পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অণুগল্প

বুমেরাং নি র্মা ল্য ঘো ষ  "দেখ, তুমি আমাকে ভালোবাসো... আমি তোমাকে খুব যত্নে রাখব..." "কি রকম যত্নে?" ছেলেটির আগ্রহ... " তোমার কোনো ব্যাপারে interfere করব না... যা খুশী করবে... শুধু আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসবে না..." "সে তো এখনো বাসি না অন্য কাউকে..." "ভবিষ্যতেও না..." "ঠিক আছে... কথা দিলাম..." হিমি আনন্দে জড়িয়ে ধরল অতীনকে... আবেগও স্পষ্ট ফুটে উঠেছে তার চোখে মুখে। বড্ড ভালোবাসে সে অতীনকে। তাই তো বরকে ফাঁকি দিয়ে ভিক্টোরিয়ায় প্রতিদিন বিকেলে অতীনের সঙ্গে দেখা করতে আসে।  আজকেও এসেছিল। তখনি এ সব কথাবার্তাগুলো হচ্ছিল। হঠাৎ হিমি লক্ষ্য করল অতীনের মুখটা কেমন পাংশু বর্ণের মত হয়ে যাচ্ছে ভিক্টোরিয়া গার্ডেনের বাঁ দিকে তাকিয়ে।  "মা, দেখ বাবা..." একটি ফুটফুটে বাচ্চা দ্রুত দৌড়ে আসছে অতীনের দিকে, পেছনে অবাক বিস্ময় চোখে শাখা সিঁদুর পরিহিতা এক বিবাহিত ভদ্র মহিলা তাকিয়ে আছেন অতীনের দিকে। হিমির সারা শরীর দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। সে ঘুণাক্ষরেও কোনদিন টের পায়নি এসব। মিছিল শ্যা ম ল কু মা র মি শ্র সত্তরোর্ধ্ব নিরঞ্জনবাবু পথ হাঁট

মুক্তগদ্য

একাকী শ্রাবণের গান জ বা  ভ ট্টা চা র্য আকাশে কাজল মেঘে ভেসে আসে বৃষ্টির  চিঠি ধূসর  কাহিনীমালা  লিখে  যায় লাজুক  নদীটি  উঁচু বাঁধানো পথটির নিচেই ক্ষীণাঙ্গী তন্বী কিশোরীর মতো নদী। কি তার নাম কে জানে! ছলছলিয়ে ছুটছে আর ছুটছে ।আকাশ ছোঁয়া হীরে মোতির চুমকি বসানো শাড়িতে তার ছাইরঙা দেহে রূপের ঢল। জল তরঙ্গ  বুদ্বুদ, নদীর মোহিনী মায়া,  বৃষ্টির ঝমঝমে নদীর বুকে হীরের চুমকি,আমায় বড় টানে। নিরিবিলিতে  নদীর পাড়ে একটু বসি। অবশ কষ্টগুলো ভাসিয়ে দিই ঢেউজলে। রাত ভোর হতে এখনও কিছু বাকি--- নিংড়ানো সময় বাঁচিয়ে  চেয়ে আছি ভোরের দিকেই-- ভোরের আলোয় জীবনের মনোহারী মিথ্যেগুলো যদি সত্যি হয়ে যায়! একদিন তো তোমার সাঁকো আমারও  ছিল--- আজ কতদূর সব---- এলোমেলো। একাকী কুয়াশা মাঝে শ্রাবণের শেষ গান পাটাতনের সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায় শ্যাওলাগন্ধী টানে মায়াহীন অশ্রুজলে কবে জোনাকি প্রহর উৎসবে জোছনারা ভেসে গেছে গানে। আমি জানি বাঁক ফেরা বাঁকে নদীজল ডেকেছে  আমাকে বেদনার মতো কাছে পাওয়া এ পরবাসী হৃদয় ছেড়ে আমার হলোনা ফিরে যাওয়া। ককপিট প্র বা ল  ব সু মেয়েটিকে প্রথম দেখেছিলাম সুলেখাতে। কিছুটা সময় গড়িয়ে যেতে না যেতেই বু

কবিতা

কবিতার অন্বেষণে প লা শ  বি শ্বা স            ( ১৯ ) জুঁই গন্ধ চেয়েছিলে তুমি পূবের জানালায় এই রাতে আমি হাত বাড়িয়ে তোমার পরশ নিলাম মেখে সে অধিকার আগেই দিয়ে রেখেছো প্রতিটি শ্বাস দেওয়া নেওয়ার মাঝে আমি পূর্বরাগে গা ভাসিয়েছি                                                       ( ২০ ) সূর্য হেসেছে আজ বেশ ক'টা দিন পর ওই তো তোমার হাসি হাসি মুখ ভালোবাসার সোনালী কিরণ  আমার সারাটা শারীর জুড়ে আর ফুটফুটে নয়ন তারা তুমি                 ( ২১ ) আমার ভালোবাসার নাও যদি তীরে ডোবে হেসে উথাল পাথাল মাঝ দরিয়া ছাড়ি মন মাঝি আমার গাইবে বৃথা ভাটিয়ালী একটানা বেসুরে না পেয়ে কোনো দিশে                                                   ( ২২ ) রাত জাগা পাখি চেয়ে দেখো তোমার ঝকঝকে আকাশের দিকে ফুল ফোটা ভোর হয়ে ধরা দেবো ঠিকই এখন আমি রাতের ক্যাসিওপিয়া সুর বাঁধি একতারায়                                                                            ( ২৩ ) মনটি আমার জলের মতো তোমার হৃদ সরোবর রাখবে যেমন প্রসারিত আমার ভালোবাসা তেমন আকারই নেবে ঘোলা না টলটলে কীসের ভাবনা ভাবো অতশত               ( ২৪ ) লুকিয়ে রেখেছ