পত্রসাহিত্য
শশী ম ধু মি তা ভ ট্টা চা র্য প্রিয় পাঠক, লেখার অভ্যাস নেই আমার। বিশেষতঃ পত্র। তোমাদের বর্ণনায় এক পাড়াগেঁয়ে মেয়ে আমি। কিন্তু অপরিণত কলমটা ধরতে ইচ্ছে করলো। তোমাদের কাছে পত্র এক আত্মীয়তা বলতে পারো। আত্মীয়তা, আত্মার সাথে সম্পর্ক আলাপন। এক আত্মীয়তাই বটে! ইতি পূর্বেই রবিঠাকুরের বলিষ্ঠ কলমে আমার পরিচয় পেয়েছ তোমরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "দিদি" ছোটগল্পের এক নারী চরিত্র শশী। রবিবাবুর অসির মসিতে আমি প্রথম ধরা দিয়েছিলাম ছোটগল্পের আকারে। কিন্তু তারপরেও গগণবিহারী রূপে ভেসে চলছে আমার জীবন বিহার। যেটা তোমরা জানোনা।কেননা আর খোঁজ পাওনি আমার। জনান্তিকে আরেক কলমে আবার ধরা দিলাম। আমার খোঁজ আমি নিজেই দিলাম। আমি শশী পড়ন্ত বিকেলে আলো কেমন সোনালী রঙের হয়ে গেছে, অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে। গাঙের জলে সেই আলো ছড়িয়ে পড়ে গাঙকে যেন মোহময়ী করে তুলেছে। সূর্য ডুবলেই আকাশে নরম আলোতে মাখামাখি করে আসবে চাঁদ, চাঁদ! আমি! হ্যাঁ আমি চাঁদই বটে, নাম যে শশী, চাঁদের নরম পেলব আলোতে না, শুধু কালো আঁধারে জর্জরিত আমার সংগ্রাম। আমার জীবন। সূর্য নেই আমার নামে, চাঁদ নামে। আমার নাম শশী। কিন্তু পেলব