পোস্টগুলি

চতুর্থ বর্ষ || চতুর্থ ওয়েব সংস্করণ || বাদল সংখ্যা || ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ || ২৯ জুলাই ২০২৫

ছবি
=সূচিপত্র= সম্পাদকীয় পত্রসাহিত্য ১। চিরাগকে ঋতুর পত্র- মহুয়া গাঙ্গুলী ২। প্রিয় বান্ধবী ১- পাপিয়া গোস্বামী ৩৷ প্রিয় বান্ধবী ২ পাপিয়া গোস্বামী প্রবন্ধ ১। আন্তন চেখব- ছোটগল্পের রাজকুমার- শংকর ব্রহ্ম ২। আধুনিক শিক্ষার জনক বিদ্যাসাগর- ধূর্জটি রঞ্জন মজুমদার ৩। ভালোলাগা ভালোবাসা- জয়শ্রী ঘোষ সাহিত্য সমালোচনা ১। বৃহৎ বাংলার সার্থক ছোটোগল্পের সংকলন "অগ্নিশুদ্ধা"- বিদ্যুৎ চক্রবর্ত্তী ২। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা-র কবি সন্দীপন বেরার চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ "বাঁশের কলম"- এর পাঠ প্রতিক্রিয়া- অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প ১। টেবিল পাতুরি- রত্না দাস ২। বিপন্ন রাতের কালো গোলাপ এবং অশরীরী কবিতারা- শাশ্বত বোস ৩। শাড়ি- মীনাক্ষী চক্রবর্তী সোম ৪৷ ধস- কাবেরী রায় চৌধুরী ৫৷ সম্পর্ক- দেবযানী ঘোষাল ৬। আহ্বান- অর্ণব ঘোষ ৭। অপেক্ষায় রইলাম- মমতা শঙ্কর সিনহা (পালধী) ৮। চোরের ওপর বাটপাড়ি- সুস্মিতা মণ্ডল পাইক (মালা) অণুগল্প ১। এ ফ্রেণ্ড ইন নীড- সাহানা ২। মৃত্যুই শ্রেয়- রমেশ দে ৩। পুরোনোপন্থী- রমেশ দে কবিতা ১। দেয়ালের ডায়েরি- রবীন্দ্রনাথ প্রধান ২। কামনার হুল- বিশ্বজিৎ বাউনা ৩। একফালি- কবিতা বন্...

পত্রসাহিত্য

চিরাগকে ঋতুর পত্র ম হু য়া গা ঙ্গু লী     চিরাগ, আজ আবার আলমারি গোছাতে শুরু করলাম। হয়তো অজুহাতি মনের অন্য কোনো ইশারায় সাড়া দিতেই, টুকটুকে লালচে গোলাপি শাড়িটা উপর তাক থেকে সজোরে ছিটকে আমার কোলে, দুহাতে চেপে ধরলাম, মেঝেতে লুটিয়ে পড়তো না'হলে, আজ আবার একটা ক্ষত আমাকে নতুন করে ব্যথা দিল, ফোনে তুমি বলেছিলে, শাড়িটা স্পিডপোস্টে হাতে পেয়েছিলাম, পিয়নের চোখেও আমার অধৈর্য্যপনা ধরা পড়েছিল সেদিন... কতক্ষণে আনপ্যাক করবো ঐ প্যাকেট! কি সুন্দর যে রঙটা, আয়নায় নিজেকে দেখেই নিজের নজর লেগে গেছিল জানো, সেদিন রাতে ফোন করে বলেছিলে,  ভ্যালেন্টাইন ডে তে ওটা পরে রাতে আমি যেন ভিডিও কল করি, খুব সেজেছিলাম, বাড়িতে দাদারা, দিদিভাই, বোন খুব ইয়ার্কি করছিল... হঠাৎই টিভিতে নিউজ, সব অন্ধকার, সেনাবাহিনীর ২০ জন নিহত... কানটা চেপে ধরেছিলাম, কিন্ত পারিনি আর যখন ছবিতে দেখলাম তোমায়... কেন এমন হয় বলোতো...! আজ আবার টিভিতে সেই চেনা আর্তনাদ... আবার সেই একই এক সম্পর্ক নিমেষেই গুলিবিদ্ধ। আমি তোমার সাথে আজও কথা বলি, ঐ শাড়িটায় তোমার স্পর্শ পাই, অভ্যাসমতো চিঠি লিখি, কিন্ত ডাকবাক্সে আর ফেলা হয়না! আমি বেশ আছি, তুম...

প্রবন্ধ

আন্তন চেখভ (Anton Chekhov)---(ছোটগল্পের রাজকুমার) শং ক র ব্র হ্ম ১৮৬০ সালেের ১৯শে জানুয়ারি রাশিয়ার তাগানকায় আন্তন চেখভ (Anton Chekhov)-এর জন্ম হয়। তাঁর বাবা ছিলেন- পাভেল জেগোরোভিচ চেখভ আর মা ছিলেন- পাভেল চেখভ। আন্তন চেখভের শৈশবকাল কেটেছে দারিদ্রের মধ্য দিয়ে। চেখভের বাবা ছিলেন একজন মুদি দোকানদার। তাই বাবা চাইতেন ছেলে তার দোকানে বসুক। তিনি ছেলেকে স্কুলে না পাঠিয়ে তার দোকানে বসাতে চাইতেন। সেইসাথে তিনি ছেলেকে নিয়মিত গীর্জায় যেতে বাধ্য করাতেন। কিন্তু চেখভের মা চাইতেন, ছেলে লেখাপড়া শিখে মানুষ হোক। বাপের মতো ছেলে যেন মুদি দোকানদার না হয়। দশ বছর বয়সে বাবার অনেকটা অমতেই, মায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আন্তন চেখভ শহরের একটি ভালো স্কুলে ভর্তি হন। এর আগে আন্তন চেখভ গ্রামের এক প্রাইমারি স্কুলে পড়তেন। শহরের স্কুলেই আন্তন চেখভ প্রাচীন গ্রীক এবং ল্যাটিন ভাষার সাহিত্য সমূহ পড়েছিলেন। ১৮৭৯ সালে বাবার মুদির দোকান উঠে যাওয়ার উপক্রম হলে বাবা পরিবার পরিজন নিয়ে ভাগ্যান্বেষণে রাজধানী শহর মস্কোতে চলে আসেন । মস্কো এসে আন্তন চেখভ ডাক্তারী পড়ার মনস্থ করেন। ভর্তি হন - ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যা...

সাহিত্য সমালোচনা

বৃহৎ বাংলার সার্থক ছোটগল্পের সংকলন ‘অগ্নিশুদ্ধা’ বি দ্যু ৎ চ ক্র ব র্তী বলা যেতেই পারে একটি ব্যতিক্রমী গল্প সংকলন প্রকাশিত হল বরাক উপত্যকা তথা উত্তরপূর্বের গল্পবিশ্ব থেকে। কেন ব্যতিক্রমী সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে চোখ রাখা যাক গ্রন্থের সাজসজ্জার দিকে। এক এক করে এগোলে প্রথমেই আসে প্রচ্ছদের কথা। অ্যাবস্ট্র্যাক্ট প্রচ্ছদ অপেক্ষাকৃত কম চোখে পড়ে এ অঞ্চলের প্রকাশনায়। সম্প্রতি শীতালং পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত সবকটি গ্রন্থে আশু চৌধুরীর এ ধরনের প্রচ্ছদ গ্রন্থকে প্রদান করছে এক অনন্য মর্যাদা। শর্মিলী দেব কানুনগোর আলোচ্য গ্রন্থ ‘অগ্নিশুদ্ধা’র ক্ষেত্রেও ঘটেনি ব্যত্যয়। খালি থাকেনি ব্লার্বগুলোও। নিয়মমাফিক প্রথম ব্লার্বে রয়েছে গ্রন্থ বিষয়ক কিছু বর্ণনা- নান্দনিক ভাষায় সমৃদ্ধ। গল্পসমূহের ভিতর থেকে উঠে আসা অনুভবের কথা, গল্পের প্যাটার্ন। তবে ব্লার্বে তো আর সবটুকু বলে দেওয়া যায় না। তাই বহুর পরেও রয়ে গেছে আরও অনেক কথা। দ্বিতীয় ব্লার্বে যথারীতি রয়েছে গল্পকারের সম্যক সচিত্র পরিচিতি। শেষ পৃষ্ঠায় শর্মিলীর গল্পের গতি প্রকৃতি নিয়ে বিশিষ্ট কবি চন্দ্রিমা দত্তের মূল্যায়ন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ষোলো আনা ব্যাকরণ মেনে প্রকাশিত হ...

গল্প

টেবিল পাতুরি র ত্না দা স ভেটকি পাতুরিটা স্বামী স্ত্রী দুজনেই বেশ চেটেপুটে খাচ্ছিল। কিরে, কলাপাতাটাও খেয়ে নিবি নাকি! অবশ্য গরুরা কিইবা না খায়! আমাকেও দে দেখি। দুজনেই মানে চন্দ্রপ্রভ আর মৃদুমায়া এমন চমকালো মনে হলো ঘরে বাজ পড়েছে। দাদা তুই! হ্যাঁ রে আমি। তুই তো এখন বাতাস খাস! কেন মাছের বাসও তো খাই (স্লাইট আনুনাসিক স্বরে)। চাঁদু তুই শুধু আমাকে কোপালি না, আনারকলির মত জ্যান্ত কবর দিলি! আমার প্রাণটা তখনও বেরোয়নি, সেই অবস্থায় মাটিতে পুঁতে তার ওপর সিমেন্টের গাঁথনি দিলি, এখন ওখানেই বসে খাস! কী করবো! তোকে যদি ঝোপেঝাড়ে কোথাও ফেলতাম পুলিশ তো কুত্তা শুঁকিয়ে ঠিক খুঁজে বের করতো আর আমার যাবজ্জীবন। তাই এই ট্রিকসটা করতে হলো। সূর্যপ্রভ বলে ওঠে তা তোর টাকাপয়সার দরকার ছিল আমাকে বললেই পারতিস। তুই তো ছোটবেলাতেই বখে গেলি, নেশাভাং, গাঁজা, চরস কিছুই বাদ দিসনি। তাই বাবা সব আমার নামে লিখে দিলেন। এবার চন্দ্রপ্রভ গরগর করে ওঠে, তুই ছাই দিতিস, তোর আঙুলের ফাঁকে জল গলে! দুটো ভাইপো, ভাইজি তাদেরও কক্ষনো কিছু দিতে দেখলাম না। ওদের পড়াশোনার খরচ আছে, বিয়েশাদি আছে, আমার তো তেমন সংস্থান নেই। তাছাড়া তোর লোভ তো... মৃদুমা...