জানা অজানা

ভুতদিবস

রা না স র কা র

"পরশু রাতে পষ্ট চোখে দেখনু বিনা চশমাতে,
পান্তভূতের জ‍্যান্ত ছানা করছে খেলা জোছনাতে।"

আমাদের যেমন ভুত চতুর্দশী, সাহেবদের তেমনি হ‍্যালউইন ডে। মূলতঃ ইউরোপ, আমেরিকার উৎসব হলেও ৩১শে অক্টোবর আজকাল প্রায় গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। চলে প্রায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে।অক্টোবর থেকেই দোকানে দোকানে কালো রঙের পোশাক, ভুতের মুখোশ, মিষ্টিকুমড়ো, মাকড়শার জাল বিক্রির ধুম পড়ে যায়।বাড়িঘর হোটেল, রেস্তোরাগুলোও সেজে ওঠে ভৌতিক সাজে। বাচ্চারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নক করে বলে, "ট্রিক অর ট্রিট"। আর গেরস্ত তাদের ঝুলিতে ভরে দেয় ক‍্যাণ্ডি বা খাবার। অনেকটা যেমন আমাদের বাচ্চারা জন্মাষ্টমীতে বা দোলে রাধাকৃষ্ণ সেজে ঘোরে, তেমনি।

হ‍্যালউইন শব্দটি এসেছে স্কটিশ শব্দ "অল হ‍্যালোজ" থেকে যার মানে হলো- পবিত্র সন্ধ‍্যা। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে আয়ারল‍্যান্ড, ইংল‍্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে বসবাস করতেন সেলটিক জাতির মানুষেরা। এ উৎসবের সূচনা করেছিলেন তারাই। পরে তা গোটা ইউরোপ হয়ে আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। অক্টোবরের শেষ দিনটিকে তারা গ্রীষ্মের শেষ এবং শীতের শুরু বলে ধরতেন। এ রাতটা খুব ভয়ের। তারা মনে করতো, এ রাতে প্রেতাত্মা বা অতৃপ্ত আত্মারা নেমে আসে। তারা জীবিতদের দুনিয়ায় আসে নতুন করে দেহধারন করতে। তাই এ রাতটা কেউ একা কাটায় না।দলবেঁধে নাচগান করে রাত কাটিয়ে দেয়। পরদিন থেকে শুরু হয় নতুন বছর।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল সংখ্যা || ৪ ফাল্গুন ১৪৩০ || ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || বাসন্তী সংখ্যা || ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ১০ মে ২০২৪