পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রথম বর্ষ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ।। বাসন্তী সংখ্যা।। ২৪ চৈত্র ১৪২৮।। ৮ এপ্রিল ২০২২

ছবি
                                    =সূচিপত্র= সম্পাদকীয় পত্রসাহিত্য ১) ফার্স্ট ভ্যালেন্টাইন ডে- তুলি মুখার্জি চক্রবর্তী ২) শেষ চিঠি- সুনৃতা রায় চৌধুরী ৩) নীস্টার থেকে তিস্তা- সায়ন্তন ধর  প্রবন্ধ ১) প্লাস্টিক ব্যবহার ও পরিবেশ- শক্তি প্রসাদ ধর গল্প ১) ঋতি- সুলগ্না চৌধুরী ২) ইচ্ছা- শিবানী চৌধুরী ৩) সময়ের অপেক্ষা- সুজাতা দাস ৪) উপমহাদেশের গল্প- আশুতোষ দেবনাথ ৫) ফাগুন সুরে আলাপ- সুজিত মুখোপাধ্যায় ৬) আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে- শ্যামলী ব্যানার্জী ৭) পাগলী- সোমাশ্রী পাল চন্দ ৮) অনালোকিত সত্য- পাভেল ঘোষ ৯) বসন্ত বেদন- সুনন্দা চক্রবর্তী ১০) অণুঘটক- সর্বানী রিঙ্কু গোস্বামী ১১) রয়ে গেলাম দায়ী- অশোক কুমার মোহান্ত ১২) ফিরে আসার পর- দিব্যেন্দু ধর ১৩) দেব তোমায় খোলা চিঠি- ডঃ ময়ূরী মিত্র অণুগল্প ১) ঝড়- গীতশ্রী সিনহা ২) সিঁড়ি- গীতশ্রী সিনহা ৩) প্রীতমের ঘুম- প্রতীক মিত্র ৪) শেষ বসন্ত- মঞ্জু চ্যাটার্জী ৫) পুপুর মা- শ্যামল কুমার মিশ্র ৬) লিপইয়ার- মোয়াল্লেম নাইয়া ৭) মানবিকতার জের- বিকাশ গুঁই মুক্তগদ্য ১) এক্সট্রা ক্লাস- সোমনাথ বেনিয়া কবিতা ১) বৃষ্টিছাঁট- সুমন্ত চক্রবর্ত্তী ২) ভালোবাসা তো অপব

পত্র সাহিত্য

ফার্স্ট ভ্যালেন্টাইন ডে তু লি মু খা র্জি চ ক্র ব র্তী লি, তোমার থেকে সহস্র যোজন দূরে বসে তোমাকেই লিখছি। উত্তর পাব না জেনেই লেখা, আসলে এ চিঠি তোমাকে লেখা অন্য চিঠিদের ভিড়ে সংখ্যা বাড়িয়ে থেকে যাবে আমার মন তিজোরী-তে। ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে সারা বিশ্বে এত উৎসাহ উত্তেজনা দেখে মনে পড়ে গেল কবিতায় আমাদের প্রথম যোগাযোগ। চিনতাম না কেউই কাউকে কিন্তু কবিতায় ছুঁয়ে থাকতে থাকতে কখন যে মনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলাম দুজনেই দুজনের সেই দিন তারিখ আর মনে রাখি নি। তোমার লিখে রাখা অক্ষর রঙিন প্রজাপতি হয়ে স্পর্শ করে যায় আমাকে। উত্তরের অপেক্ষায় থাকি আরেকটা রঙিন প্রজাপতি এসে বসার। তুমিও কি এভাবেই ভাবো? জানি না... হয়তো সবটাই আমার একতরফা কল্পনা। কল্পনায় আমি এঁকে যাই তোমার মুখ, দীঘল ভুরু, টিকালো নাক আর কমলালেবু কোয়া ঠোঁটে ছুঁয়ে টোল আর চিবুকে ছোট্ট তিল... কোনও একদিন ঠিক ছুঁয়ে দেব তোমায়, সত্যি সত্যি.... দূরত্বের সাঁকো পেরিয়ে সেইদিন... সেইদিনই হবে আমাদের ফার্স্ট ভ্যালেন্টাইন ডে.... অপেক্ষার গাছ রোদ মেখে দাঁড়িয়ে থাক। দেখা হবে ঠিক আমাদের.....                তোমার                                  

প্রবন্ধ

প্ল্যাস্টিক ব্যবহার ও পরিবেশ শ ক্তি প্র সা দ ধ র মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক নতুন পর্বের সূচনা হয়েছিলো মানুষের প্রথম ধাতুর ব্যবহার শেখার পরে।গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশককেও বলা যেতে মানব সভ্যতার এক নতুন পর্ব।কারণ ঐ সময় থেকে শুরু হয়েছিলো প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার।বিজ্ঞানের জয়যাত্রার ধারাকে অক্ষুন্ন রেখে উনবিংশ শতাব্দীর উষালগ্নে জন্ম নিয়েছিলো আধুনিক প্ল্যাস্টিক পলিথিনের আদিপুরুষ।প্ল্যাস্টিক এখন এতোটাই জনপ্রিয় যে গরীব থেকে উচ্চবিত্ত সবার বাড়িতেই এর উপস্থিতি।  প্ল্যাস্টিক প্রকৃতপক্ষে কৃত্রিম পলিমার।অনেকগুলি প্রাথমিক উপাদান (মনোমার) যখন পলিমেরাইজেশন বিক্রিয়া করে কোনো দীর্ঘ শৃঙ্খলাকার বৃহদাণবিক যৌগ গঠন করে তখন তাকে পলিমার বলে।যেমন ইথিলিন নামক মনোমার পলিমেরাইজেশন বিক্রিয়া করে পলিথিলিন গঠন করে।  বেলজিয়ামবাসী একজন রসায়ণ শিক্ষক ভেলক্স আবিষ্কার করেন প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল আলোকচিত্র সন্বন্ধীয় কাগজের মতো পদার্থ। তাঁর এই আবিস্কার তিনি জর্জ ইস্টম্যান নামক জনৈক ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করেন।১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দে লিও হেনড্রিক বেকল্যান্ড ব্যাকেলাইট (যা আধুনিক প্ল্যাস্টিকের প্রথম রূপ) আবিস্কার করেন। ১৯২০ সাল

গল্প

ঋতি সু ল গ্না  চৌ ধু রী ঋতি আজ জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আনমনে ভাবছে তার ফেলে আসা শৈশব আর কৈশোরের কথা। আজ সকাল থেকেই তার মনটা কেমন যেন মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে, শ্রাবণের জমা কাজল কালো মেঘে যেমন আঙুলের একটা টুসকি মারলেই জমা অভিমানভরা বারিধারা ব্যথা হয়ে ঝরে পড়ে পৃথিবীর বুকে, আজ ঋতির মনের ওই একই অবস্থা, কিন্তু তার এই মন মেঘের মন্দিরে পরম মমতায় হাত বোলানোর যাঁর কথা ছিল, তার সেই পরম স্নেহ ভরা নির্ভরতাও আজ আর তার সাথে নেই, গত একবছর আগে পৃথিবীর সকল মায়া ত্যাগ করে চিরনিদ্রায় সমর্পণ হয়েছেন- ঋতির "মা", যে "মা" তাকে সকল দিনে, সকল ক্ষণে বুকে আগলে রাখতেন, সেই মা এখন ঋতির অনুভবে থাকেন, অন্তরের অন্তঃস্থলে তাঁর কন্ঠস্বরখানি বেজে চলে প্রতিনিয়ত তার চারপাশে।বুক ভেঙে যায় ভাবতে বসলে যে তার মা আর নেই, পৃথিবীটাকে কেমন নীল নির্জন মনে হয়। ব্যথার রঙ যে নীল।  এ পৃথিবীতে ঋতির আপনার বলতে- তার বাবা, যিনি অসমর্থ, অশক্ত শরীরে বর্তমান, জরা এসে তাঁকে আক্রমণ করেছে, আর আছে একমাত্র সহোদর যে তাঁর নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত, তাই ঋতির মনময়ূর এখন আর এই বাড়িতে এসেও পেখম মেলার সুযোগ পায়না।  ঋতি তার একরত্তি আত্মজকে নিয়ে তা