প্রবন্ধ
সুন্দরবনের মৎস্যজীবী প্রসঙ্গে
ত প ন ম ন্ড ল
"জলে কুমির,ডাঙায় বাঘ"- এমন একটি প্রবাদ সুন্দরবনবাসীর কাছে সত্যিই চির পরিচিত। বিশ্ববাসীর কাছে সুন্দরবন হল চিত্তাকর্ষক ও রোমাঞ্চকর স্থান। তবে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন মানুষের কাছে রোমাঞ্চকর অনুভূতি প্রদান করে, তেমন এখানে আছে শিহরণ জাগানো ভয়, আতঙ্ক, বিপদের হাতছানি। তবুও সুন্দরবনের অগণিত কর্মঠ সরল মানুষ সমস্ত ভয়কে তুচ্ছ করে এগিয়ে চলে আপন সংগ্রামে। কঠিন জীবন সংগ্রাম যেন তাদের নিত্য সঙ্গী। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে পদে পদে বিপদ আসতে পারে, তা জেনেও নিজেদের জীবিকা নির্বাহের পথ থেকে তারা কখনোই বিচ্যুত হয় না। আসন্ন বিপদকে সঙ্গী করেই এগিয়ে চলে তারা। জীবনযাত্রা যে কতটা কঠিন এবং জীবিকার ক্ষেত্র যে কতটা বিপদসংকুল তা চোখে না দেখলে বোঝার উপায় নেই।
অধিবাসীদের অনেকেই মৎস্যজীবী বা জেলে অনেকে নদীচরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বেআইনিভাবে দখল করে মাছ চাষ করে সংসার খরচ নির্বাহ করে। কেউবা নদী সংলগ্ন নিজের জমিতে লবণাক্ত জল ঢুকিয়ে মাছ চাষ করে এবং তা দিয়েই কোনক্রমে সংসার চালায়।
আবার অধিবাসীদের অনেকেই নদীর প্রচন্ড স্রোতে ছোট নৌকা থেকে জাল ফেলে বাগদা বা চিংড়ির পোনা ধরে। স্থানীয় ভাষায় এই পোনা, 'মেথি' নামে পরিচিত। এই পোনা বাগদা চিংড়ি বা গলদা চিংড়ি বা মোচা চিংড়ি নামেও পরিচিত। এই চিংড়ির পোনার উপর নির্ভর করে চলে তাদের জীবন, পরিবারের সচ্ছলতা, ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও আমোদ প্রমোদ।
মৎস্যজীবী বা জেলিয়ারা নিজেদের পরিবার নিয়ে পাড়া বা গ্রাম গড়ে তোলে। সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় জেলেদের নাম অনুসারে জেলেপাড়া, জেলেখালি, সাতজেলিয়া ইত্যাদি এমন নামকরণ করা হয়েছে। তবে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে মৎস্যজীবীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করে।
মৎস্যজীবী বা জেলেদের মাছ ধরার কৌশল বড়ই বিচিত্র। তারা প্রতি কৃষ্ণা ও শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতে পরিবারের থেকে বিদায় নিয়ে বিপদ সংকুল নদী বা সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য পাড়ি দেয়। বহু সংখ্যক মানুষ ছোট নৌকাতে করে এই ঋতুতেই হাজির হয় বড় নদী বা মাঝারি নদীর কিনারায়। মাছ ধরার জন্য তাদের মনের ভিতরে এক আলাদা রকম অনুভূতি কাজ করে। সমস্ত মৎস্যজীবীরা একত্রে মিলেমিশে আনন্দের সহিত মাছ ধরে।
জোয়ারের সময় দেখা যায় নৌকার পর নৌকা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কালোবর্ণের ছোট ছোট পাখিরা সারিবদ্ধভাবে খেলা করছে। অবশ্য যারা সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় তাদের বিষয়টি আলাদা। তারা সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য বড় ট্রলার ব্যবহার করে থাকে। মৎস্যজীবীরা যেহেতু প্রতিনিয়ত দলবদ্ধ ভাবে মাছ ধরে তাই তারা একে অপরের পরিচিত হয়ে থাকে। একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে।
জোয়ার বা ভাটার স্রোতে এসে প্রথমে তারা কিছুটা লাঙল এর মত দেখতে কাঠের গুড়ি ফেলে দেয় ছোট নৌকা থেকে। মৎস্যজীবীদের কাছে এগুলি 'কাংরা' নামে পরিচিত। এগুলি লম্বা প্রায় ৭ ফুট এবং চওড়া সাড়ে ৩ ফুটের কাছাকাছি হয়। এর গোড়ার দিকে দুটি কাঠ লাগানো থাকে, যা কিছুটা কানের মত দেখতে। এর নিচের অংশে লাঙলের ফলার মত একটি লোহার পাত যুক্ত করা হয়, যা খুব সহজে নদীর গভীরে গিয়ে বালি মাটি বা কাঁদাতে পুঁতে যায়। এই কাঠের গুঁড়ির গায়ে জড়ানো থাকে মোটা দড়ি। স্থানীয় ভাষায় এগুলিকে 'কাছি' বলা হয়। এই দড়ি নৌকার সঙ্গে বাঁধা থাকে। এর ফলে নৌকাগুলি স্রোতের প্রতিকূলে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। মাছ ধরা শেষ হয়ে গেলে নৌকার সঙ্গে বাঁধা দড়ি ছেড়ে দিয়ে বড় প্লাস্টিকের ড্রাম বা বাঁশ বেঁধে সেগুলিকে চিহ্নিত করে রাখা হয়। পরের দিন ওই স্থানে এসে মৎস্যজীবিরা পুনরায় মাছ ধরে থাকে।
নৌকা গুলি এমনভাবে দাঁড় করানো হয় যে, তার দু'পাশে জাল ফেলে সহজে মাছে ধরা সম্ভব হবে। জালগুলি ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এবং ৮ থেকে ১০ ফুট চওড়া হয়। এই জালগুলি মুখের দিকে অনেকটা বড়। এবং এর শেষ প্রান্ত অনেকটা সরু আকারের হয়। যেখানে বাগদা বা চিংড়ির পোনাগুলি জমা হয়। শেষ প্রান্তের জালের সঙ্গে একটি লম্বা দড়ি বাঁধা থাকে। মৎস্যজীবী কিছু সময় অন্তর এগুলি থেকে মাছের পোনা সংগ্রহ করে। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের ভাষায় এগুলিকে "হাবজা" বলা হয়ে থাকে। প্রত্যেক নৌকাতে বড় হাঁড়ি বা বড় পাত্র থাকে, যেখানে জাল থেকে ধরা মাছগুলি সংগ্রহ করে রাখা হয়। দুজন বা তিনজন মিলে মাছের পোনাগুলি একটি সাদা বর্ণের থালাতে ফেলে বাগদা বা চিংড়ির পোনাগুলি সংগ্রহ করে এবং বাগদা বা চিংড়ির পোনাগুলি আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে দেয়। সাদা বর্ণের থালাগুলি স্টিল বা দস্তার হয়ে থাকে। তবে মৎস্যজীবীরা সাদা পাথরের থালাও ব্যবহার করে। স্থানীয় ভাষায় এগুলিকে "কুড়ের থালা" বলা হয়। এই থালাতেই নাকি মাছগুলি বাছতে সুবিধা হয়। যাইহোক মৎস্যজীবীরা মাছের পোনাগুলি বড় পাত্রে পরিষ্কার জলে রেখে দেয়। কয়েকদিন নিরন্তর পোনাগুলি রাখার পর একজন মৎস্য ক্রেতার কাছে তা বিক্রি করে দেওয়া হয়। স্থানীয় ভাষায় এই মৎস্য ক্রেতাকে 'ভারি' বলা হয়।
মৎস্যজীবীদের অনেকে দুপুর বা রাত্রিতে নদীর মাঝেই নিজেরা রান্না করে পেটের খিদে নিবারণ করে। এজন্য তারা পার্শ্ববর্তী বাজারগুলি থেকে সবজি এবং রান্নার প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে নৌকাতেই মজুত রাখে। ঘুমানোর প্রয়োজন হলে নৌকাতেই জায়গা করে ঘুমিয়ে পড়ে। প্রখর রৌদ্র ও বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য তারা অর্ধ বৃত্তাকার তাঁবু তৈরি করে, যা নৌকার মাঝ বরাবর লাগানো থাকে।
তবে বিপদের সম্মুখীন হয় তখনই, যখন নদীতে প্রচন্ড বেগে জলের স্রোত প্রবাহিত হয়। কোন কোন সময় নৌকাগুলি ভেঙ্গে যায়। আবার কোন ক্ষেত্রে ডুবে যায়। পাশের বন্ধু নৌকাগুলি সাহায্য করতে পারে না। তাদের চোখের সামনেই অনেকের প্রাণহানি ঘটে এভাবে। আবার কোনো ক্ষেত্রে নৌকা ডুবে গেলেও নৌকাতে যে অতিরিক্ত কাঠের গুঁড়ি থাকে সেটা ধরে কোনক্রমে প্রাণ বাঁচাতে পারে মৎস্যজীবীরা। অনেকে আবার নিজেকে সামাল দিতে না পেরে নিজের পেতে রাখা জালে জড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। কোন কোন সময় প্রচন্ড স্রোতে নৌকা ও "কাংরার" সঙ্গে বাঁধা দড়ি ছিঁড়ে যায়। ফলে নদীতে ফেলা জাল ও কাংরা তারা সংগ্রহ করতে পারেনা। মৎস্যজীবীরা দারুন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এভাবে।
প্রতি কৃষ্ণা ও শুক্লপক্ষের চতুর্থী বা পঞ্চমীর দিনে অনেক মৎস্যজীবী বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যাদের বাড়ি খুবই দূরে তারা পার্শ্ববর্তী বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তবে বাড়িতে ফেরার সময় তারা এক সপ্তাহ আগে নৌকা থেকে নদীতে ফেলা কাংরা তুলে নেয়। অনেক ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীরা তা তুলতে অক্ষম হন। পার্শ্ববর্তী নৌকাগুলি এগিয়ে এসে সাহায্য করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে জলের গভীরে মাটিতে পুঁতে যাওয়া কাংরা তোলা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে মৎস্যজীবীকে আবার নতুনভাবে 'কাংরা' তৈরি বা কিনতে হয়। এজন্য তাকে ন্যূনতম হলেও ভালো রকম অর্থ ব্যয় করতে হয়।
মৎস্যজীবী বা জেলেদের আরেকটি সমস্যার কথা এখানে তুলে ধরা যাক। প্রচন্ড ঝড় বা বৃষ্টির সময় মৎস্যজীবীরা প্রচন্ড সমস্যার সম্মুখীন হয়। এক মৎস্যজীবীর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এই মৎস্যজীবী প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় নদী রায়মঙ্গলে মাছের পোনা ধরে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। তার অভিজ্ঞতার কথা আমাকে ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যখন উত্তরে মেঘ সারা আকাশ ঢেকে নেয় এবং প্রচন্ড কালবৈশাখী শুরু অথবা মরশুমের ঝড় শুরু হয় তখন নৌকাগুলিকে আর ধরে রাখা যায় না। নৌকাগুলিকে ঝড়ের বেগে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে ফেলে। যদি কোন মৎস্যজীবী বেঁচে থাকে তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে আটক করে। নৌকাগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। আবার অনেকে বিপদের আশঙ্কা দেখে জঙ্গল সংলগ্ন ছোট ছোট নদীতে প্রবেশ করে যেখানে ঝড়ের দাপট ততটা থাকেনা। জঙ্গলের ভিতরে খালের মত ঢুকে যাওয়া ছোট্ট নদীকে মৎস্যজীবীদের ভাষায় "ঝিলে" বা "ফাঁড়ি" বলা হয়। তবে ঝড় দীর্ঘক্ষণ হলে তাদের কাছে বিপদ আসে জঙ্গল থেকে। জঙ্গলের বিষাক্ত সাপ তাদেরকে আক্রমণ করে এছাড়া কুমির ও বাঘের ভয়ে সর্বক্ষণ তারা আতঙ্কিত থাকে। বাঘ ও সাপের আক্রমণে যে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তা গণনার বাইরে।
বড় নদীতে মৎস্যজীবীদের আরোও একটি সংকটের মুখোমুখি হতে হয় মাঝে মাঝেই। তারা যখন ভরা জোয়ারে মাছ ধরেন তখন সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে ভেঙে যাওয়া কাঁচা গাছের ডাল বা শুকনো ডাল ভেসে এসে মৎস্যজীবীদের পেতে রাখা জালে আটকে যায়। এতে জাল ছিঁড়ে যায়। প্রচন্ড স্রোতে নৌকাকেও এই প্রকান্ড গাছের ডাল ফাটিয়ে দেয়। গাছের ডাল এবং নৌকা থেকে পেতে রাখা জালগুলি পরস্পর জড়িয়ে নৌকাগুলিকে ডুবিয়ে দেয়। মৎস্যজীবীদের এসময় কিছুই করার থাকে না। মৃত্যু তাদের সামনে উপস্থিত হয়।
সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের কাছে ভয় তুচ্ছ ব্যাপার। বিপদসঙ্কুল নদী এবং নৌকা মৎস্যজীবীদের একান্ত বন্ধু। এই দুটিকে তারা আপন করে নিয়েছে।
মৎস্যজীবীদের অনেকেই বলে থাকেন-'নদী যেন তাদেরকে আপন করে ডাকছে দিবা রাত্রি'। কিছু মৎস্যজীবী বর্ষা বা শীতের মরশুমে নিজের জমিতে চাষের কাজ করে থাকেন। কাজের অবসরে যেটুকু সময় পায় নদীতে মাছ ধরার কাজে নিমগ্ন থাকে তারা। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মৎস্যজীবী পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় সারা বছরই নদীতে মাছ ধরে থাকে। কিছু কিছু মৎস্যজীবী ছয় মাস বা এক বছর পর নৌকাগুলিকে বিশ্রাম দেয়। নৌকার ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলিকে চিহ্নিত করে তা মেরামত করে। আবার অনেক মৎস্যজীবী একাধিক নৌকা তৈরি করে উপার্জনের উদ্দেশ্যে। তাদের নৌকাগুলি ভাড়া দেওয়া হয়। কেউবা উপযুক্ত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মাছ ধরার জন্য লোককে কাজে লাগায়।
সুন্দরবন এলাকার বড় নদীগুলিতে সব জায়গায় সমান স্রোত থাকে না। কিছু কিছু জায়গায় স্রোত কম থাকে। এবং জলের গভীরতা যথেষ্ট থাকে। এইরকম গর্তযুক্ত স্থানে কুমিরের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি থাকে। স্থানীয় ভাষায় এই স্থানকে "গাড়াল" বলা হয়। তবে ছোট নদীগুলিতেও কুমিরগুলি প্রবেশ করে, কারণ এখানে জলের স্রোত প্রচন্ড নয়। স্থানীয় গরিব মহিলা বা পুরুষদের অনেকেই ছোট নদীতে এক বুক জলে নেমে মাছ ধরে। কোন কোন ক্ষেত্রে তারাও কুমিরের খাদ্যে পরিণত হয়। আবার দীর্ঘদিন ধরে লবণাক্ত জলাভূমিতে থাকার ফলে নারী-পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে মহিলারাই এমন জলবায়ুতে বেশি রোগাগ্রস্ত হয়।
সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা এভাবেই সমস্ত ভয় কে তুচ্ছ করে কঠিন জীবন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। আসলে নদী, জলস্রোত, ঝড়, সাপ, বাঘ ও কুমিরের সঙ্গে সংগ্রাম করা তাদের কাছে সহজাত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাস্তব ও গঠনমূলক ইতিবাচক কিছু কথা
গী ত শ্রী সি ন হা
ইদানীং কালে সবাইকে বলতে শোনা যায়, পজিটিভ ভাবুন, পজিটিভ বার্তা বিনিময় করুন, পজিটিভ লিখুন--- দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচক করুন। প্রশ্ন আসতেই পারে পজিটিভ থিংকিং-এর পথটা কি খুব সহজ সরল সাবলীল পথ? উপলব্ধিতে 'সৎ' ব্যাপারটিকে আয়ত্ত্ব করতে হবে।পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে দু'বার ঘটে, একবার চিন্তায় আর একবার বাস্তবে। সুতরাং পজিটিভ ভাবনা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে অনায়াসে। সফল ও সার্থক জীবনের পথ চলা ইতিবাচক চিন্তায় পরিণত করলেই যেকোনো পরিস্থিতিতে সঠিক আলোকপাত আসবে। বাঁকাভাবে কিছু দেখলে বা ভাবলে বিষয়টি বাঁকা পথেই এগোবে। এতএব, ভাবনা চিন্তা পরিকল্পনা সোজাভাবে দেখার অনুরোধ রাখলাম। বিষয়টি এইভাবে বললে সহজ সরল হবে---। পজিটিভ থিংকিং মানে এই নয় যে, যা কিছু জীবনে ঘটবে সব কিছুই সেরা হবে! বরং ভাবা যেতেই পারে অনিবার্য ভাবে এই সময়ের জন্য ভুল হলেও গঠনমূলক ইতিবাচক সিদ্ধান্তগুলো পরিবর্তন করুন। যে চিন্তা হিংসা, স্বার্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা সৃষ্টি করে তা কখনই পজিটিভ থিংকিং নয়। উপরন্তু, পরোপকারিতা, শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা এবং অবশ্যই সেবা... মানে অন্যের কল্যাণ কামনায় সৃষ্টিকারী ভাবনাকে স্যালুট জানিয়ে পজিটিভ থিংকিং মনে করা যেতেই পারে।
নেগেটিভ ভাবনা থেকে দূরে থাকার কিছু উপায়:
কিছু পরিস্থিতিতে জীবনের দাঁড়িপাল্লা পজিটিভ বিষয়ের থেকে নেগেটিভ বিষয়গুলোর ভারে নুয়ে পড়ে। তারমধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপায় সামনে আনছি---
১) কিছুটা কৌশলে নিজেকে সরিয়ে রাখুন নেগেটিভ আলোচনা থেকে। আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে সমাধানের পথ দেখান বিস্ময়কর ক্ষমতার উৎস সন্ধানে।
২) চাকরি জীবনে বা কর্মস্থানে সমালোচনাসূচক আলোচনা হলে নিজেকে সরিয়ে রাখুন এবং সম্ভব হলে উপযুক্ত বক্তব্য পেশ করে আপনার কর্তব্য পালন করুন।
৩) সফলতার দুয়ার খুলে রাখুন, সন্তুষ্টির সাথে আপোষ করে সুখে থাকুন। আপনাকে দেখে নেগেটিভ মানসিকতার মানুষরা নিজেদের মানসিকতার সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটাবেই।
৪) নিজেকে উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করুন, নেগেটিভ মানসিকতার মানুষরা আপনাকে দেখে হতাশাগ্রস্ত মনকে বলিষ্ঠ ভাবনায় ডুবে থাকার প্রয়াস করবে।
৫) সমস্যা কিছু নেই, আছে শুধুই সমাধানের পথ। নেগেটিভ মানসিকতার মানুষদের সাথে কথা বলার সময় হাসিমুখ এবং মুখের ভাষা সুন্দর সাবলীল গ্রহণযোগ্যতায় কাপর্ন্যহীন মনোভাব পোষণ করতে হবে।
৬) গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার জীবনের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন। নিজের ভুল থেকে নিজেই শিক্ষা নিন। সুরক্ষিত রাখুন পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া শিক্ষাকে। জীবনের ব্যর্থতাকে কাজে লাগান সাফল্যের চাবিকাঠি মনে করে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে নিজেই নিজেকে উদ্ধার করুন বুদ্ধি অস্ত্রের সাহায্যে।
৭) নিজের প্রতি হীনমন্যতায় ভুগবেন না, আজ যেটি অসফল- কাল সেটিই আপনার কাছে সফলতার সিংহদুয়ার। উচ্চ উপলব্ধিতে বিশ্বাস রাখুন। হয়তো, হতে পারে, 'আমার মনে হয়', 'এইরকম হলে বেশ হয়'--- এমন মনোভাবের কথা উচ্চারণ করবেন না। এই সব শব্দ আপনার মনে দীর্ঘস্থায়ী দুর্বল প্রভাব ফেলতে পারে।
৮) চিন্তা-দুশ্চিন্তা শেয়ার করুন আপনার থেকে বলিষ্ঠ মনোভাবপূর্ণ মানুষের সাথে। অনেক সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামনে আসলে মোকাবিলা করুন সরে না গিয়ে।
প্রাসঙ্গিকভাবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলা দরকার মনে হয়, পজিটিভ থিংকিং বহনকারী কিছু বই আমাদের সকলের পড়া প্রয়োজন, ভাবতে শেখাবে, বুঝতে শেখাবে, বিনিময় করতে শেখাবে এই বই।
'থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ' বইটির নাম আমরা সবাই শুনে থাকবো, সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট এর বইয়ের জগতে এটি একটি ক্লাসিক বই। লেখক নেপোলিয়ন হিল। আর একটি বই এর কথা না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে 'হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস অ্যাণ্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল' ডেল কার্নেগীর লেখা। আরও অনেক বই আছে যেগুলো আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে সহায়ক।
এবার আসি, আপনি যদি কিছু অর্জন করতে চান মনেপ্রাণে, আপনাকে বিশ্বাস আনতে হবে আপনি সেটা অর্জন করতে পারবেন। দক্ষতা বা পরিস্থিতি বিশ্বাসের দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। ভুল বা ব্যর্থতা আপনাকে বিশ্বাস যোগাতে সাহায্য করে , ভুল থেকেই দৃঢ়তা অর্জন করা যায়। কোনোক্রমে বিশ্বাসের জায়গা দুর্বল করলে চলবে না। সফলতা আপনার দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকবে। মাত্র একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে নিজেকে সফল শক্তিশালী মানুষ তৈরি করবে, পজিটিভি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। হ্যাঁ অবশ্যই, সাময়িক ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। কাজের এবং ভাবনার গতিকে দ্রুত বাড়িয়ে দিতে হবে। ফুটবল খেলার মাঠের মতো গোলপোস্টটাই হবে কেন্দ্রবিন্দু। সমস্যার ভিতরে গিয়ে কারণ খুঁজে আনতে হবে, প্রয়োজনে নিজের সাথে নিজের একান্তে আলাপচারিতায় থাকতে হবে। নিজের কাউন্সেলিং নিজেই করুন, আপনার ত্রুটির কারণ খুঁজে আনতে পারলেই পরিত্রাণ মিলবে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার মতো স্তরে স্তরে উঠুন।
সবশেষে বলি, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করুন। নিজেকে গুছিয়ে নিন নিপুণ কৌশলে। এই প্রসঙ্গে আরও অনেক বলার আছে... অবশ্যই আগামীতে বলবো। দলবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন আঙ্গিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবনা সফলতা আনে।
অলিভিয়া লাইং (সাম্প্রতিক কালের ব্রিটিশ লেখক)
শং ক র ব্র হ্ম
১৯৭৭ সালের ১৪ই এপ্রিল অলিভিয়া লাইং জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাকিংহাম শায়ার চালফন্ট সেন্ট পিটারে, ইংরেজি অধ্যয়নের জন্য সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, কিন্তু ডরসেটে বাজারের প্রতিবাদে তিনি তা ত্যাগ করেন। ২০ বছর বয়সে, তিনি ব্রাইটের কাছে একটি খামারে তিন মাস একা কাটান, যে অভিজ্ঞতা তিনি গঠনমূলকভাবে বর্ণনা করেছেন। লাইং একজন ভেষজবিদ হিসাবে বিশের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন।
২০০৭ এবং ২০০৯ সালের মধ্যে, অলিভিয়া লাইং দ্য "অবজারভারের ডেপুটি বুকস'-য়ের এডিটর ছিলেন। তিনি 'দ্য গার্ডিয়ান', 'ফ্রিজ' এবং "নিউ স্টেটসম্যান'-য়ে শিল্প ও সংস্কৃতি নিয়ে লিখেছেন এবং ডেরেক জারম্যান, চ্যান্টাল জোফ, উলফগ্যাং টিলম্যানস এবং অ্যান্ডি ওয়ারহোল সহ অনেক সমসাময়িক শিল্পীর জন্য ক্যাটালগ প্রবন্ধ লিখেছেন।
বর্তমানে 'অলিভিয়া লাই'-য়ের বয়স ৪৬ বছর। তার পত্নীর নাম - ইয়ান প্যাটারসন। তারা নন-বাইনারী।
অলিভিয়া লাই একজন ঔপন্যাসিক এবং সাংস্কৃতিক সমালোচক ছিলেন। তার প্রকাশিত চারটি-ননফিকশন, টু দ্য রিভার, দ্য ট্রিপ টু ইকো স্প্রিং, দ্য লোনলি সিটি এবং এভারিবিডি, সেইসাথে একটি প্রবন্ধ সংগ্রহ, ফানি ওয়েদার এবং একটি রাজস্ব ক্রুডোর লিখিত ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি নন-ফিকশনের জন্য উইন্ডহাম-ক্যাম্পবেল সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৯ সালে ক্রুডোরের জন্য ১০০তম জেমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৯ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচারের একজন ফেলো হন।
অলিভিয়া লাইং নন ফিকশনের চারটি বইয়ের লেখক, জীবনী, মনোবিশ্লেষণ এবং ভ্রমণ লেখার বিষয়বস্তুর সাথে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং মনে কথার মিল রয়েছে। তার প্রথম বই, 'টু দ্য রিভার: এ জার্নি বিনিথ সারফেস', ২০১১ সালে আলোচনা করা হয়েছিল। 'ওয়াকিং দি লেংথ অফ ওউস', যে নদীতে ভার্জিনিয়া উলফ ১৯৪১ সালে ডুবেছিলেন, অলিভিয়া লাইং উলফার জীবন এবং কাজ সাধারণভাবে, তার উপর প্রতিফলিত করে। ইতিহাস এবং স্থানের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে জীবনীর অসুবিধা। বইটি ওন্ডাতজে পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল এবং ডলম্যান সেরা ভ্রমণ বই হিসাবে পুরস্কৃত হয়।
'দ্য ট্রিপ টু ইকো স্প্রিং: অন রাইটারস অ্যান্ড্রয়েড ড্রিংকিং' (২০১৩ সাল), কোস্ট বায়োগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড এবং গর্ডন বার্ন প্রাইজ, উভয়ের জন্য একজন অধিকারিস্ট, একই ধরনের কাজ করে। আমেরিকা জুড়ে ভ্রমণ করে, অলিভিয়া লাইংয়ের সৃজনশীলতা এবং মদ্যপানের মধ্যে কঠিন সম্পর্ক অন্বেষণ করেন, জন চিভার, এফ. স্কট ফিটজেরাল্ড, রেমন্ড কার্ভার এবং আর্নেস্ট হেমিংওয়ের যেমন অ্যালকোহলিক লেখকদের জীবন ছাড়াও একটি মদ্যপ পরিবার গঠিত হয়ে ওঠার সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতার লিখন। তিনি সাহিত্যে "মানুষের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানের আরও কঠিন অঞ্চলকে মানচিত্র করার ক্ষমতা"-কে প্রশংসা করেছেন।উইন্ডহ্যাম-ক্যাম্পবেল প্রাইজের বিচারকদের বক্তব্য , "কথন, বিরক্তিকর এবং বিদ্বেষপূর্ণ, সেই সাথে সুন্দর এবং পরপর তার আঘাতকে চিত্রাঙ্কিত করার এই ক্ষমতা নিজের মধ্যে অন্তর্নিহিত"।
তার তৃতীয় বই, 'দ্য লোনলি সিটি: অ্যাডভেঞ্চারস ইন দি আর্ট অফ বিয়িং অ্যালন', ২০১৪ সালে ইক্লেস অফিসার লাইব্রেরি রাইটার অ্যাটাওয়ার্ড প্রাপক হিসাবে গবেষণার দ্বারা সহায়তাপ্রাপ্ত হিসাবে ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এটি গর্ডন বার্নের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল। সন্তানের জন্য জাতীয় বই সমালোচক সার্কেল পুরস্কার। এটি আঠারোটি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। ইয়র্কে বসবাসের সময় তার নিজের একাকীত্বের অভিজ্ঞতা পরীক্ষা করে, লাইং অ্যাঙ্গেয় যে একাকীত্বের সাংস্কৃতিক কলকার্যকর অবস্থার মতো অসংখ্য শিল্পকর্ম সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি কর্মের জন্য সৃজনশীল কাজটি একাকীত্ব প্রদান করে অন্বেষণ এবং সহচর্য গঠনের একটি মাধ্যম হয়ে, তাদের মধ্যে অ্যান্ডি ওয়ারহল, এডওয়ার্ড হপার, হেনরি ডারগার এবং ডেভিড ওয়াজনা রোভিজ। ফলাফল হল অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক বাস্তবতার একাত্বকরণ, লজ্জার তীব্র অনুভূতির একটি প্রকাশমূলক অনুসন্ধান যা একাকীত্বকে উস্কে দিতে পারে, এবং সেই সঙ্গে ১৯৭০ সাল এবং ১৯৮০ সালের নিউ ইয়র্ক এইডস সংকটের শীর্ষে একটি শক্তিমান প্রতিকৃতি।
অলিভিয়া লাইং প্রথম নীতি, ক্রুডো ২০১- এর , সম্পূর্ণরূপে অশান্ত গ্রন্থের একটি রোমান অ-ফ। সাত সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রিয়েল লেখা, লেখাটি ক্যাথি অ্যাকারের প্রতিও শ্রদ্ধাঞ্জলি, যার উপর ভিত্তি করে সর্দার। এটি ছিল ২০১৮ সালে তারিখের একটি নিউইয়র্ক সামের সংখ্যা বই, এবং গর্ডন বার্ণন এবং গোল্ডস্মিথের সদস্যদের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে, ক্রুডো ১০০তম জেমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল পুরস্কার জিতেছে। কথাসাহিত্য বিচারক ডঃ অ্যালেক্স লরির মতামত: "এটি শ্রেষ্ঠতম কথাকাহিনী: একটি সৎকর্মশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীল ক্ষমতা যা, কমনীয়তা এবং জ্ঞান দিয়ে সমসাময়িক ইতিহাসের একটি টুকরো চোরাচালানের মাধ্যমে করে।" দ্য নিউ ইয়র্কার-এ লেখা, আলেকজান্দ্রা শোয়ার্টজ ক্রুডোকে "অটোফিকশনের একটি কাজ যা বর্তমান আশঙ্কাকে ধারণ করে বলে বর্ণনা করেছেন। নিউ স্টেটসম্যান-য়ে, সারাহ ডিটুম লেখক যে লাইং "তার স্টাইল ব্যবহার করে যেমন জাদুকরের হাতের কৌশল ব্যবহার করে, একটি ইঙ্গিতে দেখান। যখন দেখা তার কথাবার্তা চাকচকে চাপের দিকে আপনার কাছে হয়"।
ফানি ওয়েদার : আর্ট ইন অ্যান ইমার্জেন্সি ২০২০ সালে প্রদর্শিত হয়েছিল। এটি প্রবন্ধ, পর্যালোচনা এবং অন্যান্য উপস্থাপনা একটি সংগ্রহ যা লেংফ্রিজ, BOMB এবং 'দ্য গার্ডিয়ান' সহ বিভিন্ন প্রকাশনার জন্য লিখেছেন।
অলিভিয়া লাইং-এর ষষ্ঠ বই, এভারিবিডি, বিদ্রোহী মনোবিশ্লেষক উইলহেম রেইচের শরীরের মাধ্যমে এবং এর অসন্তোষ পরীক্ষা করে। এটি বিংশ শতাব্দীর মুক্তি আন্দোলনের অন্বেষণ করে, নিনা সিমোন, সুসান সন্টাগ, আন্দ্রেয়া ডোয়ার্কিন এবং ম্যালকম এক্স সহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের কাজ এবং জীবন পরীক্ষা করে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের, "লির যোগের গদ্যের সাথে বড় আইডিয়া বুননের জন্য লাইংয়ের উপহার তাকে অন্ধ্রতী রায়, জন বার্গার এবং জেমস বাল্ডউইনের মত স্থির করে।
স্বীকৃতি ও সম্মাননা---
২০১৪ সালে Eccles ব্রিটিশ লাইব্রেরি লেখক পুরস্কার
২০১৮ সালে উইন্ডহাম-ক্যাম্পবেল সাহিত্য পুরস্কার
২০১৯ সালে জেমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল পুরস্কার- ক্রুডো
ভারতীয় তথ্য সাহিত্য
কাছে : ভূপৃষ্ঠের একটি যাত্রা (ক্যানগেট, ২০১১)
দ্য ট্রিপ টু ইকো স্প্রিং: অন রাইটার্স অ্যান্ড্রয়েড ড্রিংকিং (ক্যানগেট, ২০১৩)
দ্য লোনলি সিটি : অ্যাডভেঞ্চারস ইন আর্ট অফ বিয়িং অ্যালন (ক্যানগেট, ২০১৬)
মজার আবহাওয়া : আর্ট ইন অ্যান ইমার্জেন্সি (পিকাডর, ২০২০)
মুসলিম : স্বাধীনতা সম্পর্কে একটি বই (পিকাডর, ২০২১)
কল্পকাহিনী
Crudo (পিকাডর, ২০১৮ সাল)
[তথ্য সংগৃহীত ও সম্পাদিত। সূত্র- অন্তর্জাল।]
তথ্যসূত্র নির্দেশিকা -
"অলিভিয়া লাইং"। রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচার। সংগৃহীত ৮ই মার্চ ২০২১ সাল। জীবনী, কাউন্সিল, সাহিত্য। সংগৃহীত -২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
অলিভিয়া লাইং: 'আমি বন্য হয়ে উঠি। আমি খালি পায়ে কাঠের মধ্য দিয়ে দেখতে, আমি অন্ধকারে দেখতে পারলাম , দ্য গার্ডিয়ান৷ সংগৃহীত - ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
ওয়ানস অন এ লাইফ: অলিভিয়া লেইং , দ্য গার্ডিয়ান, ১৫ই মে, ২০১১ সাল। সংগৃহীত - ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
"কেন আমাদের বাংলা তাকে আলিঙ্গন করতে শিখতে হবে। এলিজাবেথ ডে"। অভিভাবক - ১৫ই জুলাই ২০১৮ সাল। ৩রা মার্চ ২০২১ সালে সংগৃহীত ।
হোয়ারে, ফিলিপ, টু দ্য রিভার অলিভিয়া লেইং: পর্যালোচনা, দ্য টেলিগ্রাফ, ১১ই মে, ২০১১ সাল। সংগৃহীত- ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
ফ্লাড, অ্যালিসন, ওন্দাজে লাভ ২০১২ সাল। রাহুল ভট্টাচার্যের প্রথম রাজনীতির জন্য যায়, দ্য গার্ডিয়ান, ২৯শে মে ২০১২। সংগৃহীত- ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
বন্যা, অ্যালিসন, ২০১২ সাল প্রথম গ্রীষ্মের জন্য সেরা ভ্রমণের লেখা কী?, গার্ডিয়ান, ৯ই আগস্ট, ২০১২ সাল। সংগৃহীত- ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
বন্যা, অ্যালিসন (৭ই অক্টোবর ২০১৬ সাল)। "ডেভিড সজালে'র "আনসপারিং" অল দ্যাট মন ইজগার্ডন বার্নর সদস্য জিতেছে"। অভিভাবক- সংগৃহীত- ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
ব্রা, আমেরিকা, কোস্টের বই ২০১৩: অল-ফিমেল ফিকশন শার্টলিস্ট প্রয়াত লেখক, ডয় গার্ড, ২৬শে নভেম্বর, ২০১৩ সাল। সংগৃহীত- ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
উইন্ডহাম-ক্যাম্পবেল, ২৮শে এপ্রিল ২০২৮ সাল।
2014 Eccles British Library Writer in Residence Award- দুই বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে, আমাদের লাইব্রেরি, ২৯শে অক্টোবর, ২৯১৩ সাল। সংগৃহীত- ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
অলার, আলেকজান্দ্রা, জাডি স্মিথ এবং ন্যাশনাল বুক ক্রিটিক সার্কেল স্বাধীনতার মাইকেল চ্যাবন, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১৭ই জানুয়ারি, ২০১৭ সাল। সংগৃহীত- ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
পপোভা, মারিয়া, দ্য লোনলি সিটি: অ্যাডভেঞ্চারস ইনদ্য আর্ট অফ বিয়িং অ্যালন, ব্রেন পিকিংস৷ সংগৃহীত- ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
মুর, সুজান, ক্রুডো বাই অলিভিয়া লেং রিভিউ- একটি ঝলমেলে পরীক্ষামূলক রাজনৈতিক, দ্য গার্ডিয়ান, ১৮ই জুন, ২০১৮ সাল। সংগৃহীত- ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২০১৮ টাইমস টাইমস ১০০টি পত্রিকা, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১৯শে নভেম্বর ২০১৮ সাল।
মার্স-জোনস, অ্যাডাম, নভেল সেন্স অফ দ্য নিউ: জাজিং দ্য গোল্ডস্মিথ প্রজেসডার্ডিয়ান , ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সাল।
"টেললস অফ লাভ অ্যান্ডওয়ার শতবর্ষী বই খেল জিতেছে"। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ১লা মার্চ ২০২১ সালে সংগৃহীত।
টেলস অফ লাভ অ্যান্ডওয়ার শতবর্ষী বই পুরষ্কার এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ২১শে আগস্ট ২০১৯ সাল।
শোয়ার্ট, আলেকজান্দ্রা, ক্রুডো বর্তমান দ্য নিউ ইয়র্কার, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে ঝিলমিল উপাদান থেকে তৈরি।
"মাজার আবহাওয়া: অলিভিয়া লেইং-এর জরুরী অবস্থা শিল্প-পর্যালোচনা দ্বারা" । অভিভাবক- ৩০শে মার্চ ২০২০ সাল। ১লা মার্চ ২০২১ সালে সংগৃহীত।
"অলিভিয়া লাইংয়ের প্রিসিয়েন্ট প্রবন্ধ সংগ্রহটির সময়ে ভূমিকা পালন করে"। পর্যবেক্ষক- ২১শে মে ২০২০ সাল। ১লা মার্চ ২০২১ সালে সংগৃহীত।
স্পেন্স, রাচেল (২২শে এপ্রিল ২০২১ সাল)। "অলিভিয়া লেইং দ্বারা- 'স্বাধীনতা একটি চলমান শ্রম'", আর্থিক বার।
শোয়ার্ট, আলেকজান্দ্রা (১০ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ সাল)। "অলিভিয়া লাইং এর "ক্রুডো" বর্তমানের রাজনীতির মাল থেকে তৈরি হল নিউর্কার সংগৃহীত ৬ই জুন ২০২২ সাল।
Regensdorf, Laura (৬ই মে ২০২১ সাল)। "অলিভিয়া লাইং একটি নির্ভুল চুল কাটা এবং সিচুয়ান টেকওয়েতে পুনর্নবীকরণ খুঁজে পায়"। ভ্যানিটি ফেয়ার। সংগৃহীত ৬ই জুন ২০২২ সাল।
লাইং, অলিভিয়া। "সম্পাদনা" অলিভিয়া লেইং। ৩রা জুলাই ২০২৩ সালে সংগৃহীত। তিনি নন-বাইনারী এবং সর্বনাম তরল, জিজ্ঞাসা করার জন্য ধন্যবাদ।
কামিংস, মাইক, ইয়েল আট লেখককে পুরস্কৃত করেছে $165,000 উইন্ডহাম-ক্যাম্পবেল, ৭ই মার্চ, ২০১৮ সাল৷ সংগৃহীত - ২৭শে জুন ২০১৮ সাল।
(শব্দ সংখ্যা: ১৩০৯)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন