অণুগল্প

টুসকি

অ র ণ্যা নী

টুসকি জেদ করে মায়ের বাড়ি থেকে দিদার বাড়ি গিয়ে উঠল। মা মেনে নিতে পারছিল না তার স্বেচ্ছাচারিতা। মেয়ে বড় হচ্ছে। এতো সাজ পোশাক করলেই বাবুদের চোখে পড়বে। তা বাবুদের চোখে এতদিনে টুসকি পড়েই গেছে। বাবুদের চোখে পড়লে যদি ভালো মন্দ সব খাবার খাওয়া যায়, দামী পোশাক পরা যায়, তবে ক্ষতি কী? আর যা করতে হয়, তাতেই বা কী হয়েছে? বাপ মা তো বিয়ে দিয়ে উঠতে পারল না। বাবা ঠ্যাং ভেঙে বাড়িতে বসে, মা লোকের বাড়ি কাজ করে। দাদারাও নিজেদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। দিদা রাস্তায় ভিক্ষে করে। তাকে দেখার কেউ নেই। একটা ছোট্ট চালা ঘরে থাকে। দিদার কাছে এখন টুসকি থাকায় দিদার মুখেও দু'বেলা অন্ন জুটছে। দিদা তাই কিছু বলে না। দিদা ভাবে, সেছাড়া সেজেগুজে থাকলে ফর্সা সুন্দর মেয়েটাকে দেখলেও চোখ জুড়িয়ে যায়।

বাঁধন ছাড়া টুসকি নিজের পেশায় উন্নতি করতে করতে একদিন একটি পাড়ায় ভালোই বসতি গড়ে তুলল। মাঝে মধ্যে এসে দিদাকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও জিনিস দিয়ে যেত। খারাপ চলছিল না কারুরই জীবন। একদিন দিদার সঙ্গে দেখা করতে এসে বাপ মার বাড়িতেও দেখা করে আসতে ইচ্ছে হলো। বস্তির ভাড়া বাড়িতে বাবা মা থাকে। খবর পেয়ে বস্তির বাসিন্দারা লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে এলো টুসকির দিকে। নষ্ট মেয়েকে এখানে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। এমনকি এই পাড়াতেও আসা বন্ধ করতে হবে। যে পাড়ায় গেছে, সেখানেই যেন সে থাকে। দিদার কাছেও আসতে দেওয়া হবে না। এ পাড়ার অন্য মেয়েদের ও নষ্ট করবে। চোখের জলে বিদায় নিল টুসকি। একটি বারের জন্যও আপন বাবা, মা, দিদা, কারুর সঙ্গেই দেখা হলো না। টুসকির আপনজনরাও আর একটি বার দেখতে পেল না তাদের ঘরের মেয়েটিকে।






সময় কথা বলে

দে বা শী ষ স র খে ল

অনুভা নাম থেকে ভা শব্দটি বাদ। খুব আশ্চর্যরকমভাবে সে মহানগরীর একটি নামি দামী রিয়ালিটি শোয়ের পারফর্মার।
এখন রীতিমতো সিঙ্গার একজন। অত প্যাঁচ পয়জার জানেনা। তার এক বন্ধু কনফার্ম করে দেয়। ছাতা পরব ও করম পরব অহিরায় সে কম গান গায় নি। ঝুমুর দরবারী ঝুমুর রং ঝুমুর  ভাদু টুসু কীর্তন টপ্পা সবেতেই   দড়। তবে এই পুঁজি নিয়ে যে এইরকম শোয়ে যুদ্ধ করা যায় সেটা তার ধারনার বাইরে ছিল। সেমিফাইনালে পরাস্ত। তার দুঃখ নেই বিন্দুমাত্র। ইতিমধ্যে দুটো প্লেব্যাক সে পেয়ে গেছে। গান গেয়ে গান বেচে যে পয়সা পাবে সেটা তার স্বপ্নের অতীত ছিল। রিয়্যালিটি শো-এর বিদায় লগ্নে সে একদম মন খারাপ করেনি। গ্রাম দেশে ফিরতে পারলে বাঁচে। এই দেড় মাসে শহরে দম বন্ধ হয়ে আসছিল।
        
ট্রেন আসার মিনিট ১৫ আগে  উদ্যোক্তাদের ফোন। অডিয়েন্স ভোটিংয়ে আবার তার  কাম ব্যাক।

ফিরতে মন না চাইলেও  আত্মীয়-স্বজন তাকে এই গোল্ডেন অফার ছাড়তে নিষেধ করলেন।  অন্যদিকে শো চালানোর  বাধ্যবাধকতা।
    
স্টুডিওতে আবার সে ফিরছে। এবার চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা সময় বলবে।






 পিতৃস্মৃতি

চ ন্দ ন  দা শ গু প্ত

এখন বিকেল পাঁচটা। আজ শনিবার। নিউইয়র্কে এই চুয়াল্লিশ তলা এপার্টমেন্টের টপ ফ্লোরের ফ্ল্যাট থেকে আকাশের মেঘগুলোকেই কাছে মনে হয়, আর রাস্তার গাড়ি ঘোড়াগুলোকে মনে হয় অ-নে-ক দূরে।

নিজের দেশ ছেড়ে এসেছি বাইশ বছর হয়ে গেল। মা তো বহু আগেই চলে গেছেন। তখন আমি খুবই ছোট। বাবা যতদিন বেঁচে ছিলেন, মাঝে মাঝে কলকাতায় ফিরতে বলতেন। সত্যি বলতে কি, চাইলে আমি অনায়াসে কলকাতায় বদলী হতেই পারতাম। আমার স্ত্রী ইভা আমেরিকান হলেও তার যে ভারতে যেতে আপত্তি ছিল, তা-ও না। আসলে দীর্ঘকাল এই মার্কিন মুলুকে থাকার পর মনে হয়েছিল, আমি আর কলকাতার লাইফ স্টাইলের সাথে মানিয়ে নিতে পারব না। ওই ধাক্কাধাক্কি, ভীড়, ভ্যাপসা গরম... আমার একদম না-পসন্দ্। আর সাতবছর আগে বাবা চলে যাবার পর তো আমার কলকাতায় ফেরার কোনও কারণই রইল না।

গতকাল অফিসের পর এক জুনিয়র সহকর্মীর বাড়িতে ইনভাইটেশন ছিল। ছেলেটির নাম শঙ্কর বিশ্বনাথন। ও তামিল, মাসখানেক আগে বিয়ে করেছে। সবাই মিলে ছোট্ট একটা পার্টি হল। আমরা সব মিলিয়ে জনা আটেক গিয়েছিলাম।

যথারীতি অনেক আড্ডা আর গল্পগুজব হল। খাবারের মেনুতে দক্ষিণ ভারতীয় পদ যেমন ছিল, ঠিক তেমনই ছিল একাধিক কন্টিনেন্টাল পদ। খাবার পর্ব শেষ হবার পর শঙ্কর হাতজোড় করে বলল,
-----"আপনাদের কাছে আমরা আধঘন্টা সময় চাইছি। আমাদের, মানে আমার এবং আমার স্ত্রীর বাবারা আজ কেউ বেঁচে নেই। তাই তাঁদের স্মৃতিবিজড়িত কিছু জিনিস আমরা যত্ন করে সংরক্ষণ করে রেখেছি। সেইগুলো যদি আপনারা একটু দেখেন, তাহলে আমাদের খুব ভাল লাগবে।"

আপত্তি করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা সাগ্রহে রাজি হলাম।এবার শঙ্কর আর ওর স্ত্রী কল্পনা আমাদের নিয়ে গেল ওদের বাড়ির ভেতরের একটা ঘরে। ঘরটা খুব বড় নয়, তবে চমৎকার ভাবে আলো আর দেওয়ালজোড়া শো কেস দিয়ে সাজানো। সব মিলিয়ে দুজন প্রয়াত বৃদ্ধ মানুষের প্রায় আড়াইশোটি স্মৃতিচিহ্ন এত সুন্দর ভাবে সাজানো রয়েছে যে, না-দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না। বেশ কয়েকটা ফটো, জামাকাপড়, বইপত্র এইসব তো আছেই। তার সাথেই রয়েছে ওঁদের ব্যবহার করা চটি, পেন, ঘড়ি, চশমা, সিগারেটের কেস, নস্যির ডিবে, রেজার, তাবিজ, আংটি, কাপ-প্লেট, চিরুণি, ছাতা, সাবান, ওষুধপত্র, রুমাল, টর্চ, বেল্ট, ওয়াকিং স্টিক, ওঁদের পরীক্ষা-পাশের মার্কশিট- সার্টিফিকেট ... এইরকম অজস্র জিনিস।

একটা একটা করে সবগুলো দেখাবার পর শঙ্কর বলল,
-----"আমাদের আপসোস, ওঁদের ব্যবহার করা মোবাইল দুটো বহু চেষ্টা করেও আমরা সংগ্রহ করতে পারিনি। আর আমাদের দুজনেরই মা আমাদের খুব ছোটবেলায় পরলোকে চলে গেছেন। তাই ছবি ছাড়া ওঁদের কোনও স্মৃতিচিহ্নই আমাদের কাছে নেই। প্রতি বছর ওঁদের জন্মদিনে, মৃত্যুদিনে আর আমাদের ম্যারেজ ডে-তে আমরা ওঁদের জন্য বিশেষ পুজো আর স্মৃতিসভা করি।

ধূপ--ধুনোর গন্ধে ভরা ঘরটা থেকে বেরিয়ে আসার সময় কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। 

বাড়ি ফিরতে সেদিন রাত দশটা বেজে গিয়েছিল। ইভাকে এইসব কিছুই বলিনি। আজ সারা সকাল--দুপুর প্রাণপণ খুঁজেও আমার বাবা-মায়ের কোনও স্মৃতিচিহ্নই খুঁজে পাইনি। শেষপর্যন্ত আলমারির লকারের একদম পেছনে ইভার কয়েকটা পুরনো প্রেসক্রিপশনের সাথে খুঁজে পেলাম বছর দশেক আগে কলকাতা থেকে বাবার লেখা একটা চিঠি। বেঁচে থাকতে মাঝে মাঝে টাকা পাঠানো ছাড়া বাবার জন্য কিছুই করিনি। বাবার লেখা শেষ চিঠিটাই তাই একমাত্র পিতৃস্মৃতি হিসেবে রক্ষা করব।






বৃষ্টি ভেজা দিন

অ ন্ন পূ র্ণা  দা স

সকাল থেকে টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। গ্রীষ্মের প্রখর তাপের পরে যখন বর্ষার আগমন হয়; তখন মনটা যেন একটা তৃপ্তির আস্বাদে অজানা সুরে মেতে ওঠে। এখন বসন্তের কোকিল গান গায় না। কিন্তু তবুও কোথায় যেন হৃদয়ে বসন্তের সমাগম হয়। কখনো "শাওন গগনে" অথবা "রিমঝিম রিমঝিম গীরে শাওয়ান" গানের সুর গুনগুন করে গেয়ে ওঠে। স্কুল পড়ুয়া থেকে গৃহবধূ সবাই যেন বর্ষার এই আগমনকে সাদরে আমন্ত্রণ করে; তাদের হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা, ভালোলাগা, কল্পনা সব রকমের রঙের অনুভূতি দিয়ে। রূপকথা এতোক্ষণ জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে সব ভাবছিল। হঠাৎ তার মনে পড়ে এখন তো বর্ষাকাল নয়। এখন তো গ্রীষ্মকাল তবে যে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে! এটা অবশ্যই কোন নিম্নচাপের সৃষ্টি। তা যাই হোক প্রচন্ড গরমের পরে যখন একটুখানি বৃষ্টি তা যেন সত্যিই স্বস্তির আশ্বাস দেয়। তাই তার মনটাও খুব ভালো। তার খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো একটুখানি বৃষ্টিতে ভিজতে, তারপর মনে পড়ে গেল দুদিন আগে ঠান্ডা গরমে তার খুব সর্দি কাশি হয়। সে খুব কষ্ট পায়। তাই এখন যদি বৃষ্টিতে গিয়ে ভেজে তাহলে আবার শরীর খারাপ হতে পারে। এখন সে একজন গৃহবধূ এবং মা। তাই পরিবারের ওপর তার অনেক দায়িত্ব। তাই শরীরে খারাপ হয়ে শুয়ে থাকলে সংসার চলবে না। কিন্তু এইসব কথা চিন্তা করতে করতে তার মেয়ে দৌড়ে এসে বলে; মা আমি একটুখানি বৃষ্টিতে ভিজে আসি? কথাটা শুনে অমনি শাসন করে সে বলে, একদমই না ঠান্ডা লেগে যাবে শরীর খারাপ হয়ে যাবে। কিন্তু সে বায়না করতে থাকে। তারপর সে বকা দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেয়। সে কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে এখন তো স্কুলে গরমের ছুটি একটু বৃষ্টিতে  ভিজলে কি হয়? সবাই কি সুন্দর বৃষ্টিতে ভেজে আমি কখনো ভিজতে পারি না। তুমি কিছু করতে দাও না। তখন মেয়ের এই কান্না দেখে তারও খুব কষ্ট লাগে। তাই সে মেয়েকে নিয়ে বারান্দা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে বলে। প্রথমে সে খুব রাগ দেখায় পরে সেও মায়ের কাছে চেয়ার নিয়ে এসে বসে। হালকা হালকা বৃষ্টির সাথে যখন একটুখানি ঝড়ো হাওয়া দেয় তখন বৃষ্টির ঝাপটা যেন তাদের ভিজিয়ে দিয়ে যায়। এই আনন্দ তারা দুজনে মিলে উপভোগ করে। বেশ মজা লাগে। তারপর যখন বৃষ্টির গতি দ্রুতগতি হয় তখন তারা বারান্দা থেকে ঘরে এসে বসে। ঘরের মধ্যে থেকে বৃষ্টির দৃশ্য উপভোগ করে। কখনো দেখে বৃষ্টির ফোঁটা পুকুরে জলে পড়ে জলের মধ্যে বড় বড় বৃত্ত তৈরি করছে, কখনো আবার গাছের মধ্যে বৃষ্টি পড়ে পাতার টুপটাপ শব্দ আবার জোরে বৃষ্টি হলে সোঁসোঁ হাওয়ার শব্দের সাথে গাছের এটিক ওদিকে দোলা। এই বিশ্বপ্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে তার বেশ দারুণ লাগে। আর কিছুক্ষণের পরে ভোটকেন্দ্রের থেকে বয়ষ্ক মহিলাদের নিয়ে যাওয়ার গাড়ি আসে। পড়ার কাকীমাদের সাথে তার মাও ভোট দিতে যায়। তাদের গ্রামে সকাল থেকে নির্বিঘ্নেই ভোট পর্ব শুরু হয়। সে কালকে বাপের বাড়ি চলে আসে। এখনও তার ভোটের কার্ড ট্রান্সফার করা হয়নি। তাই তার এখানে ভোটের নাম রয়েছে। সে আজকে সকাল সকাল ভোট দিয়ে চলে আসে। পাড়ার অনেকে মেয়ে এখনো বিয়ের পর কার্ড ট্রান্সফার করেনি। তাই এই ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদেরও বাপের বাড়ি বেড়ানো হয়ে যায়। সবাই এখন ব্যস্ত গৃহবধূ। সবার সাথে দেখা হওয়াতে ছেলে মেয়েদের খবর এর সাথে সাংসারিক আলাপ আলোচনা সাথে কুশল বিনিময়বার্তার সাথে হাসিঠাট্টা চলে। তারও খুব ভালো লাগে। সে একজন গ্রামের মেয়ে। তাই শহরের পীচ রাস্তার চেয়ে গ্রামের রাস্তা বারেবারে টানে। তাইতো মেয়ের গরমে ছুটি পড়লে প্রথমেই মায়ের সাথে দেখা করতে মনটা যেন ছটফট করে ওঠে। একদিকে গর্ভধারিণী মা অন্যদিকে প্রকৃতি মা। দুই মায়ের ডাক যেন তার অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে। আজ প্রকৃতির সান্নিধ্যে সে যেন মানসিকভাবে ভীষণরকম সজীব হয়ে ওঠে।






ঠিক  রাত  একটা

আ র্য  ব ন্দ্যো পা ধ্যা য়

হ্যাঁ একদম আমার  মনের  কথাটাই  ঠিক  ধরে ফেলেছো। এই  কারণেই  রিম্পারে আমি তোর বুদ্ধির তারিফ করি। হ্যাঁ কী যেন বলছিস ঝমঝমে বৃষ্টির  রাতে ভূতের গল্প! তবে হ্যাঁ সেটা হবে ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে একটা মাত্র টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে যদি বইটা পড়া যায়।

তবে হ্যাঁ বাড়িটা হতে হবে বহুকালের পুরোনো একটা বাড়ি।আর গল্পের  নাম যদি হয় "রাত যখন একটা। "কিন্তু গল্প  যদি সত্যিই  ঘটে যায় তবে কেমন  লাগে তুইই বল রিম্পা? প্রশ্ন  করে
গোগোল।

রিম্পা বলে হেঁয়ালি ছেড়ে কী হয়েছিল  বল। গোগোল শুরু করে।--- আরে তুই তো জানিস আমাদের  গ্রামের  ঐ রায় বাড়িটা নাকী ভূতের  বাড়ি। ঐ বাড়িতেই বেশ কয়েকটা খুন হয় এবং সবই  একটা বিশেষ সময়ে ঘটে যায়।

সেদিন ঐ বর্ষার রাতে দোতলার  একটা ঘরে বসে যখন গল্পটা পড়ছিলাম ঠিক তখনই  নীচের থেকে ভেসে এলো গুলির শব্দ  আর 'বাঁচাও বাঁচাও' চিৎকার। অর্থাৎ বহুবছর আগের সেই  ঘটনার  পুনরাবৃত্তি। অর্থাৎ ডাকাতি ও সেই খুন।

তারপর  কী হলো জানিস রিম্পা?আমি টর্চ নিয়ে নীচে নেমে এসে দেখি কেউই নেই। মেঝেতে রক্ত।বন্ধ ওয়ালক্লকটা চলছে। আর রাত তখন  ঠিক "একটা।"





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || প্রথম ওয়েব সংস্করণ || শারদ সংখ্যা || ১২ আশ্বিন ১৪৩১ || ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ || হিমেল সংখ্যা || ৪ ফাল্গুন ১৪৩০ || ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তৃতীয় বর্ষ || তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ || বাসন্তী সংখ্যা || ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ || ১০ মে ২০২৪