পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পত্রসাহিত্য

শশী   ম ধু মি তা  ভ ট্টা চা র্য প্রিয় পাঠক, লেখার অভ্যাস নেই আমার। বিশেষতঃ পত্র। তোমাদের বর্ণনায় এক পাড়াগেঁয়ে মেয়ে আমি। কিন্তু অপরিণত কলমটা ধরতে ইচ্ছে করলো। তোমাদের কাছে পত্র এক আত্মীয়তা বলতে পারো। আত্মীয়তা, আত্মার সাথে সম্পর্ক আলাপন। এক আত্মীয়তাই বটে! ইতি পূর্বেই রবিঠাকুরের বলিষ্ঠ কলমে আমার পরিচয় পেয়েছ তোমরা।   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "দিদি" ছোটগল্পের এক নারী চরিত্র শশী।  রবিবাবুর  অসির মসিতে আমি প্রথম ধরা দিয়েছিলাম ছোটগল্পের আকারে। কিন্তু তারপরেও গগণবিহারী রূপে ভেসে চলছে আমার জীবন বিহার। যেটা তোমরা জানোনা।কেননা আর খোঁজ পাওনি আমার। জনান্তিকে আরেক কলমে আবার ধরা দিলাম। আমার খোঁজ আমি নিজেই দিলাম।       আমি শশী  পড়ন্ত বিকেলে আলো কেমন সোনালী রঙের হয়ে গেছে, অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে। গাঙের জলে সেই আলো ছড়িয়ে পড়ে গাঙকে যেন মোহময়ী করে তুলেছে। সূর্য ডুবলেই আকাশে নরম আলোতে মাখামাখি করে আসবে চাঁদ, চাঁদ! আমি!  হ্যাঁ আমি চাঁদই বটে, নাম যে শশী, চাঁদের নরম পেলব আলোতে না, শুধু কালো আঁধারে জর্জরিত আমার সংগ্রাম। আমার জীবন। সূর্য নেই আমার নামে, চাঁদ নামে। আমার নাম শশী। কিন্তু পেলব

প্রবন্ধ

ছড়ার বিবর্তন : প্রাচীন থেকে আধুনিক সু জা তা দা স কবিতা হলো শব্দের ছন্দময় বিন্যাস যা একজন কবির আবেগ অনুভূতি উপলব্ধির চিন্তাকে প্রকাশ করে এবং শব্দের ছন্দায়িত ব্যবহারের কারণে কবিতা ছান্দিক ও শ্রুতিমধুর করে। ছড়া হলো মুখে মুখে উচ্চারিত ছন্দময় ঝংকারিত পদ্য, যাহা বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত, যা রামায়ণ ও মহাভারত নামে খ্যাত- এই দুটি ভারতবর্ষ উপমহাদেশের যুদ্ধবিগ্রহের কাহিনীর সমন্বিত লোকগাথা। মানব মনের কল্পনা যখন অনুভুতি রঞ্জিত শব্দসমূহে ছন্দাময় রূপ লাভ করে তা হলো কবিতা। বাংলার লোকসংস্কৃতির একটি বিশেষ দিক হল ছড়া, "বঙ্গীয় শব্দকোষ" অনুসারীদের লৌকিক বিষয় নিয়ে রচিত শব্দের গ্রাম্য রূপ কবিতা। ছড়া সাধারণত মৌখিক আবৃত্তির জন্য মুখে মুখে রচিত হয়, এর একটা বিশেষ ছন্দও থাকে। যুগে যুগে এটি বহু সংগ্রাহক সংকলক ও সম্পাদককে আকর্ষণ করেছে, এর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিচয় লোক সাহিত্যের অন্যান্য বিষয় থেকে ছড়াকে স্বতন্ত্র ও মনের অনায়াস সৃষ্টি বলে মনে করেছে। ছড়া মূলত শিশুতোষ রচনা, কোনও বার্তা বা মনোভাব প্রকাশ হয় না ছড়াতে, শিশুদের ঘুম পাড়ানো বা কান্ন

ছড়া

টইটই... শ ঙ্খ শু ভ্র পা ত্র টইটই টুকটুকে মাথায় কলপ, আমার নয় বাপু করছি হলফ৷ টইটই টগবগে ঘোড়াটির প্রাণ, তাই দেখে হাসছে ফুলের বাগান৷ টইটই  টিয়াঝাঁক কই উড়ে যায়? মন বলে, সুখ ওই বটের ছায়ায়৷ টইটই টিকটিকি তাল পড়ে 'ঢপ'... গরম গরম খাস ফুলুরির চপ? টইটই টুনটুনি  ছড়া উৎসব, পরিচালনায়— প্রিয় বিপ্লব৷ বড়দিনের মজা প্র দী প  কু মা র  সা ম ন্ত বড়দিনের ছুটিতে চলো যাই উটিতে       কাটাই কিছুটা সময় পাহাড়ের মিষ্টি শোভা কি দারুণ মনোলোভা        হোক জীবন সঞ্চয়। নদীতটে পিকনিক মিঠে রোদ ঝিকমিক        নেচে ওঠে তনুমন পরিযায়ী পাখি সব  করে যায় কলরব         সবাই কতো আপন। জমে ওঠে চিড়িয়াখানা বইমেলায় দেয় হানা         হাসি-গান উল্লাসে গীর্জা মঠ সেজে ওঠে যীশুর মহিমা ফোটে          পবিত্র সুর বাতাসে। পুজোর নামে শং ক র  দে ব না থ পুজোর নামে ডাইনে-বামে হচ্ছে এখন কী যে! কর্ণফাটা শব্দে বাজে বুক-কাঁপানো ডিজে। সঙ্গে তারই রঙ্গে মেতে উদ্দাম নাচ চলে, সুরায় সুরায় হৃদয় জুড়ায়, শরীরখানা টলে। এই সময়ে নেই পুজো সেই প্রাণের পরশমাখা, ভালবাসার আলোর বাসায়  ভক্তিনত থাকা। ভক্তিগীতি এখন স্মৃতি, পুজোয় বাজে না সে, পপগানে তাল জপ করে সব হা