লাগে?’ 


 আপাত নিরীহ প্রশ্ন অথচ দিনভর ভাবিয়ে গেল, সত্যিই তো, ভুলের ওপর যদি পর্দা ফেলে আড়াল করা যেত… যেমন ভাবে বাইরের ধূলোবালি, রোদ, কৌতুহলী দৃষ্টি ঢেকে ফেলা যায়, তেমনভাবে যদি ভুলগুলো আড়ালে লুকিয়ে ফেলা যেত সবার থেকে, নিজের থেকেও? কেমন হতো? কেমন রঙের পর্দা নির্বাচন করতাম তাহলে? আপনাকে ধরে নিতে হবে এমন এক অবস্থা যেখানে, হাইপোথেটিক্যালি, আমাদের সব ভুল মোছা যাবে পর্দা ফেলে। 


 এবার মূল প্রশ্নের উত্তরে আসি। বিশদে বলি। 


আমার মনে হয় কোন ভুলে কোন পর্দা সেটা ‘ভুল’ এর ওপর নির্ভর করবে। সব রঙ দিয়ে সব ভুল ঢাকা যায় না। এককথায় যদি বলতেই হয় তাহলেও দুটো উত্তর আসবে। সাদা এবং কালো। দুটো রং। একেবারে প্রাথমিক বিভাজন। হয় সাদা নয় কালো। পাপ-পূণ্য, দিন-রাত্রির মতো। 


সাদা পাতায় কালো দাগ পড়লে যেমন সাদা দিয়েই ঢেকে ফেলি সাদা মনের কালো চটচটে ভুল কি আমরা সেই সাদার প্রলেপ দিয়েই ঢাকি না? মুখোশের মতো? যাতে দেখেই মনে হয়, মানুষটার সাদা মনে কাদা নেই! আসলে তো কাদা, পাঁক সবই আছে। এবং জমে জমে এখন পুরু ধুলোর স্তর, এতটুকুও জল অবশিষ্ট নেই যাতে প্রাণের সজীবতা আশা করতে পারো। কচ্চিৎ তেমন মানুষেরও দেখা মেলে! 


আবার ধরুন কালো প্রেক্ষাপট। নিকষ কালো আঁধারে ক্ষ্যাপা শুধু ধ্রুবতারা খোঁজে। সেখানে কালো রং-ই সত্য। আলোর রং এর যে কোনো কিছুই ভুল। অতএব এ কালোর জগতে ‘ভুল’ ঢাকতে প্রয়োজন কালো পর্দা। 


জীবন মধ্যাহ্নে দু একটা রূপোলী ভুলের ঝিলিক মোছার জন্য কত প্রচেষ্টা! কলপে কলপে কলাপের শোভা বর্ধন। 


আবার ধরুন, খাতায় লিখতে লিখতে দু একটা শব্দ/বাক্য ভুল হয়ে গেল, অথচ বাকীটা বেশ ঝরঝরে। কি করবেন? কেটে ফেলবেন গোটা কবিতা? গল্প? না। লাগান পর্দা। এক্ষেত্রে ভুল শব্দগুলো ঢাকা পড়ুক লতা পাতা ফুলের নকশায়। এক ভিন্ন মাত্রা যোগ হলো তাতে। ভুলটাও তখন নয়ন মনোহর। কখনো কখনো লেখা ভুলে গেলেও ঐ ভুল টুকুই চোখে লেগে থাকে অনেকগুলো বছর। 


কলেজ জীবনে কাউকে চিঠি লেখার সময় কত সময় নিছক প্রেমপত্র হয়ে উঠতো 'পত্র চিত্র লিপি।' আহা! ঢাকা চাপা স্মৃতি। ধূসর পর্দা ঘেরা। 


স্বেচ্ছায় বা অজান্তে এমন ভুল হয়ে যায় যা দিনরাত যন্ত্রণা দেয়, তখন প্রাণপনে পরতের পর পরত জমা করতে হয় গাঢ় রং। নীল, খয়েরী, বেগুনী… রং এর প্রলেপ একসময় নিরাময় করে ভুলের ক্ষত! 


আসলেই কি করে? গভীরে ডুব দিয়ে মন কি নিজেকেই শাসন করেনা পূর্ব কৃত ভুলের জন্য! 


কিছু থাকে মুহূর্তের ভুল। সেসব ঢাকুক হালকা কাপড়ের হলদে, সবজে, আকাশী রং-এ। ভুল মুছে মন ফুরফুরে। 


কিছু ভুল হয়ে যায় অনিচ্ছাকৃত। হয়তো মানুষটা নিজে কিছুই করেননি। গলি রাস্তার আড়ালে চলতে থাকা গোপন সাট্টার ঠেক এর ধারে মৌজ করে সুখটানে ব্যস্ত ছিলেন... ন্যায় পালক এসে সব সুদ্ধ ধরে বেঁধে ঢোকালেন কারাগারে। যতক্ষণে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ততক্ষণে নামের পাশে ঢ্যাঁড়া পড়ে গেছে! দাগ পড়ে গেছে চরিত্রে! কানাকানি করে জনান্তিকে কেউ বলতেই পারেন, ‘তবে বুঝি সত্যিই সে এমন ধারা!’ এ ভুলের ওপর খুশির রং লাগান। উজ্জ্বল কমলা। ও ভুল আপনিই ভ্যানিশ হবে। 


ভুল নিয়ে খুব বেশী নাড়া ঘাঁটা উচিত নয়। ভুল থেকেই আমরা শিখি। তবে অনেক সময় সে শেখা জীবনের উপান্তে এসেও ঠেকে, সেটা বাঞ্ছনীয় নয়। আমার ব্যক্তিগত মতামত ‘যো হো গ্যায়া, সো হো গ্যায়া।’ জীবনকে ধরে নেওয়া যাক একটা মস্ত ক্যানভাস। তেল রং এর ক্যানভাস। যাতে একটা দুটো বা অগুন্তি ভুল হলেও পরপর রং চাপিয়ে শুধরে নেওয়ার অবকাশ থাকে। প্যালেটে থাকুক পৃথিবীর সেরা সব রঙ, এক্সক্লুসিভ। আর টুকটাক ভুল ভ্রান্তি তো জীবনকে আরো রঙিন করে; সাবধানী হওয়া আউটডেটেড। একটু আধটু ভুল না হলে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে রসিয়ে গপ্পো করার কিছু থাকবে না যে!





প্রেম


স ঙ্গী তা  মু খা র্জী  ম ণ্ড ল 


এই যে না চাইতেই রোজ তুমি বলে দাও আমার অন্তরের কথা, মনের সমস্ত আকাঙ্ক্ষার কথা, আমার বুঝি লজ্জা করে না।চোখে চোখ রেখে কথা  বলতে গেলে লজ্জা গুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ে। সব তো জামা কাপড়ের আড়ালে, চামড়া মাংসের আড়ালে তবুও তুমি আমার জন্য অতল হয়ে যাও। আমার জন্য আর কি কি হতে পারো তুমি! দেখো কাল রাতের চোখের পাতারা জানে ঘুমের মধ্যে কতোটা গভীরতা ছিলো! শুধুই তোমার কথাদের সোহাগ আমায় লজ্জাবতী পাতার মতো মুড়ে দিয়েছে। নতুন করে লিখে দিয়েছে যত্নের খবর। এমন দিনে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে তোমার বুকের নরমে উপলব্ধি করতে নিজেকে। তোমার শহরে মেঘ কাটলে আমার শহর ভিজে যায় আজকাল। কোনো সুন্দর যেনো তোমাকে ছাড়া আমাকে স্পর্শ করে না। কেনো জানিনা সব সুন্দরের গায়ে গায়ে তোমাকেই দেখি। তোমার  কথাদের স্নানের ঘরে যত্ন সহকারে আমার বিবস্ত্র কথারা জেগে উঠে। কেবল তোমার আকুতির দ্বার খুলে গেলেই আমরা এক হয়ে যাই। আমাদের জন্ম সার্থক হয়ে যায়। বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটায় তুমি লেখা হয়ে গেছে আজ আমি বৃষ্টির আনাগোনা শুনতে পাই, ভিজতে ভিজতে যখন আমার সমস্ত আকুতি তুমি হয়ে যাও। তোমার সমস্ত মেঘ উড়ে গেলে আমি তোমায় এক চিলতে রোদ খুঁজে দি। তুমি ঝলমল করতে থাকা সূর্যের মতো... রোজ বিনা কারণেই আমার হয়ে যাও তুমি।




মূল পাতায় যান।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল ও বাসন্তী সংখ্যা || ৯ চৈত্র ১৪৩১ || ২৩ মার্চ ২০২৫

চতুর্থ বর্ষ || চতুর্থ ওয়েব সংস্করণ || বাদল সংখ্যা || ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ || ২৯ জুলাই ২০২৫

পঞ্চম বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১১ কার্তিক ১৪৩২ || ২৯ অক্টোবর ২০২৫