পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছড়া

নাই কাজ সা গ রী  রা য় বক্সী বাবু আঁকশি দিয়ে কানকো ধরে মারলো টান - অজিত বলে সত্যবতী পচিয়ে দেবে সবার কান। রোজ রোজ কি মাছ ধরা যে হয়েছে তোমার নতুন শখ , তাও বা যদি গাঁথতে ছিপে ইলিশ কিম্বা কই এর মুখ। পুটি কিম্বা বাটার ওপর নেইকো তোমার এলেম আর , যবে থেকে সত্য উধাও - এ কাজ তোমার নিত্যকার। সত্য এখন খোলামকুচি , সত্য বড়ো সস্তা আজ তাই তো এখন দিন টানা দায় - পারো নাকো অন্য কাজ ? মিত্র বাবু ব্যায়াম করেন পুকুর পাড়ে নিত্য রোজ , শুধান ডেকে বক্সী বাবু বাড়িতে আজ হচ্ছে ভোজ ? তোপসে বলে ঘাটিও নাকো বক্সী বাবুর হতাশ মন - সত্য এখন বিলুপ্তপ্রায় , মিথ্যের ই জয় সারাক্ষন। তাইতো বোসে ছিপটা কোষে ফাৎনা নাচায় সারাদিন , আজ দুপুরে পণ করেছে ধরবে পোনা গোটা তিন। টাকের ওপর হাত বুলিয়ে দুঃখ করেন লালুদা - প্রখররুদ্র চলছে না আর - সান্তনা দেয় ফেলুদা , দেখুন যদি ওকে দিয়ে বাজাতে পারেন গিটার - কিম্বা একটু প্রেমের ত্রিকোণ বলেন মিস্টার মিটার। খটকা লাগে রুদ্র এখন বড্ডো বেশি রুরাল মধ্য রুচি জুড়তে হবে , তবেই হবে ভাইরাল। যাক সে কথা সবাই চলুন রজনী সেন রোড - গরম গরম লুচি খেলে চাঙ্গা হবে মুড।                 জীবন নী তা  রা য় জীবন,তোমাকে  খু

পত্রসাহিত্য

ফ্রাইডেস্ ফর ফিউচার সা য় ন্ত ন  ধ র এই পৃথিবীকে নিয়ে, তার প্রকৃতিকে নিয়ে খেলে চলা মানুষদের কাছে, হাজার আশ্বাসের মধ্যে একটিকেও বাস্তবায়িত না করা দেশ নায়কদের কাছে আমার এই খোলা চিঠি... আমি একবিংশ শতাব্দীর সন্তান। জন্ম নিয়েছি রাজনৈতিক ভাবে আপাত শান্ত কিন্তু জলবায়ুগতভাবে উত্তপ্ত এক পৃথিবীতে। মানিয়ে নেওয়া গুণের জন্য অনেক সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারে না যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশঃ বাড়ছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানেন। তারা বারংবার সতর্ক করেন দেশনায়কদের, কিন্তু তাঁরা চুপ থাকতে, হাত গুটিয়ে বসে থাকতে ভালোবাসেন। আমার যখন আট বছর বয়স, বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে নতুন কিছু শব্দ শুনলাম। গ্লোবাল ওয়ার্মিং, গ্রীন হাউস এফেক্ট, ওজোন গহ্বর। জানলাম কেন এসব হয়, এর ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে। আমরা ওই বয়সে যা জানলাম তার চেয়েও কয়েকগুণ ক্ষতিকারক দিক রয়েছে এই ঘটনাগুলির, রাষ্ট্রনায়করা সবাই তা জানেন। কিন্তু তারা যে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন। গণতন্ত্রের পূজারী হোক বা সাম্যবাদের রক্ষক, ধনী স্বচ্ছল দেশ হোক বা উন্নয়নশীল গরীব দেশ, সকলেই একে অপরের ওপর দোষারোপ করে চলেছেন। তর্জনী তুলছেন একে অপরের দিকে। কিন্তু বাকি তিনটি

প্রবন্ধ

হুমায়ূন আহমেদ---[ লেখক, কবি, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, নাট্যকার।] শং ক র  ব্র হ্ম হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে তার মাতামহের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার উপ-বিভাগীয় পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন। তার বাবা সাহিত্যনুরাগী মানুষ ছিলেন। তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন, গ্রন্থের নাম 'দ্বীপ নেভা যার ঘরে'। তার মা'র লেখালেখির অভ্যাস না থাকলেও শেষ জীবনে একটি আত্মজীবনী গ্রন্থ রচনা করেছেন যার নাম 'জীবন যে রকম'। পরিবারে সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়া ছিল। তার অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশের একজন শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক; সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা আহসান হাবীব রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট। তার তিন বোন হলেন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ, ও রোক

সাহিত্য সমালোচনা

পুস্তক আলোচনা : দহন : সুজাতা মিথিলা [সমিধ মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলা ২০২০ ৫০/-] আলোচক : নি র্ম লে ন্দু  কু ণ্ডু কবিতা, এক নিরুচ্চার আবেগের নাম। আমার কাছে কবিতা এক অন্তর্লীন প্রবাহ, যাতে আমি অবগাহন করি চুপি চুপি। কখনো হই আনন্দে আত্মহারা, কখনো বিষাদঘন, কখনো বা প্রতিবাদী। কবি সুজাতা মিথিলার প্রথম কবিতার বই 'দহন' আমার সেই তিন আবেগকেই প্রশ্রয় দিল। কবিতার বইয়ের নামকরণের একটা খুব চেনা গত আছে। সংশ্লিষ্ট নামের কোন কবিতা সেই বইয়ে থাকবে। কিন্তু 'দহন' তার ব্যতিক্রম। এর কবিতাগুলি কবিমনের অন্তর্লীন দহনের বহিঃপ্রকাশ। কবিতাগুলি জুড়ে সেই দগ্ধ অনুভবের ছোঁয়া। ভালোবাসা শব্দটা হয়তো কবির কাছে ফিকে হয়ে এসেছে, হয়তো জাগতিক বা সাংসারিক পারিপার্শ্বিকতা ভালোবাসাকে করে তুলেছে দূর নক্ষত্রপুঞ্জের বাসিন্দা। তাই কবি বলে ওঠেন- "যত বার ভালোভালো বলো- ঠিক ততবারই খটকা লাগে, দ্বন্দ্বে ভুগি।" (শব্দবিধি); কবি দেখেছেন, প্রেম যেন বড়ই ভঙ্গুর, তাই তিনি বলে ওঠেন- "শরীর মুখস্থ হলেই পাখি ঠিকানা বদলায়... প্রেম সব পলকা শারীরিক ঠিকানায়।" (বিসর্জন); কবি জানেন, এ জগতে সময়ের থেকে করাল কেউ নেই। তাই তিনি বলে