ছড়া
পুজোর ছড়া পড়তে গেলেই
গো বি ন্দ মো দ ক
পুজোর ছড়া পড়তে গেলেই শুনি ঢাকের বোল,
দিঘির জলে পদ্মকলি— আনন্দে উতরোল।
পুজোর ছড়া পড়তে গেলেই মানস চোখে ভাসে,
মা দুর্গার মধুর রূপটি, হাওয়ার দোলা কাশে।
পুজোর ছড়া পড়তে গেলেই জবা-টগর ফোটে,
ফুলে ফুলে মধু খেতে— ভ্রমর এসে জোটে।
পুজোর ছড়া পড়তে গেলেই শাপলা-শালুক হাসে,
চোখ বুজলেও মনের মাঝে মায়ের মূর্তি ভাসে।
পুজোর ছড়া পড়তে গেলেই নতুন জামার গন্ধ,
আকাশ জুড়ে বাতাস জুড়ে শারদীয়ার ছন্দ।
পুজোর ছড়া পড়তে গেলেই শিউলি ঝরে ভোরে,
ঘাসের বুকে শিশির কণা— মুক্তো হয়ে পড়ে।
পুজোর ছড়া পড়তে গেলেই পেঁজা মেঘের তরী,
প্রকৃতি জুড়ে শারদ আলো রঙিন সলমা-জরী।
পুজোর ছড়া পড়তে গেলেই তাক্কু নাকুড় তাক্,
বছর পরে আসছেন মা — সবাই সুখে থাক॥
দেবতাদের বিচরণভূমি
কে দে ব দা স
যত ভাবি-
দেখিনি তো, ভুল কিছু?
মন বলছে-
না, না-ভেবোনা সব, অত কিছু।
সাদা, সাদা-
মেঘেরা সব-ছুটছে পিছু, পিছু।
দেখতে পেলাম-
হরেক রকম; কত কিছু।
হাতী এলো, ঘোড়া এলো-
সঙ্গে এলো রথ।
ঐরাবতে বসে, স্বয়ং-ইন্দ্র মহারাজ।
এ কি দেখলাম! এ কি দেখলাম!
ভুল হয়নি তো- চোখের পলক?
এক বার দেখি, বার,বার দেখি;
দেবতারা সব-করছে শঙ্খধ্বনি।
ভাবটা এমন-
যেন মর্তে আগমনী।
যুগের ছবি
অ রু ণ দা শ
বদলে গেছে মাটির ছবি
তুমি আমি করব কি?
বাঘের মাসি বিড়াল বেটা
পায় কি গাওয়া ঘি?
ভালবাসা যেথায় বিকায়
সেথায় খামার ছুঁচো
আগের দিনের হুক্কা চুষে
লুকিয়ে অশ্রু মুছো।
গড়ের মাঠে মানুষ বেচা
কেনার বিশাল হাট
আসবে কারা শুনতে কবি
তোমার গজল ঠাট?
তার চেয়ে যে অনেক ভালো
বন পাহাড়েই বাস
থাকবে আর স্বার্থের তাড়া
হবোই পশুর খাস।
স্ব্জন খাবে কামড়ে চিরে
সইবে কেমন করে
খায় না কবি বনের পশু
যখন খুশি ধরে।
না হয় নিজের চক্ষু কর্ণ
নিজেই উপড়ে ফেলে
হই না সবাই কীটের খাবার
ঘাসের মাদুর মেলে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন