অণুগল্প



কামারের এক ঘা

র ত্না দা স

অফিস থেকে ফেরার সময় দেখি গলির মোড়ে একটা জটলা। কি ব্যাপার! এগিয়ে গিয়ে শুনলাম অমিয় জ্যাঠামশাই মারা গিয়েছেন। মড়াকান্না শুনে পায়ে পায়ে ওনাদের বাড়ির কাছে গিয়ে দেখি স্টেথো হাতে ডাক্তার, কালোকোটে উকিল সবই মজুত। ডেথসার্টিফিকেট ও লেখা হবে, উইলও নাকি পড়া হবে!

বেশ ছোটখাটো ভিড় জমা হয়েছে সকলেই উদগ্রীব। শোনা গেলো উইল পড়ার পর ডেথসার্টিফিকেট লেখা হবে। ছেলে বৌমাদের চোখ হয়তো কিছু ভিজে ছিলো, এখন বেশ গোল গোল!

পিনড্রপ সাইলেন্স— উইল পড়া
শুরু হতেই ছেলেপুলেদের মুখ ঝুলে তেবড়ে গেলো! জ্যাঠামশাই তাঁর সমস্ত সম্পত্তি অনাথ আশ্রমে দান করে গেছেন। শুনতে পেলাম রোষকষায়িত চীৎকার--- "বাবা তুমি এটা করতে পারলে!"

আসলে অনেকদিন ধরেই অমিয় জেঠু ভাগের বাবা হয়ে গিয়েছিলেন। কেউ তেমন দেখতোই না। জেঠিমা চলে যাওয়ার পর থেকে উপেক্ষা, অবহেলা লেগেই ছিলো। ওস্তাদের মারটা শেষমেশ তিনি দিয়েই গেলেন।

তারপর.... কাহিনী শেষ। ছেলেদের বিলা থোবড়া দেখে ডাক্তারকে দিয়ে সার্টিফিকেট লিখিয়ে আমরাই কয়েকজন মিলে সৎকার সমিতির গাড়িতে তুলে দিলাম।

একেই কি বলে সদগতি!






সময়ের সংলাপ

কা বে রী  রা য়  চৌ ধু রী

অসীমা গাঁয়ের বধূ, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সন্তানসম্ভবা, সবার কৌতুহল মিটিয়ে যথাসময়ে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিলো। ফুটফুটে কন্যা কিন্তু কাঁদলেও চোখ ভাল করে খোলে না। একটু বড় হওয়ার পর বোঝা গেল দৃষ্টিশক্তিহীন। সেই মেয়েকে নিয়ে মায়ের চিন্তার শেষ নেই। গরীব ঘরে অন্ধ মেয়ে মায়ের সঙ্গে ঘরকন্নার কাজকর্ম নিয়ে থাকে। মা বিভিন্ন ধরনের ডাল বেটে দিয়ে ঘরের সামনের মাঠে একখানা সাদা কাপড়ে মেয়েকে নিয়ে হিং এর বড়ি, গয়না বড়ি ও সাধারণ নানা রকমারি বড়ি বানাতো। বাবা মা মিলে দোকানে বিলি ব্যবসা করতো, এইভাবে সংসারে আয়ের সংস্থান হতো। পাড়া প্রতিবেশীদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো মাকে- ---তোমার মেয়ে সেয়ানা হয়ে উঠছে, বিয়ের পাত্র পাওয়া মুশকিল।
মা--- যা বরাতে আছে হইবো, ভ্যাইবা আর কি করুম।
অটোতে আমার পাশের সিটে বসা এই মেয়েটির জন্মবৃত্তান্ত শুনছিলাম। এখন ও বিবাহিত, পাশেই রয়েছে স্বামী ওর হাতে একটি লোহার রড, প্রতিবন্ধী। মেয়েটির নাম মন্দিরা স্বামী সঞ্জীব, একজন আরেকজনের পরিপূরক। - মন্দিরা বললো, মাঠে বড়ি দেওয়ার সময় প্রায়ই ওপথ দিয়ে সঞ্জীব ধূপকাঠি নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করতে হাঁক দিয়ে যেত, ওর কন্ঠস্বর শুনতাম মাত্র। একদিন আমার বড়ি দেওয়ার নমুনায় আকৃষ্ট হয়ে নিকটে আসে, সেই তখনই পরিচয় শুরু এবং উভয়ের ভালবাসার সূত্রপাত। 
---বিয়ের ব্যাপারে অগ্রসর হতে তোমরা সাহসী হলে কিভাবে, দুজনেই শারীরিক প্রতিবন্ধী? 

সঞ্জীব--- আমার চোখের আলো আর ওর হাতের জোর আমাদের একত্রে চলার শপথ। 

---তোমাদের রোজগারে যথেষ্ট পরিশ্রম, এতো মনের জোর পাও কোথা থেকে? 
সঞ্জীব--- আমার বাঁ পায়ে জোর কম, ঠুক ঠুক করে লাঠি নিয়ে ধূপকাঠি বিক্রি করতাম এখন ওর হাতে তৈরি বড়ি বিক্রি করে একখানা জমি কিনে মুদি দোকান দিয়েছি, সঙ্গে পাইকারি দোকানের সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত আদান প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। 

মন্দিরা--- আমাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, ওর দেখাশোনা ও করি এছাড়া আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি আছেন, উনারা আমাদের সাথেই থাকেন, আর বাচ্চা মেয়েটি জানেন একদম সুস্থ, স্বাভাবিক, আমাদের ভরসার স্থল। 
একটা সময়ে যে অন্ধ মেয়েটি জন্মানোর পর তার মা কত গঞ্জনার শিকার হয়েছিল, সময়ের সংলাপে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে, মনের জোরে ভরসার শক্তি ওরা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। 
---তোমরা গায়ের জোরে দুর্বল, টাকা পয়সা আদায় করতে গেলে কোনো ঠক জোচ্চরের পাল্লায় পড় না? 

---দুজনেই একসঙ্গে  আমরা সততার সঙ্গে ব্যবসা করি, কোন জিনিসে ভেজাল নেই, যারা ব্যবহার করে সুনাম করে, প্রচুর অর্ডার পাই, এখন কয়েকজন মহিলা কর্মী রেখেছি গ্রামের, একতাই আমাদের মনোবল, সবার ভালবাসায় জীবনের সব বাধা পেরিয়ে সুখের মুখ খুঁজে পেয়েছি, পরিশ্রম করতে পারলে একদিন সফলতা আসবেই প্রমাণ করে দেখাতে পেরেছি। 

ওদের সাথে আলাপ হয়ে ওদের জীবন কাহিনী সমাজের কাছে তুলে ধরেছি, বলেছি--- কর্মের জয় অনিবার্য, এ এক মহান দৃষ্টান্ত। কবিগুরুর এই গানটি মনে গুনগুনিয়ে উঠলো মনে--- "অন্ধকারের উৎস-হতে উৎসারিত আলো,/সেই তো তোমার আলো। /সবায় নিয়ে সবার মাঝে লুকিয়ে আছ তুমি/সেই তো আমার তুমি।।"






নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগের শিক্ষা

অ ন্ন পূ র্ণা  দা স

রূপকথার আজ সকাল থেকে মেয়ের জন্য প্রচণ্ড ব্যস্ততা।  মেয়েকে স্কুল থেকে আজ সায়েন্স সিটি ঘুরাতে নিয়ে যাবে। মেয়ে বায়না করে---  কিছু খেয়ে যাবে না সে। স্কুলে গেলে সকালের জলখাবার থেকে খাওয়া শুরু হবে। তাই সে কিছু খাবে না। রূপকথা তবু তাকে জোর করে দুটো বিটানিয়া বিস্কুট খাইয়ে নিয়ে যায়। স্কুলে গিয়ে দেখে তার ফোনের চার্জ শেষ। ইস্! কি হবে? মেয়ে পিকনিকে যাবে তার ছবি সে তুলতে পারবে না? হঠাৎ মেয়ের সেকশন এর আর একজন মায়ের সাথে পরিচয় হয়। তার মেয়ের নাম চন্দনা। চন্দনার কথা মেয়ের কাছে সে খুব শুনেছে; আজ তার মায়ের সাথে পরিচয় হয়। মেয়ের পিকনিকের ছবি তুলে দেবার কথা সে চন্দনার মাকে বলে। সে বলে অবশ্যই তুলে দেব। তাদের স্কুল থেকে বাসে লাইন করে নিয়ে যাওয়ার সময়টা খুব সুন্দর লাগে দেখতে। তার সাথে যখন ক্লাস টিচার্স সবার প্রথমে যায়, সেটা দেখতে দারুণ লাগে। ওদের ক্লাস টিচার্স খুব ভালো। সে বাচ্চাদের খুব ভালোবাসে। মেয়ে সারাক্ষণ অনিন্দিতা ম্যাম এর কথা বলে। তার সাথে সেও কথা বলেছে। ওনার সুন্দর কথাবার্তা সমস্ত প্যারেন্টস এর মন কেড়ে নিয়েছে। সবার কাছে একটাই কথা গতবছরের ক্লাস টিচার্স খুব ভালো। এই ম্যাম এর সাথে ওদের এই শেষ দেখা। সবাই ম্যাম এর সাথে মেয়ের ছবি তুলতে চায়। রূপকথারও খুব ইচ্ছে ছিল মেয়ের সাথে তার প্রিয় ম্যাম এর ছবি তোলার কিন্তু মোবাইলে চার্জ না থাকায় সে ছবি তুলতে পারেনি। এই সময় সব মেয়েরা একে একে বাসে ওঠে। তার মেয়ে বাসে উঠে বসে। সেখানে থেকে তাকে হাত নাড়াতে থাকে।  এইভাবে একবার ওঠে একবার বসে, বন্ধুদের সাথে কথা বলে; এইসব করতে করতে কখন যে মেয়ের হাত থেকে টিফিন বাক্স পড়ে খাবার নিচে পড়ে যায় সে নিজেই বুঝতে পারে না। তারপর জানালা দিয়ে বারবার মাকে বলে টিফিন নিচে পড়ে গেছে। কাঁচের জানালা থাকায় সে কথা শুনতে পায়না। তারপর যখন ইশারা করে বলে তখন সে বুঝতে পারে। তখন সে বলে ম্যামকে বলতে। যথারীতি সে খুব ভয় পায় এ ব্যাপারে। তখন তার পাশে দাঁড়ানো একজন ভদ্রমহিলা সব দেখে তাকে বলে--- আপনি গিয়ে ম্যামকে বলুন। তখন সে ম্যামকে নিচ থেকে বলে। কিন্তু কাঁচের জানালা থাকাতে ম্যামও কিছু শুনতে পায় না।ম্যাম তখন তাকে বাসে উঠে আসতে বলে। সে ম্যামকে সব কথা বলে। ম্যাম কথাটি শুনে রেগে গিয়ে বলে কি করে তোমার টিফিন পরল সঞ্চিতা? সে তখন চুপ করে থাকে। আর রূপকথাকে বলে আমি কি করবো! তখন সে বলে আমি তাহলে কিছু খাবার কিনে নিয়ে আসি ম্যাম? ম্যাম বলে না, ঠিক আছে। আমি আমার টিফিন ওকে দিয়ে দেব। তখন তারও ম্যাম এর জন্য মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। মনখারাপ নিয়ে বাস থেকে নামে আর ভাবে সেই কোন সকালে ম্যাম স্কুলে আসেন। তিনিও তো আজ টিফিন করে না আসতে পারেন। তাহলে তারও তো সকালে জলখাবার খাওয়া হবে না। এতো ভালো ম্যাম এর জন্য তখন তার খুবই খারাপ লাগছিল। এমন সময় স্কুলের টিচার্স ইন চার্জ প্রশ্ন করে, কি হয়েছে? তখন সে বলে মেয়ের টিফিন নিচে পড়ে গেছে। সেই কথা ম্যামকে বলতে গিয়েছিলাম। তিনি সব শুনে বলেন টিফিন পড়ে গেছে টিফিন দিয়ে দেওয়া হবে।এটি শুনে তার ম্যাম এর কথা মনে পড়ে। এখন সে নিজের মেয়েকে নিয়ে ভাবছে না। সে ম্যাম এর টিফিন এর কথা ভাবছে। ম্যাম এর কথা বলতে যাবে। তখনই টিচার্স ইন চার্জ প্রশ্ন করে, আপনি কেন বাসে উঠেছেন। বাসে অভিভাবকদের ওঠা বারণ।বাচ্চাদের একটুখানি স্বাবলম্বী হতে দিন। সে চুপ করে যায়। সে আর কোন কথা বলতে পারেনা। এইসময় দেখে তার মেয়ের বাস ছেড়ে দেয়। সে তখন বাসের দিকে তাকিয়ে থাকে। অনিন্দিতা ম্যাম এর কথা ভাবে, অন্তর থেকে কে যেন বলে নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগের শিক্ষা একমাত্র আপনারাই পারেন ম্যাম। আমরা বাবা, মা, পরে যদি কেউ এই পৃথিবীতে আমাদের সন্তানদের কথা ভাবে তা শুধু আপনারাই পারেন।






হৃদয় পাঁজরে বিঁধে থাকা শব্দ
  
প্র দী প  ব সু 

প্রদীপের শিখা উজ্জ্বল হয় তার ধারকের তেল আর পলতের গঠনের জন্য, যত নিখুঁতভাবে পলতে পাকিয়ে তেলের মধ্যে চুবিয়ে তার প্রয়োজনীয়তা মেটানোর চেষ্টা করা যাবে, ততটাই দীপ্ত হয়ে উজ্জ্বল আলো বিকিরণ করতে পারবে প্রদীপের শিখার আলো। আমার বিশ্বাস জগতে উজ্জ্বল ছেলে/মেয়ে তৈরি করতে বাবা মায়ের কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, আর নিরন্তর
প্রয়াস, তারমধ্যে নিজেদের সব শখ আহ্লাদ ত্যাগ করে, ছেলে/মেয়েকে জগতের সামনে এনে দাঁড় করানোর অদম্য চেষ্টা, তাকে আর তার চারপাশে আলোর বিকিরণ করতে সাহায্য করে। প্রদীপের শিখা তখনই আলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় যখন তেল যোগান ঠিক মতন পায় পলতের দ্বারা, ওই উজ্জ্বল শিখাটিই আজকের কৃতি সন্তান (সে পুত্র হোক বা কন্যা হোক), প্রদীপ হচ্ছে ধারক সেও বাবার স্বকীয় উপার্জনের, বাবা তেল স্বরূপ অর্থাৎ অর্থ, স্নেহময়ী মা পলতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বুকে আঁকড়ে সব তাপ উত্তাপ সহ্য করে বাবার থেকে আহরণ করে সন্তান কে যোগান দেয়, তবেই না সন্তানের দীপ্ত শিখা, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, আর তা আলো বিকিরণ করে যতক্ষণ পলতে স্বরূপ মা, আর তেল স্বরূপ বাবা অর্থ জুগিয়ে যেতে পারেন।
সন্তানের নিজস্ব মেধার উন্মেষ এর পিছনে অর্থ ব্যয় না করলে অচিরেই সব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা এক ফুৎকারে উবে যাবে, মেধার উপরে ধুলাবালি জমে চাপা পড়ে যায় সবকিছুই অর্থ না থাকলে। তাই পিতা মাতার নাম আগে আসবে বলে আমার বিশ্বাস ঐ মেধাবী শিক্ষার্থীর নামের আগে, আমি সব পিতা মাতার উদ্যেশ্যে বলবো, একবার প্রণাম করতে চাই এই অসীম দয়ালু হৃদয়ের পরশে সন্তান কে লালিত, উজ্জীবিত, প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আর সন্তানদের উদ্যেশ্যে বলবো... আজকে তুমি যা, সবটাই তোমার বাবা মায়ের দৌলতে, তুমিও ধৈর্যশীল হও পিতামাতার প্রতি, বাকীজীবন সহমর্মী হও তাদের চলার পথে, একটু যত্ন করে কথা বলে তাদের ক্ষোভের জীবনে আরও একটু সমব্যথী হয়ে এক মনে তাদের ছোট ছোট আশাগুলো মিটিয়ে দিতে সাহায্য করে ছোট ছোট সুখগুলো তাদের চরণে ফুলের মত অর্ঘ্য দিয়ে শান্তি দিয়ো। এখন তোমরা সমাজে স্বীকৃতি পেয়েছো বলে ভুল করেও এই স্বীকৃতির পিছনের কারিগরকে ভুলে যেও না। তোমাদের জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনীর সাথে একটা সেতু হয়ে পিতামাতার প্রতি নজর রেখো। বাবা মা হচ্ছে তোমাদের দুই আঁখি, আর স্বামী/স্ত্রী হচ্ছে চশমা, যদি কোনও রকম ভুল বোঝাবুঝি হয় তাহলে তো আঁখি তুলে এডজাস্ট করা যায় না, তাই চশমার পাওয়ার চেঞ্জ করে নতুন করে আবার ভালো সংসার আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।মা দশমাস তোমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন, তোমাকে বহন করে লালিত পালিত করেছেন নিজের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে, বাবা এই সময় মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দিয়েছেন, সব কিছু মুখ বুজে মেনে নিয়ে চলেছেন একটাই কারন তুমি তাদের স্নেহ ভালোবাসার ধন রত্নধন, তুমিই তাদের আগামী বিজয় রথের ধ্বজা, সগৌরবে ভবিষ্যতের আকাশের বিজয় পতাকা, এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।।








মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল সংখ্যা || ৪ ফাল্গুন ১৪৩০ || ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || বাসন্তী সংখ্যা || ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ১০ মে ২০২৪