পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দ্বিতীয় বর্ষ।। প্রথম ওয়েব সংস্করণ।। শারদ সংখ্যা।। ৬ আশ্বিন ১৪২৯।। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ছবি
= সূচিপত্র = সম্পাদকীয় পত্রসাহিত্য ১৷ আগমনীর ধ্বনি- সুলগ্না চৌধুরী ২৷ খোলা চিঠি- জবা ভট্টাচার্য ৩৷ হলুদ পাখি- শিখা নাথ ৪৷ জ্বালিয়ে রাখি আশার দীপ- শ্যামলী ব্যানার্জী প্রবন্ধ ১৷ আমার ভাবনায় প্রাবন্ধিক হাসান আজিজুল হক- গীতশ্রী সিনহা ২৷ বাংলা সাহিত্যের উৎস সন্ধানে চর্যাপদের কাব্যমূল্য- ছন্দা চট্টোপাধ্যায় ৩৷ শাক্তপদে পারিবারিক সমাজজীবন- তপন পাত্র ৪৷ কাব্য-সত্য- রঞ্জিত রায় ৫৷ সরল প্রক্ষেপন: ডঃ সৌমিত্র শেখরের "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নজরুল"- ভীষ্মদেব বাড়ৈ ৬৷ ফার্মি প্যারাডক্স- ইমাম মেহেদী আশফী ৭৷ গোষ্ঠ বিহার মেলা- মিঠুন মুখার্জী ৮৷ তবু অনন্ত জাগে- মঞ্জিরা ঘোষ গল্প ১৷ অমিতাভ- পাভেল ঘোষ ২৷ মিলন- নন্দিতা সোম ৩৷ ইটি- প্রসেনজিৎ আরিয়ান ৪৷ শূককীট- সূর্য নারায়ণ ঘোষ ৫৷ মমতা- অদিতি ভট্টাচার্য (অরণ্যানী) ৬৷ বন্ধু হারায় না- অশোক কুমার মোহান্ত ৭৷ মায়ের বোধন- দীপান্বিতা চৌধুরী ৮৷ ভুলভুলাইয়ার শেষে- রথীন্দ্রনাথ রায় ৯৷ মনে জাগে নেশা- গৌরী সর্ববিদ্যা ১০৷ জীবনের ঢেউ- চন্দন চক্রবর্তী ১১৷ সিঁদূর- সুনন্দা চক্রবর্তী ১২৷ স্বর্গেও সমস্যা- মোয়াল্লেম নাইয়া ১৩৷ নতুন পথের সন্ধানে- তুলি মুখার্জি চক্র

পত্রসাহিত্য

আগমনীর ধ্বনি সু ল গ্না চৌ ধু রী প্রিয় তিথি,  তোকে যখন এই পত্র লিখছি তখন শ্রাবণী পুর্ণিমার  ঝলমলে আলোয় ভেসে যাচ্ছে আমার শহর। উৎসব দুয়ারে, মন নেচে উঠছে। সে উৎসবের আগমনী বার্তা প্রতিদিন একটু একটু করে প্রকৃতির চারদিকে ধ্বনিত হচ্ছে।   রোজ সকালের রবি রশ্মি এক অদ্ভুত সোনালী আভায় সাজাচ্ছে তার চারপাশ, লাল, নীল, হলুদ ফড়িং উড়ে বেরাচ্ছে বাগানময়, প্রজাপতির রঙিন পাখার বিচ্ছুরণ চারপাশকে আরও রঙিন করে তুলছে।   প্রকৃতি সাজছে, সাজছে মানুষের মন, বৃষ্টিস্নাতা কামিনী ফুলের খসে যাওয়া পাপড়িরা পথ সাজিয়ে তুলছে। "মা" যে আসছেন দূর হতে তার আগমনীর শুভ সূচনা।   ঠিক সেই দিন গুলোতে আমরা যে ভাবে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতাম, তিনি আসবেন, তিনি আসছেন, তিনি এসে পড়েছেন। শিউলি ঝরানো সকাল গুলো গন্ধে বিভোর হয়ে থাকতো। সে ফুল তুলে মুঠো ভরে থাকতাম, গন্ধ নিতাম মন ভরে, আজও সে গন্ধ বিভোর করে রাখে…  বিভোর করে রাখে আর ও কতো শত স্মৃতি… আজও কান পাতলে শোনা যায় আমাদের সে রেখে আসা দিনের গল্পগুলো…তোর আর আমার সেই এক সাথে এক দোকানের জামা কাপড় কেনার দিনগুলো, সখ্যতা মাখানো আমাদের রেখে আসা সব কিছু। কতো পরিবর্তন জীবন জুড়ে তবু শিকড়কে ভোলা দা

প্রবন্ধ

আমার ভাবনায় প্রাবন্ধিক হাসান আজিজুল হক গী ত শ্রী  সি ন হা  হাসান আজিজুল হকের যাবতীয় খ্যাতির নেপথ্যে অবশ্যই তাঁর গল্পসম্ভার। 'আগুনপাখি' উপন্যাসটিও তাঁর সাহিত্য ক্ষমতার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা বাড়িয়েছে যথেষ্ট। আপাত-সামান্যা এক গৃহবধূর জবানীতে আটপৌরে চালে এই উপমহাদেশীয় ইতিহাসের অতি গুরুত্বপূর্ণ এক কালখণ্ডকে মূলে-স্থূলে পাওয়ার সৌভাগ্য এযাবৎ  বিশেষ হয়নি আমাদের। এরকম উপন্যাস বাস্তবিকই অঙ্গুলিমেয়, ভাবনার স্বচ্ছতা যেখানে বিষয়কে অযথা জটিল হতে দেয় না, সামাজিক গহীনের সমূহ চলমানতা, ভাঙনকে যেখানে পাঠক উপলব্ধি করতে পারেন মর্মে মর্মে  -- লেখকও যেন পান্ডিত্য ও মেধার আরোপে ভারাক্রান্ত হতে দেন না তার সৃষ্ট চরিত্রের ভাবনা ও ভাষাকে। এই একই প্রতিক্রিয়ার বিস্তার তাঁর ছোটগল্পেরও জোর, প্রত্যক্ষের পরিবেশনে তিনি এমন কিছু সত্যকে ছুঁয়ে যান নির্ভার সহজ গদ্যে যে, পাঠকের দৃষ্টি প্রসারিত হওয়া সম্ভব।  তাঁর গল্প-উপন্যাস তাঁকে আদ্যোপান্ত বাস্তবলগ্ন ও খর চেতনার লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়--- এ বাংলার যে কোনো পাঠকের সিদ্ধান্ত হতে পারে এরকম, এই নিয়ে আজ দ্বিমত পোষণের অবকাশও নেই। চিরকালই হাসান আজিজুল হক-- এর হ্রস্বতম রচনা

গল্প

অমিতাভ পা ভে ল  ঘো ষ               (১)                                  "ও স্যার...!"  কথাটা কানে আসতেই মনে হলো, কতদিন শুনিনি এমন আন্তরিকতায় ভরা ডাক। প্রাণ জুড়িয়ে গেলো আমার। নিশ্চিত কোনো প্রিয়জন হবে। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখি, অনুমানটা একদম সঠিক। এতো সেই অমিতাভ..! "কেমন আছিস...?"  ঘাড় উঁচু করে বললাম। সেই আগের মতোই আছে অমিতাভ। ছ'ফুটের মত লম্বা, রোগা আর মুখে লেগে থাকা সেই লাজুক হাসি। হাতদুটো  পিছনে মুঠো করে বিনীত স্বরে বললো, "ভালো স্যার..।" "কোথায় যাচ্ছিস শুনি..?"  আমি একগাল হেসে বললাম। "স্যার, আপনি যতদূর যাবেন.." অমিতাভর মুখে কথাটা শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। এই অবক্ষয়ের যুগে এমন ছাত্রও আছে..! পালসিট স্টেশনের পাশ দিয়ে ঝাঁ চকচকে দূর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ে সোজা পাড়ি দিয়েছে উড়ালপুল হয়ে বর্ধমানের দিকে। এই উড়ালপুলের পাশেই স্বস্তিপল্লি। আর এই স্বস্তিপল্লিই হলো অমিতাভর বাসভূমি। ওর সঙ্গে আমার পড়ানোর সূত্র ধরেই পরিচয়। অনিমেষবাবু ছেলেকে হাত ধরে আমার কাছে নিয়ে এসে বলেছিলেন, "অনিরুদ্ধ, আমার ছেলেটাকে তোমার কাছে দিয়ে গেলাম