কথিকা


আমিই বৃক্ষ কিম্বা বৃক্ষই আমি

তা প স  কু মা র  দে 

বৃক্ষ রোপণে মহৎ ঘ্রাণ ছড়ানো বাতাস বারবার ভেসে ওঠে মানুষের রঙচটা মনেও। কখনো ঝাঁপতাল সবুজের পয়গাম বহন করে কখনো  যাপিত জীবনের স্বপ্নসুরক্ষায় অলিক গল্পের মত বৃক্ষ রূপে নিজেই দাঁড়িয়ে থাকে নিজেরই অলক্ষ্যে। জীবনের গান গাইতে গাইতে লতিয়ে ওঠে বৃক্ষের অস্তি নিরোধ শরীর। নিজেই ফিরে ফিরে দেখে বৃক্ষের ভেতর নিজেকে আর নিজের ভেতর বৃক্ষকে। কী অদ্ভুত এক ঘোরের ভেতর মানুষ আর বৃক্ষ আয়না পাঠের একই ক্লাসের ছাত্র। দুজনের মৃদুমন্দ রাগ কাহারবা তালের বৈরী ছন্দের মত দোলে, যেভাবে দোলে একজন নারী। তবে কি মানুষ আর বৃক্ষ উভয়ই নারীর মত? শরীরের শব্দগুলো বয়ে চলার দিকে রঙিন নদী, ঝর্ণা মনের খাতায় চৌহদ্দি এঁকে দেয়। অবশেষে  আকাশের দিকে তাকালে  ফুরিয়ে যায়। মনে হয় ফাঁকি দেয় মেঘের কাফেলা, মিহি ধোঁয়ার বৃত্তবন্দি নীল, হয়তো কাতরাচ্ছে পাখিদের মত উড়ন্ত শূন্য, প্রেম জ্বালা জ্বলে ওঠে রঙচোখে। পুরাতন তারকারাজি বিষণ্ণ মহাকাশের আকাশডোবা আয়ু নিয়ে  ডুবে যাচ্ছে কুয়াশার মত ঘুমের নিঃষ্পাপ সিঁড়ি বেয়ে আনুষ্ঠানিক শ্মশানঘাটে ভিনদেশি ছন্দে। সামনেই ঈশ্বর প্রকৃতি বৃক্ষ রাজি দাঁড়িয়ে! ওরা বৃক্ষ নাকি মানুষ  আমিও ধাঁধায় পড়ে কবিতার শব্দশরীরে লুকিয়ে রইলাম। যেন আমিই বৃক্ষ কিম্বা বৃক্ষই আমি। ভেতরের আমি নিহিত শক্তির আধার!


আমিই বৃক্ষ কিম্বা বৃক্ষই আমি





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল সংখ্যা || ৪ ফাল্গুন ১৪৩০ || ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || বাসন্তী সংখ্যা || ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ১০ মে ২০২৪