ছড়া


ছেলে না মেয়ে

স্ব প ন কু মা র  পা হা ড়ী

মিনি স্কার্টে টপ চাপিয়ে চ্যাংড়া সে এক ছা
খোঁপার সাজে হাত বুলিয়ে হাসছে হা- হা-হা!
নাড়তে থাকে লম্বা দাড়ি
পুরুষ্টু গোঁফ মার-কাটারি
খুনখুনে বুড়ি লাঠি ঠুকে কয়—ছেলে না মেয়ে গা?


 



কাঠবিড়ালি

সু শা ন্ত  ন ন্দী

কাঠবিড়ালি আয়না ছুটে
একটু আমার কাছে,
জানিস আমার সবুজ ঘেরা
বাগান বাড়ি আছে।

ওই বাগানে ছুটবি রোজ
খেলবি খুকুর সাথে,
হুটোপুটি, লুটোপুটি
হাত রেখে ওর হাতে।

গাছগাছালি, পাখপাখালি
থাকবে তোদের পাশে,
খেলার সাথী হয়ে তোরা
হাঁটবি ঘাসে ঘাসে।

তিড়িং বিড়িং লাফিয়ে যখন
উঠিস গাছে গাছে,
এমনি সব ইচ্ছে আমার
মনের ভেতর নাচে।






একগুচ্ছ ছড়া

ক ল্পো ত্ত ম

                (১)
মস্ত বড়ো রাজা
তবুও তারা মেয়ে হলেই
খাওয়ায় বাদাম ভাজা।
বাদাম খেয়েই লোক থেকে যায়
সাড়ে তিন চার মাস,
রাজ দরবার ছাড়ে তারা
উঠিয়ে নাভিশ্বাস।
রাজ্য জুড়ে বাদামের টান
রাজার কি আর থাকে সম্মান?
মন্ত্রী বলে,
প্রজাদেরকে দিতেই হবে সাজা 
প্রমাণ করো আজকে
তুমি মস্ত বড়ো রাজা।
প্রজারা এত খাবেই কেন
হিসেব বহির্ভূত,
আমন্ত্রণেও খেতে হবে
আমার মনঃপূত।

               (২)
খুকু গেল ধরতে পাখি
পেল পাখির ডিম,
ডিম ফুটে এক বাচ্চা এলো
নাচে তাধিন ধিন।
নাচছে পাখি নাচছে খুকু
নাচছে চারিপাশ,
তাই না দেখে দুষ্টু ছেলে
করছে পরিহাস।
পরিহাস তো করতে পারে
পারে না সে নাচতে,
জানে না সে বাঁচতে,
বাঁচার মতো বাঁচতে গেলে
শিখতে হবে নাচতে;
পাখির মতো ডিম ফুটতেই
শিখতে হবে হাসতে।

                 (৩)
আম পেড়ে দে আমদো ভুত
জাম পেড়ে দে জামদো,
তোদের সঙ্গে খুঁজব এবার
কোথায় আছে নিমদো।
নিমদো ভুতের কাপড় পরে
চুলকানি সব যাবে,
খোস পাঁচড়া গিয়ে খুকু
নতুন জীবন পাবে।
সিমদো ভুত খোশ মেজাজে
থাকে সিমের তলায় 
মেছো ভুত গল্প ফাঁদে
যে যায় একা জলায়।
গল্প শুনে ভয় করে তার
চায় না ছুঁতে জল,
পালায় ছুটে বুঝতে পেরে
ভুতের আজব ছল।






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল সংখ্যা || ৪ ফাল্গুন ১৪৩০ || ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || বাসন্তী সংখ্যা || ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ১০ মে ২০২৪